‘দেশে অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা, উদ্ধার তৎপরতা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বন্ধুপ্রতীম যে কোন দেশের এ জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও আমাদের বিমান বাহিনী অবদান রাখছে। নেপালের সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এর উদাহরণ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমরা আজ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে তুলে ধরেছি। আমাদের কর্ম সংস্থান বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। দারিদ্রের হার ২২ দশমিক ৪ ভাগে নেমে এসছে। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলারে।প্রতিটি সেক্টরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার যশোরের বিমানবাহিনী একাডেমির রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ অনুযায়ী গত ৭ বছরে আমরা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এফএম-৯০। বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
সকল ধরনের বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে আমরা নির্মাণ করেছি বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। একইসাথে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টার ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে ২১৬ এমআরও ইউনিট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসময় মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। স্বাধীনতার পর দেশের বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখহাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) একটি দক্ষ ও চৌকস বিমান বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিমান বাহিনীর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। বিদেশ থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেন। জাতির পিতা চট্টগ্রামে জহুরুল হক ঘাঁটির গোড়াপত্তন করেন। প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত গাড়ী বহরে কুচকাওয়াজ স্থলে প্রবেশ করলে বিউগলে প্রধানমন্ত্রীর আগমনি বার্তা বাজানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী হুটখোলা জিপে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ করেন এবং মার্চ পাস্টের সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী নবীন ক্যাডেটদের ব্যাজ পরিয়ে দেন এবং প্রশিক্ষণে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট আবু আহসান মেহেদী সোর্ড অব অনার, মোহাম্মদ আলী কমাডেন্ট ট্রফি, সাদমান আলী বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি ও মাশরুর রহমান বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি লাভকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সেনা ও নৌ বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্যরা ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ অনুযায়ী গত ৭ বছরে আমরা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর উন্নয়ন করে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে বিমান বাহিনীতে সংযোজন করেছি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান, এমআই-১৭১ এসএইচ হেলিকপ্টার, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এফএম-৯০। বিমান ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু ও কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ ঘাঁটি হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে।
সকল ধরনের বিমান ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণ এবং ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে আমরা নির্মাণ করেছি বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টার। একইসাথে এমআই সিরিজ হেলিকপ্টার ওভারহোলিংয়ের লক্ষ্যে ২১৬ এমআরও ইউনিট নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসময় মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাসকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। স্বাধীনতার পর দেশের বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখহাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তিনি (বঙ্গবন্ধু) একটি দক্ষ ও চৌকস বিমান বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিমান বাহিনীর জন্য বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। বিদেশ থেকে আধুনিক সমরাস্ত্র সংগ্রহ করেন। জাতির পিতা চট্টগ্রামে জহুরুল হক ঘাঁটির গোড়াপত্তন করেন। প্রধানমন্ত্রী নবীন ক্যাডেটদের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর সুসজ্জিত গাড়ী বহরে কুচকাওয়াজ স্থলে প্রবেশ করলে বিউগলে প্রধানমন্ত্রীর আগমনি বার্তা বাজানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী হুটখোলা জিপে দাঁড়িয়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ করেন এবং মার্চ পাস্টের সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারী নবীন ক্যাডেটদের ব্যাজ পরিয়ে দেন এবং প্রশিক্ষণে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ফ্লাইট ক্যাডেট আবু আহসান মেহেদী সোর্ড অব অনার, মোহাম্মদ আলী কমাডেন্ট ট্রফি, সাদমান আলী বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি ও মাশরুর রহমান বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি লাভকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, সেনা ও নৌ বাহিনী প্রধান, সংসদ সদস্যরা ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
No comments