ব্লগারদের নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে ইইউ
ব্লগার ও মুক্তমনা লেখকদের নিরাপত্তায়
সরকারের নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য জ্যাঁ ল্যাম্বার্টের
নেতৃত্বে পার্লামেন্ট মেম্বার রিচার্ড হাওইট, ইভান স্টিফেন, সাজ্জাদ করিম
গতকাল সফরের প্রথম দিনেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা এ নিয়ে জানতে চান। দেশের
সার্বিক মানবাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঢাকায় আসা ইইউ
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ ও পার্বত্য
চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির সঙ্গে। ভিন্ন ভেন্যুতে
অনুষ্ঠিত ওই দুই বৈঠকে দেশের শ্রম পরিস্থিতি বিশেষত রানা প্লাজা পরবর্তী
বাংলাদেশের শ্রমমানের উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের ভাষ্য জানতে চান তারা।
পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি বিশেষত সম্পাদিত শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের
অগ্রগতি নিয়েও জিজ্ঞাসা ছিল তাদের। দিনে সিরিজ মিটিংয়ের পর সন্ধ্যায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যায় ইইউ পার্লামেন্ট
প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত
হয়। আজ সফরের দ্বিতীয় দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়া, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান
মাহমুদ আলী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে ইইউ দলের বৈঠক হবে।
মানবাধিকার কমিশনে বৈঠক: ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, নিহত ব্লগার এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানতে চেয়েছেন। যে সব ব্লগার এবং মুক্তমনা লেখককে হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও জানতে চেয়েছেন তারা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রমিকদের অধিকার, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি স্থান পায় জানিয়ে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে তাদের ব্রিফ করা হয়েছে।
‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সমন্বয়ে ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল ইইউ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করব। বাংলাদেশে ইইউর ৮টি দেশের দূতাবাস আছে। এই আট দেশ সদস্য থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নিয়ে এই কাউন্সিল হবে। তা ছাড়া প্রাইভেট সেক্টরের লোকদেরকে রাখা যায় কি-না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ বাংলাদেশে কিভাবে ব্যবসা করবে, আমরা কিভাবে রপ্তানি করব- এগুলো সমন্বয় করবে বিজনেস কাউন্সিল। ব্যবসা বাণিজ্য আরও কিভাবে সমৃদ্ধশালী করা যায়- সেটা হবে কাউন্সিলের মূল কাজ। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পলিসি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের ইনভেস্টমেন্ট পলিসি খুব লিবারেল। এখানে শতভাগ মূলধন আমরা অ্যালাউ করি। এখানে লাভ এবং মূলধন যে কোনো সময় নিয়ে যেতে পারবে। ডাবল ট্যাক্সেশন এড়ানোর ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে। এখানে ট্যাক্স দিলে ওই দেশে দিতে হবে না। ওইখানে ট্যাক্স দিলে এখানে দিতে হবে না। বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৮০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ। ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ১৫৪৯টি, অ্যাকর্ড ১৩৫৬ এবং অ্যালায়েন্স ৮২৯টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ আর আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি কারখানা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা শতকরা দুই ভাগের কম দাবি করে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরিতে’ রূপান্তরিত হতে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটা উদ্বোধন করেছি। আরও প্রায় ৭০টির মতো পাইপলাইনে আছে। আমাদের কারখানাগুলো ‘কম্প্লায়েন্ট’ কারখানায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বাণিজ্যিক সুবিধা, যার আওতায় বাংলাদেশসহ স্বল্পন্নোত দেশগুলো অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি না থাকলে কি হবে- এই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এটা আলোচনা করেছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্য পদ্ধতি আছে। অন্য অনেক দেশকে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা দেয়। আমরা ২০২১ সালে আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনা করছি। প্রশ্নটা তখন উঠবে।” মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মানবাধিকার কমিশনে বৈঠক: ইউরোপীয় পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, নিহত ব্লগার এবং এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানতে চেয়েছেন। যে সব ব্লগার এবং মুক্তমনা লেখককে হুমকি দেয়া হয়েছে তাদের নিরাপত্তার বিষয়েও জানতে চেয়েছেন তারা। তাদের সঙ্গে আলোচনায় শ্রমিকদের অধিকার, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি স্থান পায় জানিয়ে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে তাদের ব্রিফ করা হয়েছে।
‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠনের উদ্যোগ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সমন্বয়ে ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল ইইউ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ‘বিজনেস কাউন্সিল’ গঠন করব। বাংলাদেশে ইইউর ৮টি দেশের দূতাবাস আছে। এই আট দেশ সদস্য থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সদস্য নিয়ে এই কাউন্সিল হবে। তা ছাড়া প্রাইভেট সেক্টরের লোকদেরকে রাখা যায় কি-না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৮টি দেশ বাংলাদেশে কিভাবে ব্যবসা করবে, আমরা কিভাবে রপ্তানি করব- এগুলো সমন্বয় করবে বিজনেস কাউন্সিল। ব্যবসা বাণিজ্য আরও কিভাবে সমৃদ্ধশালী করা যায়- সেটা হবে কাউন্সিলের মূল কাজ। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পলিসি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমাদের ইনভেস্টমেন্ট পলিসি খুব লিবারেল। এখানে শতভাগ মূলধন আমরা অ্যালাউ করি। এখানে লাভ এবং মূলধন যে কোনো সময় নিয়ে যেতে পারবে। ডাবল ট্যাক্সেশন এড়ানোর ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে। এখানে ট্যাক্স দিলে ওই দেশে দিতে হবে না। ওইখানে ট্যাক্স দিলে এখানে দিতে হবে না। বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার ৮০০ কারখানা পরিদর্শন করেছে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স এবং ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ। ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ১৫৪৯টি, অ্যাকর্ড ১৩৫৬ এবং অ্যালায়েন্স ৮২৯টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ আর আংশিক ঝুঁকিপূর্ণ ৪০টি কারখানা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা শতকরা দুই ভাগের কম দাবি করে তোফায়েল বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরিতে’ রূপান্তরিত হতে চলেছে। আমরা ইতিমধ্যে কয়েকটা উদ্বোধন করেছি। আরও প্রায় ৭০টির মতো পাইপলাইনে আছে। আমাদের কারখানাগুলো ‘কম্প্লায়েন্ট’ কারখানায় রূপান্তরিত হতে চলেছে। ইবিএ (এভরিথিং বাট আর্মস) ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি বাণিজ্যিক সুবিধা, যার আওতায় বাংলাদেশসহ স্বল্পন্নোত দেশগুলো অস্ত্র ছাড়া সব পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এলডিসি না থাকলে কি হবে- এই প্রশ্ন উঠেছে। আমরা এটা আলোচনা করেছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্য পদ্ধতি আছে। অন্য অনেক দেশকে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা দেয়। আমরা ২০২১ সালে আপগ্রেডেশনের পরিকল্পনা করছি। প্রশ্নটা তখন উঠবে।” মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ ডেলিগেশন প্রধান রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়েদুন অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
No comments