সত্য বললেও বিপদ মিথ্যা বললেও বিপদ by মহিউদ্দিন অদুল
কমলাপুর
রেলওয়ে স্টেশন। সকালে টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে বসে অপেক্ষা করছিলেন তিন
যুবক। জয়দেবপুরের যাত্রী দু’বন্ধু সিঙ্গাপুর প্রবাসী শিমুল চৌহান ও
গার্মেন্ট কর্মী মুহিত কামাল এবং অন্যজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শরীফ। কিন্তু
কিছুতেই শেষ হয় না তাদের অপেক্ষার পালা। কারণ সকাল ১১টা ২০ মিনিটের ঢাকা
থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও রাজশাহী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২ টায়ও স্টেশনে
এসে পৌঁছায়নি। তাতে কী। বসে নেই তারাও। এককথা দু’কথায় জমে উঠেছে আড্ডা।
সিঙ্গাপুরের সুন্দর পরিবহন ব্যবস্থা দিয়ে শুরু হওয়া আড্ডা জমলো বাংলাদেশের
রাজনীতিতে এসে। শিমুল চৌহান বললেন, ‘বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি করে কেন?
ট্রেন বিলম্বের কারণে যে যাত্রী দুর্ভোগ, যানজট সমস্যা, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ
সংকট ইত্যাদি নিয়ে রাজনীতি করতে পারে না? জনগণের ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করলে
তো সবাই তাদের পেছনে এসে লাইন দিতো। তাদেরই সমর্থন করতো।’
তা শুনে মুহিত কামাল বলে উঠলেন, ‘এসব নিয়ে রাজনীতি করলেও তো আর টাকা কামাতে পারবে না। এখন তো লোকে রাজনীতি করে টাকা বানানোর জন্য। দেখিস না, রাজনীতিবিদদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। কয়েকশ’গুণ বাড়ছে সম্পদ। জনগণ ও দেশের বারোটা বাজলে তাদের ক্ষতি কি? তারা জনগণের স্বার্থে সরকারের বিরোধিতা করে না, তারা করে নিজেদের স্বার্থে, নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। পাশে বসা শরীফ তাদের পূর্ব-পরিচিত না হলেও অংশ নেন আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘সরকার তো এখন তালগাছ আমার মার্কা রাজনীতি ও ভোটের সিস্টেম চালু করেছে।
এরই মধ্যে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য আর অপেক্ষা না করে শরীফ উঠে পড়েন ১ নম্বর প্লাটফর্মে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ভাওয়াল এক্সপ্রেসে। রাজশাহী এক্সপ্রেসে টিকেট কেটেও ধৈর্যচ্যুত হয়ে দু’বন্ধুও সিন্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। ছুটলেন ৭ নম্বর প্লাটফর্মে ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের দিকে। ওই ট্রেনে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন গিয়ে সেখান থেকে বাসে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিলেন তারা। পৌনে ১টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে প্রতীক্ষার রাজশাহী এক্সপ্রেস। নির্ধারিত সময়ের দু’ঘন্টা পর দুপুর সোয়া একটায় ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ট্রেনের প্রায় প্রতিটি বগিতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অতিরিক্ত যাত্রী। দু’দরজার পাশে জটলা। অধিকাংশ যাত্রীই চুপচাপ। পাশাপাশি তিনটি আসনে বসা সাতজন নারীর কণ্ঠই ছাপিয়ে উঠছিল অন্যদের কোলাহলকে। পাশের আসনে বসা তিন বৃদ্ধ, দুই যুবক ও এক মধ্যবয়সী মজেছেন রাজনৈতিক আলাপচারিতায়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অদ্ভুত গণতন্ত্র চলছে। পুতুল নির্বাচন কমিশন দিয়ে নিজেরা ভোট দিবে, তাতে নিজেরাই জিতবে। অথচ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আবার তা চালাবে জনগণের নামে। কোন কিছু এভাবে বেশি দিন চালানো যায় না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঠিকই ধাওয়া খাবে। নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর এরশাদকে যেমন খেতে হয়েছিল।’ এপর্যায়ে তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে রাজধানীর একটি সরকারি কলেজের ছাত্র আবুল কাশেম বলেন, ‘এখন তো চলছে ডিজিটাল বিস্ময়। আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিবে, নির্বাচনে জনগণের ভোট তারা দিয়ে দেবে। আর তারাই জিতবে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী নামা ও উঠার হুড়াহুড়ি পড়ে, ছেদ পড়ে আলোচনায়। শ্রোতাদের কয়েকজন নেমে যান। নেমে যান আলোচনার সূত্রপাত করা ব্যক্তিও। বেশ কয়েক মিনিট পর আবার চলতে শুরু করে ট্রেন। আরও কিছুক্ষণ পর ফের কথা শুরু করেন আলোচনার সময় পত্রিকা পাঠরত আবদুস ছোবহান। তিনি বলেন, ‘এত কথা বাদ দেন। এখন সবাইকে এক কথা বলতে হবে। এক দল করতে হবে। একই সুরে গাইতে হবে গান। ভিন্ন কথা বললে আপনি জঙ্গি, রাষ্ট্রদ্রোহী, অপরাধী। ঠিকানা হবে জেলহাজত। আপনাকে তল্লাশির নামে ইয়াবা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী বানিয়ে আসামি করে কারাগারে পাঠানো হবে।
সোয়া একটার পর জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি। প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী স্টেশনটি থেকে ওই ট্রেনে চড়েন। তবে অনেকটা ফাঁকা পাওয়া গেছে তা। বগিতে উঠেই পাওয়া যায় আসন। যাত্রীদের অনেকেই ক্লান্ত। নিজেদের মধ্যে কিছুটা কথাবার্তা হচ্ছিল। পাশের আসনে বসা এক ব্যক্তি ঝুঁকে সংবাদপত্র পড়ছিলেন। তার নাম সাইফুল ইসলাম। মনোযোগ দিয়ে সংবাদ পড়া শেষ করেই নীরবতা ভাঙলেন তিনি। পাশের যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্বে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমলা ও রাজনীতিবিদরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বলেন তো কেন তাদের এত ভয়?’ পাশের যাত্রী শফিকুল ইসলাম নড়েচড়ে বসলেও কোন জবাব দেননি। অগত্যা সাইফুল নিজেই স্বগতোক্তি করলেন, ‘তারা এদেশে অপকর্ম করার সুযোগ নিতে চায়। আর বিপদ এলে অন্যদেশে পালিয়ে বাঁচতে চায়। কী বলেন ভাই।’
এবার বিরক্তি দেখিয়েই মুখ খুললেন চাকরিজীবী আবু রায়হান, ‘খুঁচিয়ে কথা বলাতে চান কেন? এখন এমন এক সময়ে এসে পড়েছি যে সত্য বলতে নেই। অপরিচিত মানুষের সামনে রাজনৈতিক আলাপ করাও বিপদের। সত্য বললেও বিপদ, মিথ্যা বললেও বিপদ। বোবার কোন শত্রু নাই। নিরাপত্তার জন্য বোবা থাকতে হবে। সত্য কথা বললে কে কখন-কোথায় ফাঁসিয়ে দেয় ঠিক নেই। আসলে জনগণ চাপা কষ্টে আছে। তা বলার সুযোগও নেই।’
