যার ক্যামেরা ফ্ল্যাশে চমকে উঠল দুনিয়া!
ক্যামেরার একটি মাত্র ফ্ল্যাশ- ব্যস চমকে উঠল গোটা দুনিয়া। তুরস্কের ফটোসাংবাদিক নিলুফার ডেমিন বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন সাগরপাড়ে পড়ে থাকা সিরীয় শরণার্থী শিশু আইলানের মৃতদেহ। অভিবাসীদের দুর্ভাগ্য কোথায় পৌঁছেছে তার প্রতিনিধি হয়ে উঠা ছবিটি চোখ খুলে দিয়েছে বিশ্বের। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ভূমধ্যসাগরের উত্তাল ঢেউ বুধবার সকালেই তিন বছরের আইলানের দেহটি বোদরুম প্রদেশের ভূমধ্যসাগরের সমুদ্রসৈকতে আঁছড়ে ফেলে ছিল। সেখান থেকেই হেঁটে যাচ্ছিলেন দেশটির দোগান নিউজ এজেন্সির অভিবাসন সংকটবিষয়ক ফটোসাংবাদিক নিলুফার ডেমিন। আচমকা ফুটফুটে শিশুটির নিথর দেহটি দেখে একেবারেই পাথর হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি যে এ দৃশ্যই ক্যামেরাবন্দি করতে গিয়েছিলেন তা ভুলে হারিয়ে গিয়েছিল এক শিশুরাজ্যে। যেখানে আছে গাড় নীল রংয়ের প্যান্ট।
লাল গেঞ্জি ও কেডস পরা একটি শিশু। চিৎকার চেঁচামেচি করে খেলে বেড়াচ্ছিল সে। নিথর আয়লানের এ কাল্পনিক চিত্রটি হৃদয়পটে ভেসে উঠেছিল তার। তার মনের সাগরে আয়লানকে ঘিরে যে বেদনার ঢেউ উঠেছিল তা বিশ্ব দরবারে কীভাবে তুলে ধরবেন তার অন্ত খুঁজে পাননি তিনি। কিন্তু হাতের ক্যামেরার কয়েকটি ফ্ল্যাশে সে যন্ত্রণার প্রতিফলন ঘটাতে চেষ্টার ত্রুটিও করেননি। সত্যিই ছবিটির ওপর চোখ পড়লে পাষাণ দজ্জালও হু হু করে কেঁদে উঠবে। নিদারুণ আবেগে শিহরিত হয়েছে বিশ্ববাসী। ডেমিন হুরিযাত নিউজ এজেন্সিকে বলেন, আমি শুধু চেষ্টা করেছিলাম শিশুটির নীরব চিৎকার আরও গভীর করতে। ছবিটি একদিকে আন্দোলিত করেছে মানবজাতিকে। অন্যদিকে যাদের অবহেলায় আয়লানের এ পরিণতি তাদের দিয়েছে সমুচিত ধিক্কার।
No comments