ধর্ষণের জন্য পোশাকই দায়ী!
মুম্বইয়ে
মহিলাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে ধর্ষণের কারণ নিয়ে
সাধারণ মানুষের অভিমত জানতে চাইল বম্বে হাইকোর্ট। সেই সাধারণ মানুষ
চন্দ্রকান্ত পালভ দাবি করলেন, ধর্ষণের জন্য মেয়েদের আঁটসাঁট পোশাকই দায়ী!
মুম্বইয়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ মামলার শুনানি হাইকোর্টে চলছিল শনিবার। বর্ষীয়ান চন্দ্রকান্ত একটি মামলার আবেদনকারী। বিচারপতি নরেশ পাটিল এবং বিচারপতি এস বি সুক্রের ডিভিশন বেঞ্চে তিনি জানান, মেয়েদের পোশাকই ধর্ষণের জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, ইদানীং মেয়েরা জিনস, কুর্তা বা শর্ট স্কার্টের মতো আঁটসাঁট পোশাক পরে বাইরে বেরোন। সে কারণেই ধর্ষণের ঘটনা এত বেড়ে যাচ্ছে।
চন্দ্রকান্তের বক্তব্য শোনামাত্র প্রতিবাদ করেন আইনজীবীরা। সরকারপক্ষের দুই আইনজীবী তো বটেই, এমনকী, চন্দ্রকান্তের আইনজীবী রাজীব চহ্বাণও বলেন, একজন মহিলার পোশাকের সঙ্গে তাঁর উপর অত্যাচারের সম্পর্ক কী? এই যুক্তির প্রতিবাদ করছি আমরা। যিনি অত্যাচারের শিকার, এর ফলে তাঁর উপরেই দোষ চাপানো হচ্ছে। তাঁদের থামিয়ে দিয়ে বিচারপতি পাটিল বলেন, ওঁকে থামাবেন না। আমরা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই। তারপর এ বিষয়ে তাঁর মতামত বিস্তারিত জানান চন্দ্রকান্ত।
চন্দ্রকান্তের বক্তব্য জানার পরে রাজীবই তাঁর মক্কেলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ধর্ষণের জন্য যদি পোশাকই দায়ী হয়, তাহলে তিন-চার বছরের শিশুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে কেন? এর পরে শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি।
ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোশাক এবং আচরণকে দায়ী করে এর আগে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। এবার জানা গেল এক সাধারণ মানুষের একই দৃষ্টিভঙ্গি’র কথাও। প্রসঙ্গত, ওই সাধারণ চন্দ্রকান্ত মুম্বইয়ে মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, মেয়েদের পোশাকবিধি চালু করার জন্য নির্দেশ দিক আদালত।
মুম্বইয়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ মামলার শুনানি হাইকোর্টে চলছিল শনিবার। বর্ষীয়ান চন্দ্রকান্ত একটি মামলার আবেদনকারী। বিচারপতি নরেশ পাটিল এবং বিচারপতি এস বি সুক্রের ডিভিশন বেঞ্চে তিনি জানান, মেয়েদের পোশাকই ধর্ষণের জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, ইদানীং মেয়েরা জিনস, কুর্তা বা শর্ট স্কার্টের মতো আঁটসাঁট পোশাক পরে বাইরে বেরোন। সে কারণেই ধর্ষণের ঘটনা এত বেড়ে যাচ্ছে।
চন্দ্রকান্তের বক্তব্য শোনামাত্র প্রতিবাদ করেন আইনজীবীরা। সরকারপক্ষের দুই আইনজীবী তো বটেই, এমনকী, চন্দ্রকান্তের আইনজীবী রাজীব চহ্বাণও বলেন, একজন মহিলার পোশাকের সঙ্গে তাঁর উপর অত্যাচারের সম্পর্ক কী? এই যুক্তির প্রতিবাদ করছি আমরা। যিনি অত্যাচারের শিকার, এর ফলে তাঁর উপরেই দোষ চাপানো হচ্ছে। তাঁদের থামিয়ে দিয়ে বিচারপতি পাটিল বলেন, ওঁকে থামাবেন না। আমরা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাই। তারপর এ বিষয়ে তাঁর মতামত বিস্তারিত জানান চন্দ্রকান্ত।
চন্দ্রকান্তের বক্তব্য জানার পরে রাজীবই তাঁর মক্কেলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ধর্ষণের জন্য যদি পোশাকই দায়ী হয়, তাহলে তিন-চার বছরের শিশুদের ধর্ষণ করা হচ্ছে কেন? এর পরে শুনানি স্থগিত রাখেন বিচারপতি।
ধর্ষণের জন্য মেয়েদের পোশাক এবং আচরণকে দায়ী করে এর আগে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজনৈতিক নেতারা। এবার জানা গেল এক সাধারণ মানুষের একই দৃষ্টিভঙ্গি’র কথাও। প্রসঙ্গত, ওই সাধারণ চন্দ্রকান্ত মুম্বইয়ে মেয়েদের নিরাপত্তা চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেইসঙ্গে দাবি করেছিলেন, মেয়েদের পোশাকবিধি চালু করার জন্য নির্দেশ দিক আদালত।
No comments