পাশের বিপরীতমুখী আসনে বসা আরিফ তাকে সমর্থন করলেও নিজেই কথা ধরে রাখতে পারেননি। আলোচনায় এগিয়ে যান, ‘সরকার বিএনপিকে দমিয়ে রেখেছে। কিন্তু আসলে কাউকে কি স্থায়ীভাবে দমিয়ে রাখা যায়? অল্প কিছুদিন হয়তো তা রাখা যাবে। তার কথা টেনে নেন অপর এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন দরকার। মানুষ পুড়িয়ে ও যানবাহন ভাঙচুর করে কী রাজনীতি হয়? এখন সরকার উন্নয়ন করছে। উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে এক সরকারের ক্ষমতায় থাকা দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দুর্নীতি করেছে। হাওয়া ভবনের দুর্নীতিতে সবাই অতিষ্ঠ ছিল। এখন তা সবাই ভুলে গেছে।’
তার কথা শুনতে শুনতেই ট্রেনের বেজে উঠল হুইসেল। নিজেই আলোচনা থামিয়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন তিনি। সামনে ফিরে তাকাতেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
তা শুনে মুহিত কামাল বলে উঠলেন, ‘এসব নিয়ে রাজনীতি করলেও তো আর টাকা কামাতে পারবে না। এখন তো লোকে রাজনীতি করে টাকা বানানোর জন্য। দেখিস না, রাজনীতিবিদদের প্রায় সবাই ব্যবসায়ী। কয়েকশ’গুণ বাড়ছে সম্পদ। জনগণ ও দেশের বারোটা বাজলে তাদের ক্ষতি কি? তারা জনগণের স্বার্থে সরকারের বিরোধিতা করে না, তারা করে নিজেদের স্বার্থে, নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। পাশে বসা শরীফ তাদের পূর্ব-পরিচিত না হলেও অংশ নেন আলোচনায়। তিনি বলেন, ‘সরকার তো এখন তালগাছ আমার মার্কা রাজনীতি ও ভোটের সিস্টেম চালু করেছে।
এরই মধ্যে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য আর অপেক্ষা না করে শরীফ উঠে পড়েন ১ নম্বর প্লাটফর্মে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া ভাওয়াল এক্সপ্রেসে। রাজশাহী এক্সপ্রেসে টিকেট কেটেও ধৈর্যচ্যুত হয়ে দু’বন্ধুও সিন্ধান্ত পরিবর্তন করলেন। ছুটলেন ৭ নম্বর প্লাটফর্মে ঢাকা ছাড়ার প্রস্তুতি নেয়া সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের দিকে। ওই ট্রেনে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন গিয়ে সেখান থেকে বাসে যাওয়ার সিন্ধান্ত নিলেন তারা। পৌনে ১টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছে প্রতীক্ষার রাজশাহী এক্সপ্রেস। নির্ধারিত সময়ের দু’ঘন্টা পর দুপুর সোয়া একটায় ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। ট্রেনের প্রায় প্রতিটি বগিতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অতিরিক্ত যাত্রী। দু’দরজার পাশে জটলা। অধিকাংশ যাত্রীই চুপচাপ। পাশাপাশি তিনটি আসনে বসা সাতজন নারীর কণ্ঠই ছাপিয়ে উঠছিল অন্যদের কোলাহলকে। পাশের আসনে বসা তিন বৃদ্ধ, দুই যুবক ও এক মধ্যবয়সী মজেছেন রাজনৈতিক আলাপচারিতায়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অদ্ভুত গণতন্ত্র চলছে। পুতুল নির্বাচন কমিশন দিয়ে নিজেরা ভোট দিবে, তাতে নিজেরাই জিতবে। অথচ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে আবার তা চালাবে জনগণের নামে। কোন কিছু এভাবে বেশি দিন চালানো যায় না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ঠিকই ধাওয়া খাবে। নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর এরশাদকে যেমন খেতে হয়েছিল।’ এপর্যায়ে তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে রাজধানীর একটি সরকারি কলেজের ছাত্র আবুল কাশেম বলেন, ‘এখন তো চলছে ডিজিটাল বিস্ময়। আওয়ামী লীগ নির্বাচন দিবে, নির্বাচনে জনগণের ভোট তারা দিয়ে দেবে। আর তারাই জিতবে। