খায়রুল হক বিতর্কে নতুন মাত্রা
অবসরের
পর রায় লেখা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়
প্রকাশের পর এ নিয়ে সর্বপ্রথম বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়। স্পষ্টত অবসরের পর
রায় লেখার চেয়েও সে সময় বড় প্রশ্ন ওঠে- রায়ে পরিবর্তন নিয়ে। সংখ্যাগরিষ্ঠ
মতের ভিত্তিতে আদেশের অংশ যখন প্রকাশ্য আদালতে ঘোষণা করা হয়, তখন বলা
হয়েছিল, সংসদ চাইলে দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখতে পারবে।
কিন্তু অবসরের ১৬ মাস পর বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের লেখা রায় যখন প্রকাশিত
হয় তখন দেখা যায় দুই মেয়াদের অংশটি আর নেই।
অবসরের পর কোনো বিচারপতির রায় পরিবর্তন করতে পারেন কি-না সে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক এখনও চলছে। তবে এ বিতর্কে নতুনমাত্রা যোগ করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নাম মুখে তোলেননি। তবে ইঙ্গিত স্পষ্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি না অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি। পদ্ধতিগত কারণে আপিল বিভাগের রায়ে দেরি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সেটা যৌক্তিক সময়, যেমন এক মাসের মধ্যে হতে পারে। কিছুতেই এক-দেড় বছর হতে পারে না। আর অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদেশের অংশ কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। সেটা করতে গেলে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন ও শুনানি হতে হবে। কিন্তু তা না করেই যদি রাতের অন্ধকারে, এক-দেড় বছর পর রায় পরিবর্তন করে ফেলেন, তাহলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ। সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর দু’টি প্রশ্ন এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, কোন ধরনের রিভিউ বা পুনঃশুনানি ছাড়া ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ে যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে তা আইনের দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ। দ্বিতীয়ত, অবসরের ১৬ মাস পর এই ধরনের পরিবর্তন আনা আইনের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ কি-না?
বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী যা বলেছেন-
মঙ্গলবারের আলোচনায় মাহমুদুল আমিন চৌধুরী আরও নানা ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এই বিচার বিভাগ খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। এটি ধ্বংস হয়ে যাক আমরা তা চাই না। তবে বিচার বিভাগ সম্পর্কে যখন ভালো কিছু শুনি তখন মনটা ভরে যায়। তিনি বলেন, অটোক্রেটিক সরকার থাকলে তার কথামতো চলতে হয়। তার কথামতো আইন হয়। সবকিছু হয় তার সুবিধামতো। আর গণতান্ত্রিক সরকারে তা নয়। জনগণের সুবিধার জন্য আইন হয়। সবকিছু হয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন আইনের খসড়া সংসদে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ দেখেছি তা খুবই বিপদজনক। এই আইন হলে যে কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে সরকার। এ আইনে আছে একজন ব্যক্তি রাজাকার প্রমাণিত হলে তার সম্পদ তার সন্তানেরা পাবে না। বাবার শাস্তি কি ছেলে ভোগ করবে? এটা হয় কি করে? ফৌজদারি আইনে তো একজনের শাস্তি আরেকজন ভোগ করতে পারে না। গণতান্ত্রিক সরকারে এসব থাকার কথা নয়। জনগণের জন্য আইন হওয়ার কথা। এ বিষয়ে আমাদের দেখা উচিত আমরা কোথায় যাচ্ছি? প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকাশ্য আদালতে রায় দিতে হবে। কেউ কেউ দেন না। হয়তো তিনি রায় লিখতে পারেন না বলেই দেন না। এখন নাকি রুল দেয়া নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি হয়। বিতর্ক হয়। সিনিয়র এজলাস থেকে নেমে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। লজ্জাকর। এজন্য দায়ী আইনজীবীরা। কারণ আইনজীবীদের দায়িত্ব আদালতকে সহযোগিতা করা। আইনজীবীদের দায়িত্ব নয় কারও শাস্তির ব্যবস্থা করা, কাউকে খালাস করিয়ে দেয়া। রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতকে সহায়তা করা। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি এখন প্রেসকনফারেন্স করেন। এ বিষয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। সংসদেই একজন নেতা তাকে বলেছিলেন স্যাডিস্ট। তাহলে একজন স্যাডিস্টকে আপিল বিভাগে নেয়া হলো কিভাবে? এখন তো প্রমাণিত হলো আসলেই তিনি স্যাডিস্ট। বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী আরও বলেন, এখন তো শুনি একেকজনের কাছে এক দেড়শ’ মামলা রয়েছে রায় লেখার অপেক্ষায়। এটা দুঃখজনক। একেকজনের কাছে এই বিপুল পরিমাণ রায় লেখার অপেক্ষায় থাকার কারণে বিচার বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্টের সর্বনাশ হয়েছে। এ রায় লেখা পড়ে থাকার জন্য দোষ আইনজীবীদের। আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বিচার বিভাগকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু আইনজীবীরা তা করছেন না। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা রাজনীতি করবেন কিন্তু তা আদালতের বাইরে। আদালত অঙ্গনে আপনাদের পরিচয় আপনারা আইনজীবী। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনারা কাজ করবেন। জুডিশিয়ারি বাঁচাতে হলে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার গৃহীত পদক্ষেপকে সমর্থন দিতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন। আপনাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আপনারা বিচার বিভাগকে বাঁচান। দেশ রক্ষা করুন। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করুন।
একই আলোচনায় হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রশ্ন যখন আসবে তখন আইনজীবীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমি বারের সম্পাদক ছিলাম তখন বারের সদস্য ছিল আড়াই হাজার। এরপর ১৫ বছর জজিয়তি করেছি। এখন বারের সদস্য সাড়ে ৬ হাজার। এটা উৎসাহজনক। তিনি বলেন, এই সুপ্রিম কোর্টে আপনারা (আইনজীবী) আছেন, থাকবেন। আপনারাই ন্যায় বিচার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মশাল তুলে ধরবেন। আর এর জন্য শর্ত একটাই আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচারপতি নজরুল বলেন, ১৫ বছর যখন হাইকোর্টে বিচারক ছিলাম তখন কেউ কখনও অন্যায় অনুরোধ নিয়ে আমার সামনে আসেননি। কারণ জানেন অনুরোধ করলে উল্টো ফল হবে। বিচারক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিমগাছ থেকে ফজলি আম আশা করা বাতুলতা মাত্র। ফজলি গাছ রোপণ করেন তাহলে ফজলি আমই পাবেন। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা করার জন্য আপনাদের সোচ্চার হতে হবে।
অবসরের পর কোনো বিচারপতির রায় পরিবর্তন করতে পারেন কি-না সে নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক এখনও চলছে। তবে এ বিতর্কে নতুনমাত্রা যোগ করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী। তিনি সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নাম মুখে তোলেননি। তবে ইঙ্গিত স্পষ্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এক আলোচনা সভায় বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বলেন, আমি মনে করি না অবসরের পর রায় লেখা বেআইনি। পদ্ধতিগত কারণে আপিল বিভাগের রায়ে দেরি হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে সেটা যৌক্তিক সময়, যেমন এক মাসের মধ্যে হতে পারে। কিছুতেই এক-দেড় বছর হতে পারে না। আর অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদেশের অংশ কোনোভাবেই পরিবর্তন করা যাবে না। সেটা করতে গেলে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন ও শুনানি হতে হবে। কিন্তু তা না করেই যদি রাতের অন্ধকারে, এক-দেড় বছর পর রায় পরিবর্তন করে ফেলেন, তাহলে সেটা ফৌজদারি অপরাধ। সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর এ বক্তব্যের পর দু’টি প্রশ্ন এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রথমত, কোন ধরনের রিভিউ বা পুনঃশুনানি ছাড়া ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ে যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে তা আইনের দৃষ্টিতে কতটুকু বৈধ। দ্বিতীয়ত, অবসরের ১৬ মাস পর এই ধরনের পরিবর্তন আনা আইনের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ কি-না?
বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী যা বলেছেন-
মঙ্গলবারের আলোচনায় মাহমুদুল আমিন চৌধুরী আরও নানা ইস্যুতে কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। এই বিচার বিভাগ খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। এটি ধ্বংস হয়ে যাক আমরা তা চাই না। তবে বিচার বিভাগ সম্পর্কে যখন ভালো কিছু শুনি তখন মনটা ভরে যায়। তিনি বলেন, অটোক্রেটিক সরকার থাকলে তার কথামতো চলতে হয়। তার কথামতো আইন হয়। সবকিছু হয় তার সুবিধামতো। আর গণতান্ত্রিক সরকারে তা নয়। জনগণের সুবিধার জন্য আইন হয়। সবকিছু হয়। সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, এমন আইনের খসড়া সংসদে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় যে সংবাদ দেখেছি তা খুবই বিপদজনক। এই আইন হলে যে কোনো নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারবে সরকার। এ আইনে আছে একজন ব্যক্তি রাজাকার প্রমাণিত হলে তার সম্পদ তার সন্তানেরা পাবে না। বাবার শাস্তি কি ছেলে ভোগ করবে? এটা হয় কি করে? ফৌজদারি আইনে তো একজনের শাস্তি আরেকজন ভোগ করতে পারে না। গণতান্ত্রিক সরকারে এসব থাকার কথা নয়। জনগণের জন্য আইন হওয়ার কথা। এ বিষয়ে আমাদের দেখা উচিত আমরা কোথায় যাচ্ছি? প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রকাশ্য আদালতে রায় দিতে হবে। কেউ কেউ দেন না। হয়তো তিনি রায় লিখতে পারেন না বলেই দেন না। এখন নাকি রুল দেয়া নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি হয়। বিতর্ক হয়। সিনিয়র এজলাস থেকে নেমে যান। এটা খুবই দুঃখজনক। লজ্জাকর। এজন্য দায়ী আইনজীবীরা। কারণ আইনজীবীদের দায়িত্ব আদালতকে সহযোগিতা করা। আইনজীবীদের দায়িত্ব নয় কারও শাস্তির ব্যবস্থা করা, কাউকে খালাস করিয়ে দেয়া। রাষ্ট্র বা আসামিপক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতকে সহায়তা করা। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি বলেন, তিনি এখন প্রেসকনফারেন্স করেন। এ বিষয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। সংসদেই একজন নেতা তাকে বলেছিলেন স্যাডিস্ট। তাহলে একজন স্যাডিস্টকে আপিল বিভাগে নেয়া হলো কিভাবে? এখন তো প্রমাণিত হলো আসলেই তিনি স্যাডিস্ট। বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী আরও বলেন, এখন তো শুনি একেকজনের কাছে এক দেড়শ’ মামলা রয়েছে রায় লেখার অপেক্ষায়। এটা দুঃখজনক। একেকজনের কাছে এই বিপুল পরিমাণ রায় লেখার অপেক্ষায় থাকার কারণে বিচার বিভাগ ও সুপ্রিম কোর্টের সর্বনাশ হয়েছে। এ রায় লেখা পড়ে থাকার জন্য দোষ আইনজীবীদের। আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। বিচার বিভাগকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু আইনজীবীরা তা করছেন না। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা রাজনীতি করবেন কিন্তু তা আদালতের বাইরে। আদালত অঙ্গনে আপনাদের পরিচয় আপনারা আইনজীবী। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আপনারা কাজ করবেন। জুডিশিয়ারি বাঁচাতে হলে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। বিচার বিভাগের সংস্কারে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার গৃহীত পদক্ষেপকে সমর্থন দিতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করছেন। আপনাদের উচিত তাকে সহযোগিতা করা। বিচার বিভাগ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আপনারা বিচার বিভাগকে বাঁচান। দেশ রক্ষা করুন। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করুন।
একই আলোচনায় হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রশ্ন যখন আসবে তখন আইনজীবীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমি বারের সম্পাদক ছিলাম তখন বারের সদস্য ছিল আড়াই হাজার। এরপর ১৫ বছর জজিয়তি করেছি। এখন বারের সদস্য সাড়ে ৬ হাজার। এটা উৎসাহজনক। তিনি বলেন, এই সুপ্রিম কোর্টে আপনারা (আইনজীবী) আছেন, থাকবেন। আপনারাই ন্যায় বিচার ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার মশাল তুলে ধরবেন। আর এর জন্য শর্ত একটাই আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচারপতি নজরুল বলেন, ১৫ বছর যখন হাইকোর্টে বিচারক ছিলাম তখন কেউ কখনও অন্যায় অনুরোধ নিয়ে আমার সামনে আসেননি। কারণ জানেন অনুরোধ করলে উল্টো ফল হবে। বিচারক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিমগাছ থেকে ফজলি আম আশা করা বাতুলতা মাত্র। ফজলি গাছ রোপণ করেন তাহলে ফজলি আমই পাবেন। আইনজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতিমালা করার জন্য আপনাদের সোচ্চার হতে হবে।
No comments