নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ড না রাখার কথা ভাবা হবে: আইনমন্ত্রী
ভবিষ্যতে নতুন আইন করার ক্ষেত্রে শাস্তি হিসেবে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে মৃত্যুদণ্ড না রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে বর্তমানে যে সব আইনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে তার কোনো পরিবর্তন হবে না। তিনি বলেন, যেহেতু মৃত্যুদণ্ড সাজা হিসেবে তেমন গ্রহণযোগ্য নয়, সে জন্য এর পরিবর্তন আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। এর আগে আজ সচিবালয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী এই বার্তাই দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছে তখন আমি বলেছি, যেসব অপরাধের জন্য বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড সাজা হিসাবে রয়েছে, সেগুলোর কোনো পরিবর্তন হবে না। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই শাস্তির বিলোপ ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধীদের দণ্ড কার্যকরের সময়ও ইইউ বিবৃতি দিয়ে তা রদ করতে বলেছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যেসব ক্ষেত্রে এড়ানো সম্ভব, সেসব নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হবে না। যেমন ফরমালিনের আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড না রেখে যাবজ্জীবন রাখা ভালো। এই রকম আইন করলে আমরা সেখানে মৃত্যুদণ্ড না রাখার চেষ্টা করব। তবে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে যদি আমরা মনে করি, মৃত্যুদণ্ড রাখাটাই অপরাধ দমনের সবচেয়ে ভালো অস্ত্র, তাহলে (নতুন আইনেও) মৃত্যুদণ্ড থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে। তিনি ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের বলেছেন, সরকার নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ করে ৫৭ ধারার ‘বিভ্রান্তিগুলো’ দূর করার ব্যবস্থা করছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক লেখক-প্রকাশক হত্যার প্রসঙ্গও আসে। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্লগারদের হত্যার ঘটনা সম্পর্কে আমি বলেছি, একটা মামলার রায় হয়েছে। বাকিগুলোর তদন্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দুটো জিনিস করার চেষ্টা করছি। এই হত্যাগুলোর বিচার ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছি। এই রকম হত্যা যাতে না হয়, সেইভাবে আচরণ করতে এবং সকল পক্ষকে সংযত হতে অনুরোধ করছি।’ তবে কারও বাক স্বাধীনতা হরণ করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে কোম্পানি আইন, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। এর আগে আজ সচিবালয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মন্ত্রী এই বার্তাই দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছে তখন আমি বলেছি, যেসব অপরাধের জন্য বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড সাজা হিসাবে রয়েছে, সেগুলোর কোনো পরিবর্তন হবে না। সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই শাস্তির বিলোপ ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধীদের দণ্ড কার্যকরের সময়ও ইইউ বিবৃতি দিয়ে তা রদ করতে বলেছে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে যেসব ক্ষেত্রে এড়ানো সম্ভব, সেসব নতুন আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হবে না। যেমন ফরমালিনের আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড না রেখে যাবজ্জীবন রাখা ভালো। এই রকম আইন করলে আমরা সেখানে মৃত্যুদণ্ড না রাখার চেষ্টা করব। তবে অপরাধের গুরুত্ব বুঝে যদি আমরা মনে করি, মৃত্যুদণ্ড রাখাটাই অপরাধ দমনের সবচেয়ে ভালো অস্ত্র, তাহলে (নতুন আইনেও) মৃত্যুদণ্ড থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা নিয়েও বৈঠকে কথা হয়েছে। তিনি ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের বলেছেন, সরকার নতুন ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ করে ৫৭ ধারার ‘বিভ্রান্তিগুলো’ দূর করার ব্যবস্থা করছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক লেখক-প্রকাশক হত্যার প্রসঙ্গও আসে। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ব্লগারদের হত্যার ঘটনা সম্পর্কে আমি বলেছি, একটা মামলার রায় হয়েছে। বাকিগুলোর তদন্ত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দুটো জিনিস করার চেষ্টা করছি। এই হত্যাগুলোর বিচার ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করছি। এই রকম হত্যা যাতে না হয়, সেইভাবে আচরণ করতে এবং সকল পক্ষকে সংযত হতে অনুরোধ করছি।’ তবে কারও বাক স্বাধীনতা হরণ করার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বৈঠকে কোম্পানি আইন, বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
No comments