বাংলাদেশে ছয় হামলার পেছনে আইএস -আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের
আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে এক প্রতিবেদনে গোয়েন্দা কর্মকর্তার
বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছয়টি হামলার পেছনে আইএস জড়িত থাকার
প্রমাণ মিলেছে। ঘাড়ে নিশ্বাস এবার, আইএস এখানে অপারেশনে নামছে- শীর্ষক ওই
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বার ইসলামিক স্টেটের হামলার লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ? আর
শুধুই ‘নিশ্বাস’ ফেলা নয়। সম্ভবত, এই বাংলায়, আমাদের ঘাড়েই এসে পড়েছে
আইএস।
নিছক ‘জিহাদি’র পক্ষে প্রচার বা লোক-নিয়োগের ছক নয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পুরোদস্তুর ‘অপারেশন’ চালানোর ফন্দি এঁটেছে আইএস জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ঝাড়খন্ডে।
তা বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। হতে পারে জনবহুল এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি-বর্ষণের ঘটনা। বা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা। যা কলকাতা, গুয়াহাটি, রাঁচির মতো ভারতের পুর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজধানী শহরগুলোকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। আর শুধুই বিক্ষিপ্ত দু’-একটা বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখ-ে পাকাপাকি ভাবে নিজেদের ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। আর তার জন্য কোনও স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় স্তরের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাঁধে কাঁধ মেলাতে শুরু করে দিয়েছে আইএস। সিরিয়ার এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি ইতিমধ্যেই হাতে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশের ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি) ও জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মূজাহিদিন’-এর সঙ্গে। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সংগঠন ও অভিযান চালানোর নিরিখে, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখ-ে সক্রিয় আইএস জঙ্গিরা বাংলাদেশের ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি)-এরই বেশি ঘনিষ্ঠ।
কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন গোয়েন্দারা?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ‘বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনাতেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি) কী ভাবে, দ্রুত হারে কতটা ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে ভারতের মাটিতে। গত সাত বছরে জেএমবি হাজার হাজার ভারতীয় মুসলিমকে তাদের সংগঠনে ভিড়িয়েছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অসম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে নিয়ে ‘বৃহত্তর মুসলিম বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে জেএমবি। খাগড়াগড়ের ঘটনায় জড়িতদের সামান্য কয়েক জনেরই নাগাল পেয়েছে পুলিশ, এনআইএ। বডসড় চাঁইরা এখনও ধরা পড়েনি। গত ৩১ অগস্ট ১২টি রাজ্যের পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে পেশ হওয়া এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় গত কয়েক মাস হল একেবারে মাঠে নেমে পড়েচে আইএস জঙ্গিরা। তাদের সমর্থনে জোর দেওয়াল লিখন চলছে ওই দু’টি জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায়। আর সেই সব দেওয়াল লিখন মুছে ফেলাও হচ্ছে না। তার মানে, ওই সব এলাকায় কিছুটা হলেও, জনসমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে আইএস। আর এমন সব এলাকায় সেটা হয়েছে, যেখানে না আছে সাইবার ক্যাফে, না আছে ঘরে ঘরে কম্পিউটার-ল্যাপটপ। ফলে, ওই সব এলাকার মানুষ যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএসের প্রচারে ‘মোহিত’ হয়েছেন, তা নয়।’’
ওই গোয়েন্দা অফিসারের প্রশ্ন, তা হলে ওই সব এলাকার সাধারণ মানুষকে কারা আইএসের মন্ত্রে দীক্ষিত করছেন?’
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বাংলাদেশের জেএমবি-র খুব শক্ত ঘাঁটি রয়েছে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের ওই সব এলাকায়। জেএমবি-ই ওই এলাকাগুলোতে আইএসের ভিত গড়ে দিচ্ছে। রাজ্যে বড়সড় হামলার ভিত গড়ে তুলছে একটু একটু করে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখন্ডে আইএসের ‘বীজ বপনে’র জন্য কি বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘রিমোট কন্ট্রোলে’ কাজকর্ম চালাচ্ছে জেএমবি ও আইএস জঙ্গিরা?
