পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুদা ও সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জের
মেয়র নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা ও
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন। তারা পদত্যাগের
বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। এমন তথ্য উঠে এসেছে সাখাওয়াত হোসেনের
লেখা ‘নির্বাচন কমিশনে পাঁচ বছর’ শীর্ষক বইয়ে। তিনি তাঁর বইয়ের
‘নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা নির্বাচন’ নামক অধ্যায়ে এসব কথা তুলে ধরেন।
সাখাওয়াত হোসেন লিখেন, জুমার নামাজের পর বেলা প্রায় ৩টায় আমার অফিসে প্রনিক
(প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আসলেন। তিনি বললেন যে, তিনি কারও কাছে কোনো
সদুত্তর পাননি। পরিষ্কার করে কেউ কিছু বলছে না। আমরা নিশ্চিত হলাম, যে
কারণেই হোক সরকার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে আমাদের চাহিদা মতো সেনাবাহিনী
দিচ্ছে না। আমরা দুজনেই আলোচনা করেছিলাম আমাদের করণীয় কী হতে পারে। মাত্র
একদিন পর ভোটগ্রহণ করার কথা। এদিকে নিশ্চিত খবর পাচ্ছিলাম যে, সিদ্ধিরগঞ্জ
এবং বন্দরের কোনো এক প্রার্থীর পক্ষে বেশ কিছু ভোট কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনা
রয়েছে। অপরদিকে চার দিন আগে শহরের মধ্যে এক মন্দিরে কে বা কারা প্রতিমা
ভেঙেছে। যে কারণে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এক্ষণে সেনাবাহিনী
না পাওয়া যাওয়ার খবর কিছু মিডিয়া মারফত প্রচারও হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওই
নির্বাচনের প্রায় সপ্তাহখানেক আগ হতেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো নারায়ণগঞ্জে
অস্থায়ী স্টুডিও বসিয়েছিল।
সাখাওয়াত আরও লিখেন, আমরা অফিসেই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। দুটি খোলা পথ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। একটি ছিল এ অবস্থাতেই নির্বাচন করা যদি কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় তবে সম্পূর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা, যা সহজতর হতো না। দ্বিতীয়টি পথ ছিল সম্পূর্ণ পরিস্থিতি মিডিয়াকে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন স্থগিত করে আমাদের দুজনেরই পদত্যাগ করা। তেমনটা করলে ওই সময়ে বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিরাট ইস্যু যোগ হতো; তা হতো সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। তবে এটা সত্য নির্বাচন স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত হলে আমাদের সামনে পদত্যাগই একমাত্র পথ ছিল। আমরা দুজন এ ব্যাপারে এক প্রকার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছিলাম। ইতিমধ্যে অনেকটা অবাক করে সচিব ড. মোহাম্মদ সাদেক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি জানালে যে, টিভির স্ক্রিনের মাধ্যমে অফিসে আমাদের উপস্থিতি জেনে স্বউদ্যোগেই এসেছেন। আমরা অবশ্য সচিবকে খবর দেইনি। যাই হোক, আমরা তার উপস্থিতিকে স্বাগত জানালে তিনি বিনীতভাবে বলেছিলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা পুনর্বিবেচনা করতে। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যার আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপরে আমার বিনীত অনুরোধ আরেকবার ভেবে দেখবেন। আপনাদের পদত্যাগের খবর রটলেই রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি হবে।’ আমি বলেছিলাম যে, আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা রয়েছে? সঙ্গে বললাম যে, সেনাবাহিনী পাওয়া যাচ্ছে না সে খবর নারায়ণগঞ্জে প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শামীম ওসমান বলেছিলেন যে, তিনি এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। তিনি যেকোনো অবস্থায় নির্বাচন করবেন। এ পরিস্থিতিতে অন্য প্রধান দুই প্রার্থীর একজন নির্বাচনে থাকবেন না বলে প্রথম থেকেই আমার ধারণা ছিল। কাজেই অপর মূল প্রার্থীর মনোভাব জানলে আমাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত যথার্থ হবে কি না ভাববার সুযোগ পাবো।
সাখাওয়াত আরও লিখেন, আমরা অফিসেই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। দুটি খোলা পথ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। একটি ছিল এ অবস্থাতেই নির্বাচন করা যদি কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘিœত হয় তবে সম্পূর্ণ নির্বাচন বন্ধ করা, যা সহজতর হতো না। দ্বিতীয়টি পথ ছিল সম্পূর্ণ পরিস্থিতি মিডিয়াকে জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন স্থগিত করে আমাদের দুজনেরই পদত্যাগ করা। তেমনটা করলে ওই সময়ে বিরোধী দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিরাট ইস্যু যোগ হতো; তা হতো সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। তবে এটা সত্য নির্বাচন স্থগিতের মতো সিদ্ধান্ত হলে আমাদের সামনে পদত্যাগই একমাত্র পথ ছিল। আমরা দুজন এ ব্যাপারে এক প্রকার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেলেছিলাম। ইতিমধ্যে অনেকটা অবাক করে সচিব ড. মোহাম্মদ সাদেক এসে উপস্থিত হলেন। তিনি জানালে যে, টিভির স্ক্রিনের মাধ্যমে অফিসে আমাদের উপস্থিতি জেনে স্বউদ্যোগেই এসেছেন। আমরা অবশ্য সচিবকে খবর দেইনি। যাই হোক, আমরা তার উপস্থিতিকে স্বাগত জানালে তিনি বিনীতভাবে বলেছিলেন, আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা পুনর্বিবেচনা করতে। তিনি বলেছিলেন, ‘স্যার আপনাদের সিদ্ধান্তের ওপরে আমার বিনীত অনুরোধ আরেকবার ভেবে দেখবেন। আপনাদের পদত্যাগের খবর রটলেই রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি হবে।’ আমি বলেছিলাম যে, আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা রয়েছে? সঙ্গে বললাম যে, সেনাবাহিনী পাওয়া যাচ্ছে না সে খবর নারায়ণগঞ্জে প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শামীম ওসমান বলেছিলেন যে, তিনি এসব নিয়ে মাথা ঘামান না। তিনি যেকোনো অবস্থায় নির্বাচন করবেন। এ পরিস্থিতিতে অন্য প্রধান দুই প্রার্থীর একজন নির্বাচনে থাকবেন না বলে প্রথম থেকেই আমার ধারণা ছিল। কাজেই অপর মূল প্রার্থীর মনোভাব জানলে আমাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত যথার্থ হবে কি না ভাববার সুযোগ পাবো।
No comments