পৌর নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি by সালাহ উদ্দিন বাবর
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের অবস্থা কী দাঁড়াবে, সেই বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষকেরা এখন ভাবছেন। পৌরসভা নির্বাচনে যে অবস্থা, তাতে আগামী বছরের রাজনীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে, মনে করার কারণ নেই। পৌরসভা নির্বাচনে সর্বত্র যে হানাহানি, তাতে নির্বাচন-পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে আশাবাদী হওয়ার অবকাশ থাকছে না।
বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ‘সক্ষমতা’ দেখাচ্ছে তাতে গত বছরের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন থেকে ভালো কিছু হবে মনে করার প্রত্যাশা নেই। নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের বৃহৎ দুই দল ইতোমধ্যে তাদের আস্থাহীনতা জানিয়ে দিয়েছে। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে এখন যে বিরূপ পরিবেশ বিরাজ করছে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। একের পর এক যে নির্দেশ কমিশন জারি করছে তার প্রতি কোনো তোয়াক্কা নেই সংশ্লিষ্ট কোনো মহলেরই। এমন দুর্বল কমিশন কিভাবে সব কিছু সামলাবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে, সেখানেও নির্বাচন কমিশন ভালো কিছু দেখাতে পারেনি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনে কমিশন যে ধরনের ভূমিকা দেখিয়েছে তা নিয়েও দেশে ও বিদেশে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সংসদ নির্বাচন, একটি বড় নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচনও বড় নির্বাচন। এসব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে। অথচ সে ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। সারা দেশ থেকে যেসব অভিযোগ এসেছে পৌর নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত। তার কোনো বিহিত করা হয়নি।
বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আন্দোলন না করে সব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই তারা থাকবেন। অর্থাৎ, রাজপথের রাজনীতি নয়; এর বিকল্প পথে তারা অগ্রসর হবেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজপথের বিকল্প চর্চা তেমন একটা হয় না। কিন্তু এই প্রক্রিয়া একা বিএনপি করলেও অপর পক্ষ আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিশ্রুতি কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেই। তাই একতরফা এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তাতে সন্দেহ আছে। তবে এ দেশের জনগণ এমন বিকল্প পছন্দ করবে নিঃসন্দেহে। এ ব্যাপারে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন থাকবে। বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তারা বেশ আগে থেকে এ ইস্যুতে তাদের মতামত দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতি আজকে যে অবস্থানে এসেছে, তাতে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো প্রত্যাশিত গুরুত্ব পাচ্ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতা সব কিছুকে এলোমেলো করে ফেলছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এ জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিল্পবান্ধব পদক্ষেপ। সরকারের যে দায়িত্বগুলো রয়েছে এ ক্ষেত্রে, সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। রাজনীতিতে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে তার যে দায়িত্ব তা পালন করতে হবে, তা নিয়ে তার বক্তব্যে কিছু নেই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবাই যাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে, সে ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হলে এ দেশের উন্নয়নের গতিধারা ত্বরান্বিত হবে। সবাইকে নিয়ে চলার উদ্যোগ নেয়া হলে গোটা দেশের চেহারা পালটে যাবে।
বাংলাদেশে এখন জঙ্গিরা তৎপর। দেশের বিভিন্ন স্থানে এরা হামলা চালিয়েছে। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়, এরা মসজিদে পর্যন্ত হামলা করছে। নামাজরত মানুষকে বোমা মেরে ক্ষতবিক্ষত করছে। এরা আবার পবিত্র ইসলামের কথা বলে। এই পথভ্রষ্টদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে সব মানুষ এখন ভাবতে শুরু করেছে। জঙ্গিদের মোকাবেলা করার ব্যাপারে সরকারকে দেশবাসী সহযোগিতা করার দরকার হবে। পৃথিবীর বহু দেশ জঙ্গি দমনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এ জন্য ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাতে সবার সমর্থন করা প্রয়োজন। আলেম-ওলামাকেও সাথে নিতে হবে, তারা মানুষকে জঙ্গিদের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক পথটি বাতলে দেবেন যাতে করে সরলপ্রাণ মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।
নতুন বছর ২০১৬ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ সময়ে সব মহলের পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নিতে হবে অবিলম্বে। বিশেষ করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
গত বছর ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্রের যে হাল হয়েছে তাতে সবাই উদ্বিগ্ন। আগামী দিনে নতুন সংসদ নির্বাচন দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং সেই সাথে গণতান্ত্রিক বিশ্ব এ ব্যাপারে একমত। অবশ্য নতুন নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক নয়। সরকার যদি এ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করবে। বিএনপি এখন রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প পথে হাঁটতে চায় বলে যে নীতির কথা বলছে, তারা তাদের এই নীতির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করবে তখন। তাতে রাজনীতির অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এতে করে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবারো দুর্যোগের মুখোমুখি হতে পারে।
বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে ‘সক্ষমতা’ দেখাচ্ছে তাতে গত বছরের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন থেকে ভালো কিছু হবে মনে করার প্রত্যাশা নেই। নির্বাচন কমিশন নিয়ে দেশের বৃহৎ দুই দল ইতোমধ্যে তাদের আস্থাহীনতা জানিয়ে দিয়েছে। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে এখন যে বিরূপ পরিবেশ বিরাজ করছে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। একের পর এক যে নির্দেশ কমিশন জারি করছে তার প্রতি কোনো তোয়াক্কা নেই সংশ্লিষ্ট কোনো মহলেরই। এমন দুর্বল কমিশন কিভাবে সব কিছু সামলাবে তা নিয়ে ব্যাপক সংশয় রয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে, সেখানেও নির্বাচন কমিশন ভালো কিছু দেখাতে পারেনি। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনে কমিশন যে ধরনের ভূমিকা দেখিয়েছে তা নিয়েও দেশে ও বিদেশে প্রচুর আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। সংসদ নির্বাচন, একটি বড় নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচনও বড় নির্বাচন। এসব নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার জন্য বাংলাদেশের সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে। অথচ সে ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। সারা দেশ থেকে যেসব অভিযোগ এসেছে পৌর নির্বাচনের সাথে সম্পর্কিত। তার কোনো বিহিত করা হয়নি।
বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আন্দোলন না করে সব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই তারা থাকবেন। অর্থাৎ, রাজপথের রাজনীতি নয়; এর বিকল্প পথে তারা অগ্রসর হবেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজপথের বিকল্প চর্চা তেমন একটা হয় না। কিন্তু এই প্রক্রিয়া একা বিএনপি করলেও অপর পক্ষ আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিশ্রুতি কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেই। তাই একতরফা এই উদ্যোগ কতটা সফল হবে, তাতে সন্দেহ আছে। তবে এ দেশের জনগণ এমন বিকল্প পছন্দ করবে নিঃসন্দেহে। এ ব্যাপারে গণতান্ত্রিক বিশ্বের সমর্থন থাকবে। বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তারা বেশ আগে থেকে এ ইস্যুতে তাদের মতামত দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতি আজকে যে অবস্থানে এসেছে, তাতে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো প্রত্যাশিত গুরুত্ব পাচ্ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতা সব কিছুকে এলোমেলো করে ফেলছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু এ জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শিল্পবান্ধব পদক্ষেপ। সরকারের যে দায়িত্বগুলো রয়েছে এ ক্ষেত্রে, সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। রাজনীতিতে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে তার যে দায়িত্ব তা পালন করতে হবে, তা নিয়ে তার বক্তব্যে কিছু নেই। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবাই যাতে সমানভাবে কাজ করতে পারে, সে ধরনের অবস্থা সৃষ্টি হলে এ দেশের উন্নয়নের গতিধারা ত্বরান্বিত হবে। সবাইকে নিয়ে চলার উদ্যোগ নেয়া হলে গোটা দেশের চেহারা পালটে যাবে।
বাংলাদেশে এখন জঙ্গিরা তৎপর। দেশের বিভিন্ন স্থানে এরা হামলা চালিয়েছে। সবচেয়ে অবাক হওয়ার বিষয়, এরা মসজিদে পর্যন্ত হামলা করছে। নামাজরত মানুষকে বোমা মেরে ক্ষতবিক্ষত করছে। এরা আবার পবিত্র ইসলামের কথা বলে। এই পথভ্রষ্টদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে সব মানুষ এখন ভাবতে শুরু করেছে। জঙ্গিদের মোকাবেলা করার ব্যাপারে সরকারকে দেশবাসী সহযোগিতা করার দরকার হবে। পৃথিবীর বহু দেশ জঙ্গি দমনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে এ জন্য ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তাতে সবার সমর্থন করা প্রয়োজন। আলেম-ওলামাকেও সাথে নিতে হবে, তারা মানুষকে জঙ্গিদের ব্যাপারে ইসলামের সঠিক পথটি বাতলে দেবেন যাতে করে সরলপ্রাণ মানুষ বিভ্রান্ত না হয়।
নতুন বছর ২০১৬ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ সময়ে সব মহলের পরস্পরের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা নিতে হবে অবিলম্বে। বিশেষ করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
গত বছর ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর দেশে গণতন্ত্রের যে হাল হয়েছে তাতে সবাই উদ্বিগ্ন। আগামী দিনে নতুন সংসদ নির্বাচন দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ এবং সেই সাথে গণতান্ত্রিক বিশ্ব এ ব্যাপারে একমত। অবশ্য নতুন নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব ইতিবাচক নয়। সরকার যদি এ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করবে। বিএনপি এখন রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প পথে হাঁটতে চায় বলে যে নীতির কথা বলছে, তারা তাদের এই নীতির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা করবে তখন। তাতে রাজনীতির অঙ্গনে অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। এতে করে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবারো দুর্যোগের মুখোমুখি হতে পারে।
No comments