সোনা ছিনতাই, দুই পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে
এক ব্যবসায়ীর ১০২ ভরি সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য ও এক
ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে ৩৮ ভরি
এবং ছিনতাইকারীর বাসা থেকে ৫২ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া এএসআই মিজানুর রহমান বর্তমানে কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়োজিত রয়েছেন। অন্যদিকে কনস্টেবল খান-এ আলমও একই ফাঁড়িতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ বিভাগ সোমবার রাতে তাদের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা জানাজানি হলে কোতোয়ালি থানায় ভিড় করেন ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যবসায়ীর পরিবার, লোকজন ও সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বলেছে, অপর এক ছিনতাইকারীর সহযোগিতায় এমন অপকর্ম ঘটিয়েছে। আল-আমীন নামের ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ১০২ ভরি সোনার মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে ৩৮ ভরি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ছিনতাইকারীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫২ ভরি সোনা।
জানতে চাই?লে এ বিষয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইপিজেড এলাকার ছিনতাইকারী আল- আমীনকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে জানতে পারি এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য রয়েছে। পরে ঘটনা খতিয়ে দেখে সত্যতা পেয়ে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারের পর ওইসব সোনা নিজেরা ভাগাভাগি করে রেখেছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
কিভাবে পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয় জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, গত সোমবার ইপিজেড এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় ছিনতাইকারী আল- আমিনকে। সে জানায়, এই কাজে ওই দুই পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছে। এরপর গত সোমবার রাতে কৌশলে তাদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে তারা।
পরে সবার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইপিজেড এলাকার একটি গলির আল-আমিনের বাসা থেকে চারটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ওজন ৫২ ভরি। অন্যদিকে লালখান বাজারে ছিল এএসআই মিজানুর রহমানের বাসা। তার বাড়ির আলমারিতে পাওয়া যায় ২৬ ভরি ওজনের সোনার বার। সহযোগী কনস্টেবল চকবাজারের খান এ আলমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ ভরি সোনা।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী দোলন বিশ্বাসের পরিবার অভিযোগ করেন, ছিনতাই হওয়া সোনার মধ্যে ১২ ভরির কোন খোঁজ নেই। তারা সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। ৯০ ভরি সোনা মাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ইফতেখার নামের আরেক ছিনতাইকারীকে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, আইন সবার জন্য সমান। পুলিশ পরিচয়ে তারা ছিনতাই করে যে অপকর্ম করেছে তা সত্যিই নিন্দনীয়। এ জন্য তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতে সন্ধ্যার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি সোনা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা হয় হাজারী লেইনের সোনা ব্যবসায়ী দোলন বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ২১শে সেপ্টেম্বরের ঘটনা এটি। আমি ঢাকায় যাওয়ার পথে তারা আমাকে তুলে নিয়ে শহরের লাভ লেইনে নিয়ে আসে। এরপর সব ছিনতাই করে বলে কি করতে পারবি কর।
তিনি আরও বলেন, আমি ঘটনার পরপরই থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশকে বলেছিলাম যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের হাতে ওয়্যারলেস ছিলো। ওরা আমাকে ডিবি বলে নিয়ে যায়।
গ্রেপ্তার হওয়া এএসআই মিজানুর রহমান বর্তমানে কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়োজিত রয়েছেন। অন্যদিকে কনস্টেবল খান-এ আলমও একই ফাঁড়িতে রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ বিভাগ সোমবার রাতে তাদের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা জানাজানি হলে কোতোয়ালি থানায় ভিড় করেন ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যবসায়ীর পরিবার, লোকজন ও সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুইজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। বলেছে, অপর এক ছিনতাইকারীর সহযোগিতায় এমন অপকর্ম ঘটিয়েছে। আল-আমীন নামের ওই ছিনতাইকারীকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ১০২ ভরি সোনার মধ্যে দুই পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে ৩৮ ভরি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ছিনতাইকারীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৫২ ভরি সোনা।
জানতে চাই?লে এ বিষয়ে মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি জসিম উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইপিজেড এলাকার ছিনতাইকারী আল- আমীনকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে জানতে পারি এই ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য রয়েছে। পরে ঘটনা খতিয়ে দেখে সত্যতা পেয়ে তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারের পর ওইসব সোনা নিজেরা ভাগাভাগি করে রেখেছে বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
কিভাবে পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয় জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, গত সোমবার ইপিজেড এলাকা থেকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় ছিনতাইকারী আল- আমিনকে। সে জানায়, এই কাজে ওই দুই পুলিশ সদস্য জড়িত রয়েছে। এরপর গত সোমবার রাতে কৌশলে তাদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। একপর্যায়ে ঘটনার দায় স্বীকার করে তারা।
পরে সবার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইপিজেড এলাকার একটি গলির আল-আমিনের বাসা থেকে চারটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ওজন ৫২ ভরি। অন্যদিকে লালখান বাজারে ছিল এএসআই মিজানুর রহমানের বাসা। তার বাড়ির আলমারিতে পাওয়া যায় ২৬ ভরি ওজনের সোনার বার। সহযোগী কনস্টেবল চকবাজারের খান এ আলমের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ ভরি সোনা।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবসায়ী দোলন বিশ্বাসের পরিবার অভিযোগ করেন, ছিনতাই হওয়া সোনার মধ্যে ১২ ভরির কোন খোঁজ নেই। তারা সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। ৯০ ভরি সোনা মাত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় ইফতেখার নামের আরেক ছিনতাইকারীকে গত নভেম্বরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, আইন সবার জন্য সমান। পুলিশ পরিচয়ে তারা ছিনতাই করে যে অপকর্ম করেছে তা সত্যিই নিন্দনীয়। এ জন্য তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালতে সন্ধ্যার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি সোনা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কথা হয় হাজারী লেইনের সোনা ব্যবসায়ী দোলন বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত ২১শে সেপ্টেম্বরের ঘটনা এটি। আমি ঢাকায় যাওয়ার পথে তারা আমাকে তুলে নিয়ে শহরের লাভ লেইনে নিয়ে আসে। এরপর সব ছিনতাই করে বলে কি করতে পারবি কর।
তিনি আরও বলেন, আমি ঘটনার পরপরই থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশকে বলেছিলাম যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের হাতে ওয়্যারলেস ছিলো। ওরা আমাকে ডিবি বলে নিয়ে যায়।
No comments