দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: খালেদা
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আপনারা সবাই মিলে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের ভোটের মর্যাদা রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তি যেকোনো স্বৈরশাসকের অসৎ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে ডাকা এ সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ২৯ মিনিটের লিখিত বক্তব্য পড়েন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরাও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শাসক দল নির্বাচনের ওপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের যে পরিকল্পনা করেছে, তা শান্তিপূর্ণ পন্থায় ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।’ তিনি মেয়র পদে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছি।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, পৌর নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। বিরোধী দলের অফিস ও প্রার্থীর ওপর হামলা, সমর্থকদের হত্যা, প্রচারে বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, গ্রেপ্তার ও হুমকি চরম আকার ধারণ করেছে। এই ‘নাজুক পরিস্থিতি’তে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি আবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এত অনীহার কারণ কী?’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি একটি স্বাধীন জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলেই পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে। আর তাহলেই কমিশন তাদের হারানো ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের সমর্থক, ভোটার ও সম্ভাব্য এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাসী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির সদস্যকে এই অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে। শাসক দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা নির্বাচনী আচরণবিধি বেপরোয়াভাবে লঙ্ঘন করে চলেছেন। এর কিছু কিছু খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলেও মামুলি কারণ দর্শানো নোটিশ এবং তারপর লোক দেখানো দুঃখ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন দায় সারছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীনদের আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নিজেদের অসহায়ত্ব ও অক্ষমতাই প্রকাশ করেছে।
তড়িঘড়ি এবং দলভিত্তিক পৌর নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের উল্লেখ করে বলেন, ওই নির্বাচন দেশ-বিদেশের কারও কাছে গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের নৈতিক বৈধতার সংকট রয়ে গেছে। এখন সরকার দলীয় ভিত্তিতে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করার ব্যবস্থা করেছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের দুরাশা নিয়ে। তারা এই নির্বাচনে সব রকম অনিয়মের মাধ্যমে ফল পাল্টে দিয়ে দেশবাসী ও পৃথিবীকে দেখাতে চায়, তাদেরও জনপ্রিয়তা আছে।
খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাস, দখলদারি ও কারচুপির উল্লেখ করে গণমাধ্যমের সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এবার সাংবাদিকেরা যাতে নির্বাচনকালে পেশাগত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চলছে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বক্তব্যের শুরুতে খালেদা জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানান। তিনি সম্প্রতি বিদেশি নাগরিক, ধর্মীয় সমাবেশ, মসজিদ ও উপাসনালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানান। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সেই জঙ্গিবাদকে সাফল্যের সঙ্গে দমন করেছিলেন। বিলুপ্তপ্রায় জঙ্গিবাদীরা আবার নতুন শক্তিতে সংগঠিত হয়েছে কি না এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তি যেকোনো স্বৈরশাসকের অসৎ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে ডাকা এ সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া ২৯ মিনিটের লিখিত বক্তব্য পড়েন। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরাও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শাসক দল নির্বাচনের ওপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের যে পরিকল্পনা করেছে, তা শান্তিপূর্ণ পন্থায় ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।’ তিনি মেয়র পদে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীদের জয়যুক্ত করতে দেশবাসীকে অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবেই আমরা আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছি।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, পৌর নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। বিরোধী দলের অফিস ও প্রার্থীর ওপর হামলা, সমর্থকদের হত্যা, প্রচারে বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, গ্রেপ্তার ও হুমকি চরম আকার ধারণ করেছে। এই ‘নাজুক পরিস্থিতি’তে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তিনি আবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের এত অনীহার কারণ কী?’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি একটি স্বাধীন জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলেই পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে। আর তাহলেই কমিশন তাদের হারানো ভাবমূর্তি ফিরে পেতে পারে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, বিরোধী দলের সমর্থক, ভোটার ও সম্ভাব্য এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাসী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একশ্রেণির সদস্যকে এই অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে। শাসক দলের মন্ত্রী-সাংসদেরা নির্বাচনী আচরণবিধি বেপরোয়াভাবে লঙ্ঘন করে চলেছেন। এর কিছু কিছু খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলেও মামুলি কারণ দর্শানো নোটিশ এবং তারপর লোক দেখানো দুঃখ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন দায় সারছে। ইতিমধ্যে ক্ষমতাসীনদের আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেছে নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে নিজেদের অসহায়ত্ব ও অক্ষমতাই প্রকাশ করেছে।
তড়িঘড়ি এবং দলভিত্তিক পৌর নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সমালোচনা করেন খালেদা জিয়া। তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের উল্লেখ করে বলেন, ওই নির্বাচন দেশ-বিদেশের কারও কাছে গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের নৈতিক বৈধতার সংকট রয়ে গেছে। এখন সরকার দলীয় ভিত্তিতে পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করার ব্যবস্থা করেছে সেই সংকট থেকে উত্তরণের দুরাশা নিয়ে। তারা এই নির্বাচনে সব রকম অনিয়মের মাধ্যমে ফল পাল্টে দিয়ে দেশবাসী ও পৃথিবীকে দেখাতে চায়, তাদেরও জনপ্রিয়তা আছে।
খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সন্ত্রাস, দখলদারি ও কারচুপির উল্লেখ করে গণমাধ্যমের সততা ও বস্তুনিষ্ঠতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এবার সাংবাদিকেরা যাতে নির্বাচনকালে পেশাগত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে না পারেন, তার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চলছে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
বক্তব্যের শুরুতে খালেদা জিয়া স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানান। তিনি সম্প্রতি বিদেশি নাগরিক, ধর্মীয় সমাবেশ, মসজিদ ও উপাসনালয়ে বোমা হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানান। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাঁরা সেই জঙ্গিবাদকে সাফল্যের সঙ্গে দমন করেছিলেন। বিলুপ্তপ্রায় জঙ্গিবাদীরা আবার নতুন শক্তিতে সংগঠিত হয়েছে কি না এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
No comments