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী নামা ও উঠার হুড়াহুড়ি পড়ে, ছেদ পড়ে আলোচনায়। শ্রোতাদের কয়েকজন নেমে যান। নেমে যান আলোচনার সূত্রপাত করা ব্যক্তিও। বেশ কয়েক মিনিট পর আবার চলতে শুরু করে ট্রেন। আরও কিছুক্ষণ পর ফের কথা শুরু করেন আলোচনার সময় পত্রিকা পাঠরত আবদুস ছোবহান। তিনি বলেন, ‘এত কথা বাদ দেন। এখন সবাইকে এক কথা বলতে হবে। এক দল করতে হবে। একই সুরে গাইতে হবে গান। ভিন্ন কথা বললে আপনি জঙ্গি, রাষ্ট্রদ্রোহী, অপরাধী। ঠিকানা হবে জেলহাজত। আপনাকে তল্লাশির নামে ইয়াবা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী বানিয়ে আসামি করে কারাগারে পাঠানো হবে।
সোয়া একটার পর জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে পাওয়া যায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি। প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী স্টেশনটি থেকে ওই ট্রেনে চড়েন। তবে অনেকটা ফাঁকা পাওয়া গেছে তা। বগিতে উঠেই পাওয়া যায় আসন। যাত্রীদের অনেকেই ক্লান্ত। নিজেদের মধ্যে কিছুটা কথাবার্তা হচ্ছিল। পাশের আসনে বসা এক ব্যক্তি ঝুঁকে সংবাদপত্র পড়ছিলেন। তার নাম সাইফুল ইসলাম। মনোযোগ দিয়ে সংবাদ পড়া শেষ করেই নীরবতা ভাঙলেন তিনি। পাশের যাত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্বে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় আমলা ও রাজনীতিবিদরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বলেন তো কেন তাদের এত ভয়?’ পাশের যাত্রী শফিকুল ইসলাম নড়েচড়ে বসলেও কোন জবাব দেননি। অগত্যা সাইফুল নিজেই স্বগতোক্তি করলেন, ‘তারা এদেশে অপকর্ম করার সুযোগ নিতে চায়। আর বিপদ এলে অন্যদেশে পালিয়ে বাঁচতে চায়। কী বলেন ভাই।’
এবার বিরক্তি দেখিয়েই মুখ খুললেন চাকরিজীবী আবু রায়হান, ‘খুঁচিয়ে কথা বলাতে চান কেন? এখন এমন এক সময়ে এসে পড়েছি যে সত্য বলতে নেই। অপরিচিত মানুষের সামনে রাজনৈতিক আলাপ করাও বিপদের। সত্য বললেও বিপদ, মিথ্যা বললেও বিপদ। বোবার কোন শত্রু নাই। নিরাপত্তার জন্য বোবা থাকতে হবে। সত্য কথা বললে কে কখন-কোথায় ফাঁসিয়ে দেয় ঠিক নেই। আসলে জনগণ চাপা কষ্টে আছে। তা বলার সুযোগও নেই।’
পাশের বিপরীতমুখী আসনে বসা আরিফ তাকে সমর্থন করলেও নিজেই কথা ধরে রাখতে পারেননি। আলোচনায় এগিয়ে যান, ‘সরকার বিএনপিকে দমিয়ে রেখেছে। কিন্তু আসলে কাউকে কি স্থায়ীভাবে দমিয়ে রাখা যায়? অল্প কিছুদিন হয়তো তা রাখা যাবে। তার কথা টেনে নেন অপর এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন দরকার। মানুষ পুড়িয়ে ও যানবাহন ভাঙচুর করে কী রাজনীতি হয়? এখন সরকার উন্নয়ন করছে। উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে এক সরকারের ক্ষমতায় থাকা দরকার। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও দুর্নীতি করেছে। হাওয়া ভবনের দুর্নীতিতে সবাই অতিষ্ঠ ছিল। এখন তা সবাই ভুলে গেছে।’
তার কথা শুনতে শুনতেই ট্রেনের বেজে উঠল হুইসেল। নিজেই আলোচনা থামিয়ে ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন তিনি। সামনে ফিরে তাকাতেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।
No comments