শাম্মির ‘কিস ইভেন্ট’
নতুন
ধরণের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ব্লগার শাম্মি হক। বর্তমানে জার্মানিতে
অবস্থানরত এ ব্লগার অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে একটি
ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ইভেন্টের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে একটি
বিমান টিকেট কাটা হবে। তারপর কাউকে জার্মানিতে পাঠানো হবে তাকে ধর্ষণ করতে!
শাম্মি নিজে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছেন টাইমস অব ইন্ডিয়া’র কাছে।
শাম্মি আক্তার ইস্টিশন.কমে ব্লগিং করেন। সম্প্রতি, তিনি ও তার পার্টনার ব্লগার অনন্য আজাদ সম্প্রতি ‘কিস অব লাভ’ নামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট খুলেছেন। ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী যুগলদের ঢাকায় ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে পর¯পরকে চুমু খাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, শাম্মি ও অনন্য আজাদ ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে’ এ ইভেন্টে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ-তরুণীদের। জার্মানি থেকে শাম্মি লিখেছেন, ভালোবাসা দিবসে, নিজেদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে চাওয়া জুটিদের হয়রানি করতে পুলিশ বাড়াবাড়ি করে। প্রেমিক-যুগলদের ওপর হয়রানি এতটাই বেশি হয় যে, তারা এ দিন হাতে হাত ধরেও হাঁটতে পারেন না। আমরা শুনেছি যে, ভারতে কোন যুগল প্রকাশ্যে চুমু খেলে তারা গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারে। ভালোবাসার প্রকাশ ঘটানোর বিরুদ্ধে সব পদক্ষেপের প্রতিবাদে, আমরা ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমু খেতে যুগলদের আহ্বান জানিয়েছি।
তবে তিনি নিজেই যখন ঢাকায় নেই, তখন এ ধরণের ইভেন্ট আয়োজন ও সফল করা কঠিন নয় কি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি জার্মানিতে গিয়েছি বাধ্য হয়ে। আমি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই বলেই, আমি এখানে বাস করছি।’ তার মতে, তার বর্তমান ঠিকানায় বসবাসের বিষয়টি ঢাকায় এ নতুন আন্দোলন পরিচালনায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তিনি বলেন, ‘আমার এখনও অনেক বন্ধু আছে বাংলাদেশে, যারা বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে স¤পৃক্ত। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষে, আমি এ ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বন্ধুরা এ ইভেন্ট পালন করবে। অনন্য ও আমি অনলাইনে আমাদের কাজ সারছি।’
শাম্মি এ ইভেন্টে তার শারীরিক উপস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন। ‘কিন্তু যে ধরণের হুমকি আমরা এখন পাচ্ছি, আমাদের জন্য দেশে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি ফিরে যেতে। কিন্তু এখন, আমি ভীত। নারী হওয়ায় অন্যদের চেয়ে আমি অনেক বেশি হুমকি পাই। আগে আমার ইনবক্সে হুমকি দেয়া হতো। এখন আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হয়। এক ব্যক্তি আমার মাথার বিনিময়ে ১০ লাখ রুপি সমমূল্যের অর্থ দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে!’, জানালেন শাম্মি।
