আপসহীন সু চি এখন বাস্তববাদী -রয়টার্সের বিশ্লেষণ
মিয়ানমারের
বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি সম্প্রতি একটি বেতার অনুষ্ঠানে সাবেক
জান্তাপ্রধান থান শোয়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা বেশ উচ্ছ্বাসের সঙ্গে
বলছিলেন। থান শোয়ে সম্পর্কে সু চির বিনম্রতায় শ্রোতারা হয়তো বিস্মিত
হয়েছিলেন। কারণ, এই থান শোয়েই ১৫ বছর ধরে গৃহবন্দী রেখেছিলেন গণতন্ত্রকামী
সু চিকে।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, একসময়ের প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভালোই বোঝাপড়া হয়েছে সু চির। মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এ রকম ইঙ্গিত মিলেছে বেশ কয়েকবার। গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেত্রী এখন একজন বাস্তববাদী রাজনীতিকে রূপান্তরিত হয়েছেন। একসময় যাদের কঠোর নিন্দা করতেন, তাদের সঙ্গেই এখন রাজনৈতিক জোট গড়ার জন্য তৈরি তিনি।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করলে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। থান শোয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সু চি বলেছেন, ‘আমাদের এখন আরও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই কাজ করা উচিত—আগে কেন এটা করিনি, সেটা ভাবলে চলবে না।’
থান শোয়ের সেনাবাহিনী শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে যখন ইয়াঙ্গুনের বাড়িতে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। সেই সু চি ৭০ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ের পর সেনাসমর্থিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের সঙ্গে ‘আন্তরিকতাপূর্ণ’ বৈঠক করেছেন।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক রিচার্ড হর্সি বলেন, ব্যাপারটা হলো, পথের বাধা দূর হয়ে যাচ্ছে। সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক অবস্থান গড়ে উঠছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে এটা স্পষ্ট যে এককালের অনমনীয় ও আপসহীন সু চি এখন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ হওয়ার পথে এগোচ্ছেন। কারণ, ২০১১ সালে আধা বেসামরিক শাসন শুরু হলেও মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কার্যত অটুট রয়েছে। সেনাবাহিনী বা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন সু চি। বিশ্লেষকেরা বলেন, ১৯৯০ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই তাঁর এই সতর্কতা।
অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, একসময়ের প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভালোই বোঝাপড়া হয়েছে সু চির। মিয়ানমারে গত ৮ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এ রকম ইঙ্গিত মিলেছে বেশ কয়েকবার। গণতন্ত্রের জন্য আপসহীন নেত্রী এখন একজন বাস্তববাদী রাজনীতিকে রূপান্তরিত হয়েছেন। একসময় যাদের কঠোর নিন্দা করতেন, তাদের সঙ্গেই এখন রাজনৈতিক জোট গড়ার জন্য তৈরি তিনি।
সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করলে দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। থান শোয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সু চি বলেছেন, ‘আমাদের এখন আরও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্যই কাজ করা উচিত—আগে কেন এটা করিনি, সেটা ভাবলে চলবে না।’
থান শোয়ের সেনাবাহিনী শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চিকে যখন ইয়াঙ্গুনের বাড়িতে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল। সেই সু চি ৭০ বছর বয়সে নির্বাচনে জয়ের পর সেনাসমর্থিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইংয়ের সঙ্গে ‘আন্তরিকতাপূর্ণ’ বৈঠক করেছেন।
মিয়ানমারে জাতিসংঘের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক রিচার্ড হর্সি বলেন, ব্যাপারটা হলো, পথের বাধা দূর হয়ে যাচ্ছে। সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক অবস্থান গড়ে উঠছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে এটা স্পষ্ট যে এককালের অনমনীয় ও আপসহীন সু চি এখন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ হওয়ার পথে এগোচ্ছেন। কারণ, ২০১১ সালে আধা বেসামরিক শাসন শুরু হলেও মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কার্যত অটুট রয়েছে। সেনাবাহিনী বা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন সু চি। বিশ্লেষকেরা বলেন, ১৯৯০ সালের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই তাঁর এই সতর্কতা।
No comments