নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা, সাহস এবং ব্যক্তিত্ব দেখি না -আসিফ নজরুল
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, পৌরসভা
নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন ছিল তা
অনেক অংশেই নির্বাচন কমিশন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। মন্ত্রী-এমপিরা আচরণবিধি
ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনের আগে
এত গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে। বিরোধী
দলের প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা
অভিযোগ করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে ভোটারদের মধ্যে
আত্মবিশ্বাস থাকতো। কিন্তু সেনাবাহিনী মোতায়েন না করে নির্বাচন কমিশন
বিজিবি মোতায়েন করেছে। বিজিবির প্রধান রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন বিভিন্ন
সময়। উনার নেতৃত্বে বিজিবি যতদিন থাকবে ততদিন বিজিবি মাঠে নামলে বিরোধী
দলের নেতাকর্মীরা ভীত সন্ত্রস্ত হবে আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উৎসাহিত
হবে। বিজিবি মোতায়েনের ফলে মানুষের মনে আস্থা তৈরি হবে না। আসিফ নজরুল
মানবজমিনকে বলেন সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচরণার জন্য একটা
বিজ্ঞাপন প্রচার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোন বেসরকারি চ্যানেল এটি প্রচার
করতে সাহস পায়নি। এ ধরনের একটা খবর প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কি
সাহস আছে সরকারকে শোকজ করার কেন বেগম খালেদা জিয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করতে
বাধা দেয়া হলো? সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের অবাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ
ক্ষমতা বলে নির্বাচন কমিশন যে কোন কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাইতে পারে।
কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সে সদিচ্ছা, সাহস এবং ব্যক্তিত্ব দেখি না।
এ কমিশনের মেরুদণ্ড আছে কি নেই সেই প্রশ্ন এখন আওয়ামী লীগ জোটের
নেতাকর্মীরাও করছে। এরকম একটা মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন- যাদের অতীত
নির্বাচনগুলো অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। সেই নির্বাচন কমিশনের আপনার ভোট আপনার
অধিকার এ ধরনের প্রচারণায় জনগণের মধ্যে পূর্ণ বিশ্বাস তৈরি হবে এটা মনে করা
ঠিক হবে না।
No comments