এনআইএ-র এক গোয়েন্দা কর্তা জানাচ্ছেন, ‘‘এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের দিনাজপুর, ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহিতে যে ছ’টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পরে তার প্রত্যেকটিরই দায় স্বীকার করেছে আইএস। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়, বাংলাদেশে আইএসের ‘ওয়ার্কিং সেন্টার’ না থাকলে এটা কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে? তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি, প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনেই রয়েছে আইএস। আর তাদের অস্ত্র ও লোকবল দিয়ে সাহায্য করেছে জেএমবি। মজার ঘটনা হল, ওই জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো যে সব এলাকায় ঘটেছে, সেই সবক’টি এলাকাই জেএমবি-র অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি। ‘বাংলা ভাই’-সহ দুই জেএমবি নেতার ফাঁসি ও সংগঠনের বহু নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি এখন আইএসের ‘ছদ্মবেশে’ বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের ‘অপারেশন’গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ‘অপারেশনে’র প্রস্তুতি নিচ্ছে। জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
জেএমবি ও আইএসের ভাবসাবের আর কী কী প্রমাণ মিলেছে?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার জানিয়েছেন, এক, বাংলাদেশ ও খাগড়াগগে আত্মঘাতী জঙ্গিদের দেহে যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট বা সুইসাইড ভেস্ট পাওয়া গিয়েছে, তা একমাত্র্ আইএস জঙ্গিরাই ব্যবহার করে। দুই, জঙ্গিদের ব্যবহার করা জেলি জাতীয় এক ধরনের বিস্ফোরক। যা বাংলাদেশে কখনও তৈরি হয় না। আর যা আইএস জঙ্গিদের হাতে হাতে ঘোরে। তিন, জঙ্গিদের কাছ থেকে যে আমেরিকায় বানানো ‘এম-১১’ স্নাইপার রাইফেল মিলেছে, তা আইএস জঙ্গি ছাডা ভাবাই যায় না। চার, জঙ্গিদের ইউনিফর্ম। আর পাঁচ, তাদের লিফলেট। যেখানে জেএমবি প্রকাশ্যে আইএসের কাজকর্ম ও মতাদর্শকে সমর্থন করেছে।
নিছক ‘জিহাদি’র পক্ষে প্রচার বা লোক-নিয়োগের ছক নয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, পুরোদস্তুর ‘অপারেশন’ চালানোর ফন্দি এঁটেছে আইএস জঙ্গিরা। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ঝাড়খন্ডে।
তা বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে। হতে পারে জনবহুল এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি-বর্ষণের ঘটনা। বা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা। যা কলকাতা, গুয়াহাটি, রাঁচির মতো ভারতের পুর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজধানী শহরগুলোকে কাঁপিয়ে দিতে পারে। আর শুধুই বিক্ষিপ্ত দু’-একটা বিস্ফোরণ বা আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখ-ে পাকাপাকি ভাবে নিজেদের ঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। আর তার জন্য কোনও স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় স্তরের সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কাঁধে কাঁধ মেলাতে শুরু করে দিয়েছে আইএস। সিরিয়ার এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি ইতিমধ্যেই হাতে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশের ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি) ও জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মূজাহিদিন’-এর সঙ্গে। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সংগঠন ও অভিযান চালানোর নিরিখে, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখ-ে সক্রিয় আইএস জঙ্গিরা বাংলাদেশের ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি)-এরই বেশি ঘনিষ্ঠ।
কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন গোয়েন্দারা?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ‘বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনাতেই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন’ (জেএমবি) কী ভাবে, দ্রুত হারে কতটা ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে ভারতের মাটিতে। গত সাত বছরে জেএমবি হাজার হাজার ভারতীয় মুসলিমকে তাদের সংগঠনে ভিড়িয়েছে। অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে। অসম ও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে নিয়ে ‘বৃহত্তর মুসলিম বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছে জেএমবি। খাগড়াগড়ের ঘটনায় জড়িতদের সামান্য কয়েক জনেরই নাগাল পেয়েছে পুলিশ, এনআইএ। বডসড় চাঁইরা এখনও ধরা পড়েনি। গত ৩১ অগস্ট ১২টি রাজ্যের পুলিশের ডিজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে পেশ হওয়া এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায় গত কয়েক মাস হল একেবারে মাঠে নেমে পড়েচে আইএস জঙ্গিরা। তাদের সমর্থনে জোর দেওয়াল লিখন চলছে ওই দু’টি জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায়। আর সেই সব দেওয়াল লিখন মুছে ফেলাও হচ্ছে না। তার মানে, ওই সব এলাকায় কিছুটা হলেও, জনসমর্থন আদায় করে নিতে পেরেছে আইএস। আর এমন সব এলাকায় সেটা হয়েছে, যেখানে না আছে সাইবার ক্যাফে, না আছে ঘরে ঘরে কম্পিউটার-ল্যাপটপ। ফলে, ওই সব এলাকার মানুষ যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আইএসের প্রচারে ‘মোহিত’ হয়েছেন, তা নয়।’’
ওই গোয়েন্দা অফিসারের প্রশ্ন, তা হলে ওই সব এলাকার সাধারণ মানুষকে কারা আইএসের মন্ত্রে দীক্ষিত করছেন?’
