পার্বত্য জনপদ নিয়ে বই লিখে হুমকিতে লেখিকা
লেখিকা রোকেয়া লিটা পার্বত্য এলাকার জীবন নিয়ে ডুমুরের ফুল নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন।
তিনি বলছেন, এই উপন্যাসে এমন অনেক কিছু তিনি তুলে ধরেছেন, যা পাহাড়িদের পছন্দ হয়নি। এর আগে কেউ এ বিষয়টি তুলেও ধরেন নি।
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর একুশে বইমেলায় কিছু বই বিতর্ক কিংবা আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকসময় এসব বইকে কেন্দ্রকে লেখকদের হুমকি দেয়া কিংবা অপদস্থ করার চেষ্টাও হয়।
এবারের বইমেলায়ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জীবনকে উপজীব্য করে লেখা একটি উপন্যাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখিকাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হচ্ছে তার অভিযোগ।
তিনি বলছেন, যখন কোন গোষ্ঠী দেখে যে, কোন বিষয় তাদের মতের বাইরে, তখন তারা ক্ষেপে ওঠে। এরমধ্যেই তারা আমাকে ফেসবুকের তো প্রকাশ্য একটি জায়গায় ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে।
লেখিকা রোকেয়া লিটা বলছেন, পাহাড়ি উপজাতীয় পুরুষদের দ্বারা পাহাড়ি নারীরা যে ধর্ষণের শিকার হলেও সেটি উঠে আসে না। কিন্তু যেকোনো ঘটনায় ধর্ষণকারী পুরুষ যদি বাঙ্গালী হয়ে থাকেন, সেটির প্রচার বেশি হয়। এ বিষয়টি তুলে আনার কারণেই হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তবে পাহাড়িদের অনেকেই বলছেন, এই বিষয়টির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা জানেননা। তাই হুমকি দেয়ার প্রশ্নও আসেনা।
বাংলাদেশে মত প্রকাশের বিষয়টি কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে গেলে, সেটি নিয়ে লেখকদের উপর আক্রমণ নতুন নয়।
তবে বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে এই বিষয়টিকে পাঠকরা কিভাবে দেখছেন?
একজন বলছেন, লেখক যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তার বই লিখতে পারেন। পাঠক কিভাবে সেটা নেবে, সেটা তার ব্যাপার।
আরেকজন বলছেন, প্রত্যেকের আলাদা একটি সত্ত্বা আছে। সেই সত্ত্বাটা আলাদাভাবে প্রকাশ করতে দেয়া উচিত।
একজন পাঠক বলছেন, আপনি একটি মতামত দিতেই পারেন। কিন্তু সেটিকে সমর্থন না করলেও যে সেটি দাবিয়ে দিতে হবে, সেটা ঠিক না।
পাঠকরা বলছেন, যেকোনো লেখা গ্রহণ করা না করার পূর্ণ স্বাধীনতা পাঠকদের আছে। কিন্তু সেটি কেন্দ্র করে হুমকি দেয়ার উগ্র মানসিকতা দিনদিন বাড়ছে।
লেখকরা বলছেন, এ কারণেই তাদের উদ্বেগ বাড়ছে।
সুত্রঃ বিবিসি
তিনি বলছেন, এই উপন্যাসে এমন অনেক কিছু তিনি তুলে ধরেছেন, যা পাহাড়িদের পছন্দ হয়নি। এর আগে কেউ এ বিষয়টি তুলেও ধরেন নি।
বাংলাদেশে প্রায় প্রতিবছর একুশে বইমেলায় কিছু বই বিতর্ক কিংবা আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকসময় এসব বইকে কেন্দ্রকে লেখকদের হুমকি দেয়া কিংবা অপদস্থ করার চেষ্টাও হয়।
এবারের বইমেলায়ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জীবনকে উপজীব্য করে লেখা একটি উপন্যাস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখিকাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়া হচ্ছে তার অভিযোগ।
তিনি বলছেন, যখন কোন গোষ্ঠী দেখে যে, কোন বিষয় তাদের মতের বাইরে, তখন তারা ক্ষেপে ওঠে। এরমধ্যেই তারা আমাকে ফেসবুকের তো প্রকাশ্য একটি জায়গায় ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে।
লেখিকা রোকেয়া লিটা বলছেন, পাহাড়ি উপজাতীয় পুরুষদের দ্বারা পাহাড়ি নারীরা যে ধর্ষণের শিকার হলেও সেটি উঠে আসে না। কিন্তু যেকোনো ঘটনায় ধর্ষণকারী পুরুষ যদি বাঙ্গালী হয়ে থাকেন, সেটির প্রচার বেশি হয়। এ বিষয়টি তুলে আনার কারণেই হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তবে পাহাড়িদের অনেকেই বলছেন, এই বিষয়টির বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা জানেননা। তাই হুমকি দেয়ার প্রশ্নও আসেনা।
বাংলাদেশে মত প্রকাশের বিষয়টি কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে গেলে, সেটি নিয়ে লেখকদের উপর আক্রমণ নতুন নয়।
তবে বই প্রকাশকে কেন্দ্র করে এই বিষয়টিকে পাঠকরা কিভাবে দেখছেন?
একজন বলছেন, লেখক যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তার বই লিখতে পারেন। পাঠক কিভাবে সেটা নেবে, সেটা তার ব্যাপার।
আরেকজন বলছেন, প্রত্যেকের আলাদা একটি সত্ত্বা আছে। সেই সত্ত্বাটা আলাদাভাবে প্রকাশ করতে দেয়া উচিত।
একজন পাঠক বলছেন, আপনি একটি মতামত দিতেই পারেন। কিন্তু সেটিকে সমর্থন না করলেও যে সেটি দাবিয়ে দিতে হবে, সেটা ঠিক না।
পাঠকরা বলছেন, যেকোনো লেখা গ্রহণ করা না করার পূর্ণ স্বাধীনতা পাঠকদের আছে। কিন্তু সেটি কেন্দ্র করে হুমকি দেয়ার উগ্র মানসিকতা দিনদিন বাড়ছে।
লেখকরা বলছেন, এ কারণেই তাদের উদ্বেগ বাড়ছে।
সুত্রঃ বিবিসি
No comments