সিসির মাঝে মোবারকের ছায়া
মিসরে
২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন তৎকালীন
প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক। এর আগে আন্দোলনকারীদের দমনে তিনি ব্যাপক ধরপাকড়
চালান। এতে নিহত হয় কয়েক শ আন্দোলনকারী। মোবারকের পতনের পর
গণতান্ত্রিকভাবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন মুসলিম ব্রাদারহুড-সমর্থিত
মোহাম্মদ মুরসি। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনা-সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন
সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই পাঁচ বছরে দেশটির অবস্থার কোনো পরিবর্তন কি হয়েছে? দেশটির বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এএফপির এক প্রতিবেদনে।
পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ার সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে আত্মাহুতি দেওয়ার পর থেকে জন্ম আরব বসন্তের। ২০১১ সালে এর ঢেউ এসে লাগে হোসনি মোবারকের মিসরেও। ক্ষমতার অপব্যবহার ও পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৮ দিন পর একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হন হোসনি মোবারক। অবসান হয় ৩০ বছর ধরে চলা মোবারকের শাসনের।
এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এ সময় থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, পুলিশের নির্বিচার গ্রেপ্তার, রহস্যজনকভাবে বিরোধী কর্মীদের গুম হওয়া নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়ে ওঠে। তাঁরা প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনের নিন্দা জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মুরসিকে হটিয়ে দিয়ে বিরোধী সব পক্ষের ওপর চরম নির্যাতন চালানো শুরু করেন সিসি, যা হোসনি মোবারকের চেয়েও বেশি।
মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী গামাল ইদ এএফপিকে বলেন, ‘বর্তমান শাসক হোসনি মোবারকের পথই অনুসরণ করে চলছেন। এই শাসক কিন্তু আরও নির্মম।’ অনেক মানবাধিকার কর্মীদের মতো গামালের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত হয়ে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি কায়রোর তাহরির স্কয়ারে লাখো মানুষ মোবারক সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু করে। ১৮ দিন চলার পরে মোবারক পদত্যাগ করেন। এরপরই দেশটির শাসনক্ষমতা চলে যায় সামরিক বাহিনীর হাতে। এরপরই মিসরের ইতিহাসে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ইসলামপন্থী ব্রাদারহুড-সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতায় আসেন। ২০১৩ সালে মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। এখন মোবারকের চেয়েও কঠোর হস্তে দেশ শাসন করছেন সিসি।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা ও মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগে ক্ষমতায় বসার এক বছর পর মুরসিকে উৎখাত করেন সিসি। ওই সময় মুরসি-সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় পুলিশের সংঘর্ষে তাঁর শতাধিক সমর্থক নিহত হন এবং জেলে পুরে রাখা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। এরপর দ্রুত বিচারের আওতায় মোহাম্মদ মুরসিসহ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ওই বিচারকে আধুনিক সমাজে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মোবারকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনে সামনের দিক থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী যুব নেতারা পরবর্তী সময়ে চরম নিপীড়নের শিকার হন। এমন পরিস্থিতিতে মিসর এখন একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইসলামি জিহাদিদের হামলা এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা।
৮৭ বছর বয়সী মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে করা কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলার জন্য মোবারককে স্ট্রেচারে করে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় মাঝেমধ্যে মিসরের সাবেক এই স্বৈরশাসককে সানগ্লাস পরা অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী হতে দেখা যায়।