আরও ভীতিজনক হুমকি হলো, এক রাজনৈতিক নেতা একটি অর্থ আদায়ের ইভেন্ট খুলেছেন। সেখান থেকে সংগৃহীত অর্থে কাউকে জার্মানি পাঠানো হবে। ‘তারা একটি টিকেট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। যাতে করে আমাকে ধর্ষণের জন্য জার্মানিতে কাউকে পাঠানো যায়! এটা ভয়াবহ! কিন্তু আমি আমার লেখালিখি ছাড়ব না। আমি জার্মানিতে নিরাপদ বোধ করছি। এখান থেকেই আমি লেখালেখি অব্যাহত রাখবো,’ বললেন তিনি।
শাম্মি আরও বলেন, ঢাকা, আর দেশে নিজের পরিবার ও বোনের সঙ্গে ঝগড়ার কথা ভাবলেই তার চোখ ভিজে উঠে। বলে যান শাম্মি, ‘আমি কীভাবে ভুলবো আমার হোটেল থেকে চুপিসারে বেরিয়ে অনন্যের সঙ্গে পলাশি মোড়ে চা খাওয়ার কথা? কিংবা কোন হরতালের দিনে আমার স্কুটি মোটরসাইকেলে অনন্যকে চড়িয়ে সারা শহরে ঘুরে বেড়ানোর কথা? এখন আবার বইমেলা চলছে। আমি পাগলের মতো একে মিস করি।’ প্রসঙ্গত, ব্লগার অনন্য আজাদও ক্রমাগত হুমকির মুখে কয়েক মাস আগে জার্মানি পাড়ি দিয়েছেন। তিনি লেখক হুমায়ুন আজাদের ছেলে।
বিয়ে স¤পর্কেও কথা বলেন শাম্মি। তার মতে, ভালোবাসা হলো বিশ্বাসের বস্তু। বিয়ে করলেই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপিত হয় না। বিয়ের ধারণাতে তার বিশ্বাস নেই। কারণ, বিয়েতে কেবল দু’ জন মানুষ একটি কাগজে স্বাক্ষর করেন। তার প্রশ্ন, একটি স্বাক্ষরের মাধ্যমেই কি সঙ্গীর সঙ্গে আস্থা ও বিশ্বাসের স¤পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়?
ইভেন্ট স¤পর্কে শাম্মি বলেন, কলকাতা থেকেও তরুণদের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। ‘জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দারুণ। তারা আমাকে গ্রহণ করেছে। তারা এ-ও জানিয়েছে কীভাবে তারা এ আন্দোলন কলকাতায় শুরু করার সময় সমস্যায় পড়েছে। তাদের আন্দোলনের ভিডিও তারা আমাকে পাঠিয়েছে,’ জানান শাম্মি।
যেহেতু ঢাকার ইভেন্টে তারা উপস্থিত থাকতে পারছেন না, সেহেতু তারা ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনন্যের সঙ্গে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে একটি ‘কিস ফটো’ ফেসবুকে আপলোড করার চিন্তা আছে তার মাথায়!
শাম্মি আক্তার ইস্টিশন.কমে ব্লগিং করেন। সম্প্রতি, তিনি ও তার পার্টনার ব্লগার অনন্য আজাদ সম্প্রতি ‘কিস অব লাভ’ নামে একটি ফেসবুক ইভেন্ট খুলেছেন। ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী যুগলদের ঢাকায় ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে পর¯পরকে চুমু খাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, শাম্মি ও অনন্য আজাদ ‘ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে’ এ ইভেন্টে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ-তরুণীদের। জার্মানি থেকে শাম্মি লিখেছেন, ভালোবাসা দিবসে, নিজেদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে চাওয়া জুটিদের হয়রানি করতে পুলিশ বাড়াবাড়ি করে। প্রেমিক-যুগলদের ওপর হয়রানি এতটাই বেশি হয় যে, তারা এ দিন হাতে হাত ধরেও হাঁটতে পারেন না। আমরা শুনেছি যে, ভারতে কোন যুগল প্রকাশ্যে চুমু খেলে তারা গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারে। ভালোবাসার প্রকাশ ঘটানোর বিরুদ্ধে সব পদক্ষেপের প্রতিবাদে, আমরা ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ্যে চুমু খেতে যুগলদের আহ্বান জানিয়েছি।