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে, বাংলাদেশের জেএমবি-র খুব শক্ত ঘাঁটি রয়েছে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের ওই সব এলাকায়। জেএমবি-ই ওই এলাকাগুলোতে আইএসের ভিত গড়ে দিচ্ছে। রাজ্যে বড়সড় হামলার ভিত গড়ে তুলছে একটু একটু করে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ঝাডখন্ডে আইএসের ‘বীজ বপনে’র জন্য কি বাংলাদেশের মাটি থেকে ‘রিমোট কন্ট্রোলে’ কাজকর্ম চালাচ্ছে জেএমবি ও আইএস জঙ্গিরা?
এনআইএ-র এক গোয়েন্দা কর্তা জানাচ্ছেন, ‘‘এ বছর ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের দিনাজপুর, ঢাকা, রংপুর ও রাজশাহিতে যে ছ’টি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, পরে তার প্রত্যেকটিরই দায় স্বীকার করেছে আইএস। তখনই আমাদের সন্দেহ হয়, বাংলাদেশে আইএসের ‘ওয়ার্কিং সেন্টার’ না থাকলে এটা কী ভাবে সম্ভব হচ্ছে? তদন্তে নেমে আমরা জানতে পারি, প্রত্যেকটি ঘটনার পিছনেই রয়েছে আইএস। আর তাদের অস্ত্র ও লোকবল দিয়ে সাহায্য করেছে জেএমবি। মজার ঘটনা হল, ওই জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলো যে সব এলাকায় ঘটেছে, সেই সবক’টি এলাকাই জেএমবি-র অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি। ‘বাংলা ভাই’-সহ দুই জেএমবি নেতার ফাঁসি ও সংগঠনের বহু নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি এখন আইএসের ‘ছদ্মবেশে’ বাংলাদেশ ও ভারতের পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তাদের ‘অপারেশন’গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ‘অপারেশনে’র প্রস্তুতি নিচ্ছে। জঙ্গিদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
জেএমবি ও আইএসের ভাবসাবের আর কী কী প্রমাণ মিলেছে?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার জানিয়েছেন, এক, বাংলাদেশ ও খাগড়াগগে আত্মঘাতী জঙ্গিদের দেহে যে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট বা সুইসাইড ভেস্ট পাওয়া গিয়েছে, তা একমাত্র্ আইএস জঙ্গিরাই ব্যবহার করে। দুই, জঙ্গিদের ব্যবহার করা জেলি জাতীয় এক ধরনের বিস্ফোরক। যা বাংলাদেশে কখনও তৈরি হয় না। আর যা আইএস জঙ্গিদের হাতে হাতে ঘোরে। তিন, জঙ্গিদের কাছ থেকে যে আমেরিকায় বানানো ‘এম-১১’ স্নাইপার রাইফেল মিলেছে, তা আইএস জঙ্গি ছাডা ভাবাই যায় না। চার, জঙ্গিদের ইউনিফর্ম। আর পাঁচ, তাদের লিফলেট। যেখানে জেএমবি প্রকাশ্যে আইএসের কাজকর্ম ও মতাদর্শকে সমর্থন করেছে।
No comments