ভর্তির নামে অতিরিক্ত ফি- তারা কি সরকার ও আদালতের চেয়েও ক্ষমতাবান?
গত সোমবার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ে
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি ভর্তি ফি আদায় এবং নির্ধারিত আসনের চেয়ে
অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তিসহ শিক্ষার বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে। শিক্ষার
সমস্যা সমাধানে এ ধরনের মতবিনিময় সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এমন সভা শুধু
ঢাকায় সীমিত না রেখে শিক্ষা প্রশাসনের সব স্তরেই হওয়া প্রয়োজন। এতে
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষেও
শিক্ষার সমস্যা অনুধাবন করা সহজ হবে।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত না দেওয়া হলে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এই আইনি ব্যবস্থার মধ্যে পরিচালনা কমিটি অকার্যকর করার কথাও রয়েছে। এর আগে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সেই নির্দেশনা অগ্রাহ্য করল? তাহলে কি তারা নিজেদের সরকার কিংবা আদালতের চেয়েও ক্ষমতাবান ভাবে?
উল্লেখ্য, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে আছেন মন্ত্রী, সাংসদ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। মন্ত্রী-সাংসদ কিংবা সরকারি দলের নেতা হয়েও যদি তাঁরা সরকারি নির্দেশনা না মানেন তাহলে সাধারণ মানুষ কেন মানবে?
যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি নিয়েছে, সেগুলো আর্থিকভাবে মোটেই দুর্বল নয়। এর পেছনে কাজ করেছে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ। আরও উদ্বেগজনক হলো, কতিপয় নামকরা বিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ারও অভিযোগ আছে।
অতিরিক্ত ফি আদায় ও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি—দুই ক্ষেত্রেই সরকারকে কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বেআইনি ভর্তি-বাণিজ্য এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রবণতা বন্ধ করা কঠিন।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রী অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত না দেওয়া হলে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। এই আইনি ব্যবস্থার মধ্যে পরিচালনা কমিটি অকার্যকর করার কথাও রয়েছে। এর আগে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত ভর্তি ফি ফেরত দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে সেই নির্দেশনা অগ্রাহ্য করল? তাহলে কি তারা নিজেদের সরকার কিংবা আদালতের চেয়েও ক্ষমতাবান ভাবে?
উল্লেখ্য, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে আছেন মন্ত্রী, সাংসদ ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। মন্ত্রী-সাংসদ কিংবা সরকারি দলের নেতা হয়েও যদি তাঁরা সরকারি নির্দেশনা না মানেন তাহলে সাধারণ মানুষ কেন মানবে?
যেসব বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ফি নিয়েছে, সেগুলো আর্থিকভাবে মোটেই দুর্বল নয়। এর পেছনে কাজ করেছে অতিরিক্ত মুনাফার লোভ। আরও উদ্বেগজনক হলো, কতিপয় নামকরা বিদ্যালয়ে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ারও অভিযোগ আছে।
অতিরিক্ত ফি আদায় ও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি—দুই ক্ষেত্রেই সরকারকে কঠোর হতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় এই বেআইনি ভর্তি-বাণিজ্য এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের প্রবণতা বন্ধ করা কঠিন।
No comments