তবে তিনি নিজেই যখন ঢাকায় নেই, তখন এ ধরণের ইভেন্ট আয়োজন ও সফল করা কঠিন নয় কি? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি জার্মানিতে গিয়েছি বাধ্য হয়ে। আমি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যেতে চাই বলেই, আমি এখানে বাস করছি।’ তার মতে, তার বর্তমান ঠিকানায় বসবাসের বিষয়টি ঢাকায় এ নতুন আন্দোলন পরিচালনায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তিনি বলেন, ‘আমার এখনও অনেক বন্ধু আছে বাংলাদেশে, যারা বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে স¤পৃক্ত। তাদের সঙ্গে কথা বলা শেষে, আমি এ ইভেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার বন্ধুরা এ ইভেন্ট পালন করবে। অনন্য ও আমি অনলাইনে আমাদের কাজ সারছি।’
শাম্মি এ ইভেন্টে তার শারীরিক উপস্থিতির গুরুত্ব স্বীকার করেছেন। ‘কিন্তু যে ধরণের হুমকি আমরা এখন পাচ্ছি, আমাদের জন্য দেশে ফিরে যাওয়া অসম্ভব। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি ফিরে যেতে। কিন্তু এখন, আমি ভীত। নারী হওয়ায় অন্যদের চেয়ে আমি অনেক বেশি হুমকি পাই। আগে আমার ইনবক্সে হুমকি দেয়া হতো। এখন আমাকে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়া হয়। এক ব্যক্তি আমার মাথার বিনিময়ে ১০ লাখ রুপি সমমূল্যের অর্থ দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে!’, জানালেন শাম্মি।
আরও ভীতিজনক হুমকি হলো, এক রাজনৈতিক নেতা একটি অর্থ আদায়ের ইভেন্ট খুলেছেন। সেখান থেকে সংগৃহীত অর্থে কাউকে জার্মানি পাঠানো হবে। ‘তারা একটি টিকেট কেনার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। যাতে করে আমাকে ধর্ষণের জন্য জার্মানিতে কাউকে পাঠানো যায়! এটা ভয়াবহ! কিন্তু আমি আমার লেখালিখি ছাড়ব না। আমি জার্মানিতে নিরাপদ বোধ করছি। এখান থেকেই আমি লেখালেখি অব্যাহত রাখবো,’ বললেন তিনি।
শাম্মি আরও বলেন, ঢাকা, আর দেশে নিজের পরিবার ও বোনের সঙ্গে ঝগড়ার কথা ভাবলেই তার চোখ ভিজে উঠে। বলে যান শাম্মি, ‘আমি কীভাবে ভুলবো আমার হোটেল থেকে চুপিসারে বেরিয়ে অনন্যের সঙ্গে পলাশি মোড়ে চা খাওয়ার কথা? কিংবা কোন হরতালের দিনে আমার স্কুটি মোটরসাইকেলে অনন্যকে চড়িয়ে সারা শহরে ঘুরে বেড়ানোর কথা? এখন আবার বইমেলা চলছে। আমি পাগলের মতো একে মিস করি।’ প্রসঙ্গত, ব্লগার অনন্য আজাদও ক্রমাগত হুমকির মুখে কয়েক মাস আগে জার্মানি পাড়ি দিয়েছেন। তিনি লেখক হুমায়ুন আজাদের ছেলে।
বিয়ে স¤পর্কেও কথা বলেন শাম্মি। তার মতে, ভালোবাসা হলো বিশ্বাসের বস্তু। বিয়ে করলেই সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপিত হয় না। বিয়ের ধারণাতে তার বিশ্বাস নেই। কারণ, বিয়েতে কেবল দু’ জন মানুষ একটি কাগজে স্বাক্ষর করেন। তার প্রশ্ন, একটি স্বাক্ষরের মাধ্যমেই কি সঙ্গীর সঙ্গে আস্থা ও বিশ্বাসের স¤পর্ক সৃষ্টি হয়ে যায়?
ইভেন্ট স¤পর্কে শাম্মি বলেন, কলকাতা থেকেও তরুণদের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি। ‘জাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দারুণ। তারা আমাকে গ্রহণ করেছে। তারা এ-ও জানিয়েছে কীভাবে তারা এ আন্দোলন কলকাতায় শুরু করার সময় সমস্যায় পড়েছে। তাদের আন্দোলনের ভিডিও তারা আমাকে পাঠিয়েছে,’ জানান শাম্মি।
যেহেতু ঢাকার ইভেন্টে তারা উপস্থিত থাকতে পারছেন না, সেহেতু তারা ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, অনন্যের সঙ্গে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে একটি ‘কিস ফটো’ ফেসবুকে আপলোড করার চিন্তা আছে তার মাথায়!
No comments