নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা- রাকিব-রাজনের মামলার মতো দ্রুত বিচার করুন
নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার দ্রুত
বিচারের ব্যাপারে কৌতূহল শুধু দেশবাসীর নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও।
কারণ, এই অপরাধের পেছনে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের শক্তিশালী সংস্থার কতিপয়
বিপথগামী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। মামলার প্রধান আসামি নূর
হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং এখন বিচার শুরু হওয়ায় মানুষ সতর্কতার সঙ্গে
আশাবাদী হতে চাইছেন। যদিও ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সদস্যরা যথেষ্ট
দ্বিধান্বিত, এমনকি শঙ্কিত বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
সম্প্রতি খুলনার রাকিব ও সিলেটের রাজন হত্যাকাণ্ডের বিচার সাধারণ আদালতে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপিত হয়েছে। সাধারণ আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা স্বাভাবিক মনে করা হয়। তাই কোনো চাঞ্চল্যকর মামলা হলেই অনধিক ১৩৫ দিনে তার বিচার শেষ করার এখতিয়ার-সংবলিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের দাবি ওঠে। এই মামলাতেও তেমন দাবি জোরালো ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।
সাধারণ আদালতে সাত খুনের মামলার দ্রুত বিচারের পথে তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমত, বিচারের জন্য প্রভাবমুক্ত অনুকূল পরিবেশ। দ্বিতীয়ত, সাক্ষী হাজির করা এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এবং তৃতীয়ত, বিচার–প্রক্রিয়ায় ঘন ঘন মুলতবি হতে না দেওয়া। রাকিব-রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জেলা ও দায়রা জজ প্রমাণ রেখেছেন, কোনো প্রকারের মুলতবি ছাড়াই হত্যা মামলার দ্রুত বিচার সম্ভব। প্রসিকিউশন পক্ষের দায়িত্বশীলেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এই মামলায় আসামি গ্রেপ্তার, অভিযোগপত্র প্রদানসহ যে অগ্রগতি ঘটেছে, তাতে ভিন্ন কোনো দুর্বিপাক বা হস্তক্ষেপ তৈরি না হলে এর দ্রুত বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো সংগত কারণ নেই।
আদালত স্থানান্তর করে ঢাকায় বিচার হলে পরিবেশ উন্নয়নে তা সহায়ক হতে পারে। এই মামলায় সরকারের ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত, তাই দায়িত্বশীলদের কাছে অধিকতর দায়িত্বশীলতা কাম্য।
সম্প্রতি খুলনার রাকিব ও সিলেটের রাজন হত্যাকাণ্ডের বিচার সাধারণ আদালতে দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপিত হয়েছে। সাধারণ আদালতে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা স্বাভাবিক মনে করা হয়। তাই কোনো চাঞ্চল্যকর মামলা হলেই অনধিক ১৩৫ দিনে তার বিচার শেষ করার এখতিয়ার-সংবলিত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের দাবি ওঠে। এই মামলাতেও তেমন দাবি জোরালো ছিল। কিন্তু তা করা হয়নি।
সাধারণ আদালতে সাত খুনের মামলার দ্রুত বিচারের পথে তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমত, বিচারের জন্য প্রভাবমুক্ত অনুকূল পরিবেশ। দ্বিতীয়ত, সাক্ষী হাজির করা এবং তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এবং তৃতীয়ত, বিচার–প্রক্রিয়ায় ঘন ঘন মুলতবি হতে না দেওয়া। রাকিব-রাজন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই জেলা ও দায়রা জজ প্রমাণ রেখেছেন, কোনো প্রকারের মুলতবি ছাড়াই হত্যা মামলার দ্রুত বিচার সম্ভব। প্রসিকিউশন পক্ষের দায়িত্বশীলেরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, এই মামলায় আসামি গ্রেপ্তার, অভিযোগপত্র প্রদানসহ যে অগ্রগতি ঘটেছে, তাতে ভিন্ন কোনো দুর্বিপাক বা হস্তক্ষেপ তৈরি না হলে এর দ্রুত বিচার বাধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো সংগত কারণ নেই।
আদালত স্থানান্তর করে ঢাকায় বিচার হলে পরিবেশ উন্নয়নে তা সহায়ক হতে পারে। এই মামলায় সরকারের ভাবমূর্তির প্রশ্ন জড়িত, তাই দায়িত্বশীলদের কাছে অধিকতর দায়িত্বশীলতা কাম্য।
No comments