২০১১ সালে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগে পরের বছরই মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। কিন্তু পরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় পুনর্বিচারের আদেশ দেন। আদালতের এ আদেশকে এই ‘লৌহ মানবের’ বিরুদ্ধে বিচার বন্ধের প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কৌঁসুলিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। মোবারকের মামলা আবার আদালতে তোলা হলে তা নিয়মিতভাবে মুলতবি করা হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মোবারকের সন্তানেরা মুক্ত, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত
জনগণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক মামলায় গত বছরের মে মাসে মোবারক এবং তাঁর দুই সন্তান আলা ও গামালের তিন বছর করে করাদণ্ড হয়েছে। ২০১১ সালের দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর থেকে তাঁরা কারাগারে আটক। এ জন্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে দেশটির একটি আদালত মোবারকের ছেলেদের মুক্তির আদেশ দেন। মোবারকের কয়েকজন সাবেক সহযোগী দুর্নীতি বা অপর মামলাগুলো থেকে খালাস পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ কয়েক দিন বা সংক্ষিপ্ত কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন।
মিসরের গণমাধ্যমও নিয়ন্ত্রিত। সংবাদমাধ্যম কখনো সিসির প্রশংসায় পিছপা হয় না। সুযোগ বুঝে পুনর্বাসনের মধ্যে থাকা সাবেক শাসকদের বা নেতাদের অবদান তুলে ধরার চেষ্টাও করা হয় গণমাধ্যমে।
২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী অধিকাংশ সদস্য হোসনি মোবারকের বিলুপ্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য। এই পার্লামেন্টে বিরোধী দল নেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৩ সালে মুরসিকে অপসারণের এক বছর পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন সেনাপ্রধান সিসি। এরপর দেশটিতে একটি ‘বেমানান গণতান্ত্রিক’ শাসনব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা কেবল ফোকরে ভরা।
এ ব্যাপারে ফ্রান্সের প্যারিস-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ করিম বিতার বলেন, ‘হোসনি মোবারকের শাসন ছলনাময় পন্থায় পুনর্বাসিত। মোবারক শাসনামলের অধিকাংশ ঘৃণ্য ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডই এখন চলছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিকশিত বা বর্ধিত হয়েছে।’
প্রশ্ন হচ্ছে, এই পাঁচ বছরে দেশটির অবস্থার কোনো পরিবর্তন কি হয়েছে? দেশটির বর্তমান আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে এএফপির এক প্রতিবেদনে।
পুলিশের দুর্নীতির প্রতিবাদে ২০১০ সালের ১৭ ডিসেম্বরে তিউনিসিয়ার সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ বাওয়াজিজি নিজের গায়ে আগুন জ্বেলে আত্মাহুতি দেওয়ার পর থেকে জন্ম আরব বসন্তের। ২০১১ সালে এর ঢেউ এসে লাগে হোসনি মোবারকের মিসরেও। ক্ষমতার অপব্যবহার ও পুলিশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিসরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৮ দিন পর একই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হন হোসনি মোবারক। অবসান হয় ৩০ বছর ধরে চলা মোবারকের শাসনের।
এরপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। এ সময় থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু, পুলিশের নির্বিচার গ্রেপ্তার, রহস্যজনকভাবে বিরোধী কর্মীদের গুম হওয়া নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো সোচ্চার হয়ে ওঠে। তাঁরা প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির শাসনের নিন্দা জানিয়ে আসছেন। বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ২০১৩ সালে মোহাম্মদ মুরসিকে হটিয়ে দিয়ে বিরোধী সব পক্ষের ওপর চরম নির্যাতন চালানো শুরু করেন সিসি, যা হোসনি মোবারকের চেয়েও বেশি।
মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী গামাল ইদ এএফপিকে বলেন, ‘বর্তমান শাসক হোসনি মোবারকের পথই অনুসরণ করে চলছেন। এই শাসক কিন্তু আরও নির্মম।’ অনেক মানবাধিকার কর্মীদের মতো গামালের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে সংগঠিত হয়ে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি কায়রোর তাহরির স্কয়ারে লাখো মানুষ মোবারক সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু করে। ১৮ দিন চলার পরে মোবারক পদত্যাগ করেন। এরপরই দেশটির শাসনক্ষমতা চলে যায় সামরিক বাহিনীর হাতে। এরপরই মিসরের ইতিহাসে ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। ইসলামপন্থী ব্রাদারহুড-সমর্থিত মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতায় আসেন। ২০১৩ সালে মুরসির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। এখন মোবারকের চেয়েও কঠোর হস্তে দেশ শাসন করছেন সিসি।
ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা ও মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার অভিযোগে ক্ষমতায় বসার এক বছর পর মুরসিকে উৎখাত করেন সিসি। ওই সময় মুরসি-সমর্থকদের সঙ্গে রাস্তায় পুলিশের সংঘর্ষে তাঁর শতাধিক সমর্থক নিহত হন এবং জেলে পুরে রাখা হয় কয়েক হাজার মানুষকে। এরপর দ্রুত বিচারের আওতায় মোহাম্মদ মুরসিসহ কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। ওই বিচারকে আধুনিক সমাজে ‘নজিরবিহীন’ ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছে। এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
মোবারকের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনে সামনের দিক থেকে নেতৃত্ব দেওয়া ধর্মনিরপেক্ষ ও বামপন্থী যুব নেতারা পরবর্তী সময়ে চরম নিপীড়নের শিকার হন। এমন পরিস্থিতিতে মিসর এখন একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইসলামি জিহাদিদের হামলা এখন প্রায় নিয়মিত ঘটনা।
৮৭ বছর বয়সী মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর পাঁচ বছর ধরে কায়রোর একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে করা কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলার জন্য মোবারককে স্ট্রেচারে করে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় মাঝেমধ্যে মিসরের সাবেক এই স্বৈরশাসককে সানগ্লাস পরা অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী হতে দেখা যায়।
২০১১ সালে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে হত্যার অভিযোগে পরের বছরই মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি আদালত। কিন্তু পরে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত ওই রায় পুনর্বিচারের আদেশ দেন। আদালতের এ আদেশকে এই ‘লৌহ মানবের’ বিরুদ্ধে বিচার বন্ধের প্রক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কৌঁসুলিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন এবং সর্বোচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। মোবারকের মামলা আবার আদালতে তোলা হলে তা নিয়মিতভাবে মুলতবি করা হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
মোবারকের সন্তানেরা মুক্ত, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত
জনগণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক মামলায় গত বছরের মে মাসে মোবারক এবং তাঁর দুই সন্তান আলা ও গামালের তিন বছর করে করাদণ্ড হয়েছে। ২০১১ সালের দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর থেকে তাঁরা কারাগারে আটক। এ জন্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে দেশটির একটি আদালত মোবারকের ছেলেদের মুক্তির আদেশ দেন। মোবারকের কয়েকজন সাবেক সহযোগী দুর্নীতি বা অপর মামলাগুলো থেকে খালাস পেয়েছেন। আবার কেউ কেউ কয়েক দিন বা সংক্ষিপ্ত কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন।
মিসরের গণমাধ্যমও নিয়ন্ত্রিত। সংবাদমাধ্যম কখনো সিসির প্রশংসায় পিছপা হয় না। সুযোগ বুঝে পুনর্বাসনের মধ্যে থাকা সাবেক শাসকদের বা নেতাদের অবদান তুলে ধরার চেষ্টাও করা হয় গণমাধ্যমে।
২০১৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী অধিকাংশ সদস্য হোসনি মোবারকের বিলুপ্ত ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য। এই পার্লামেন্টে বিরোধী দল নেই।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০১৩ সালে মুরসিকে অপসারণের এক বছর পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন সেনাপ্রধান সিসি। এরপর দেশটিতে একটি ‘বেমানান গণতান্ত্রিক’ শাসনব্যবস্থা চালু হয়েছে, যা কেবল ফোকরে ভরা।
এ ব্যাপারে ফ্রান্সের প্যারিস-ভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক রিলেশন্সের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ করিম বিতার বলেন, ‘হোসনি মোবারকের শাসন ছলনাময় পন্থায় পুনর্বাসিত। মোবারক শাসনামলের অধিকাংশ ঘৃণ্য ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডই এখন চলছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিকশিত বা বর্ধিত হয়েছে।’
No comments