বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী: তাই সংশয় প্রধান বিচারপতির
পেনশন
সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রক্রিয়াকরণের জন্য অবসরে যাওয়ার আগেই নিষ্পত্তি হওয়া
মামলাগুলোর রায়ে সই করতে আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন
চৌধুরীকে আবারো প্রধান বিচারপতির পক্ষে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এবারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি যেহেতু ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী তাই রায় না লিখে বিদেশে চলে গেলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়বে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাকির হোসেনের সই করা ২ সেপ্টেম্বরের চিঠিটির বিষয়: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষমান মামলার রায় প্রস্তুতকরণ এবং খসড়া সম্পর্কে সম্মতি প্রদান ও রায় স্বাক্ষরকরণ সংক্রান্ত।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর উদ্দেশে চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের মাননীয় বিচারপতি মহোদয় কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ইতোপূর্বে ১৮/০৮/২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্মারক নং ১৭৫১৪ জি.মূলে প্রেরিত পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত যে সকল মামলাসমূহের Author Judge হিসেবে রায় প্রস্তুতের জন্য এবং আপীল বিভাগের অন্যান্য মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত রায় এবং আদেশে কেবল স্বাক্ষরের জন্য মহোদয়ের নিকট অপেক্ষমাণ রয়েছে; সেগুলো দ্রুত রায় প্রস্তুতকরণ ও স্বাক্ষরিত হওয়া প্রয়োজন। তৎমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের পেন্ডিং মামলাসমূহ রায় ইতোমধ্যে লেখা ও স্বাক্ষরিত হয়েছে মর্মে মাননীয় বিচারপতি অবহিত হয়েছেন। তবে যেসবকল মামলাগুলো কেবল স্বাক্ষর প্রদানের জন্য মহোদয়ের নিকট পেন্ডিং রয়েছে সেগুলো দ্রুত স্বাক্ষর করে Author Judge মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
প্রধান বিচারপতির এমন নির্দেশের কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠিতে বলা হয়েছে: মহোদয় আগামী ০১/১০/২০১৫ খ্রি: তারিখে অবসর গ্রহণ করবেন। যেহেতু মহোদয় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী, সেহেতু অবসর গ্রহণের পর পেন্ডিং রায়গুলো না লিখে যদি বিদেশ গমন করেন, তাহলে পেন্ডিং মামলাসমূহের রায় লেখার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হবে। ফলশ্রুতিতে, বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি আরো বৃদ্ধি পাবে মর্মে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় সংশয় প্রকাশ করেছেন।
তা না হলে বিকল্প পথের কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে: এমতাবস্থায়, অবসরগ্রহণের তারিখের পূর্বে যদি মহোদয়ের নিকট পেন্ডিং মামলাসমূহের রায় লেখা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত রায়ের নথিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফেরত প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। মহোদয়ের ১২ মাসের নগদায়ন ও অনুতোষিক সংক্রান্ত আবেদন যথারীতি প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এর আগের একটি চিঠিতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে জানান, তার পেনশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে অবসরের আগেই তাকে সব রায়ে সই করে যেতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ সেপ্টেম্বর জবাবি চিঠি দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তাতে তিনি জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি সকল রায়ে সই করেছেন। আর যেহেতু একজন বিচারপতি অবসরে যাওয়ার দিনও রায় দেন তাই সকল বিচারপতিই অবসরে যাওয়ার পর অনেক রায়ে সই করেন।
এবারের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে তিনি যেহেতু ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী তাই রায় না লিখে বিদেশে চলে গেলে জটিলতা সৃষ্টি হবে। এতে জনগণের ভোগান্তি আরো বাড়বে বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাকির হোসেনের সই করা ২ সেপ্টেম্বরের চিঠিটির বিষয়: বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত দীর্ঘদিন যাবৎ অপেক্ষমান মামলার রায় প্রস্তুতকরণ এবং খসড়া সম্পর্কে সম্মতি প্রদান ও রায় স্বাক্ষরকরণ সংক্রান্ত।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর উদ্দেশে চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের মাননীয় বিচারপতি মহোদয় কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, ইতোপূর্বে ১৮/০৮/২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে স্মারক নং ১৭৫১৪ জি.মূলে প্রেরিত পত্রের সঙ্গে সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত যে সকল মামলাসমূহের Author Judge হিসেবে রায় প্রস্তুতের জন্য এবং আপীল বিভাগের অন্যান্য মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত রায় এবং আদেশে কেবল স্বাক্ষরের জন্য মহোদয়ের নিকট অপেক্ষমাণ রয়েছে; সেগুলো দ্রুত রায় প্রস্তুতকরণ ও স্বাক্ষরিত হওয়া প্রয়োজন। তৎমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের পেন্ডিং মামলাসমূহ রায় ইতোমধ্যে লেখা ও স্বাক্ষরিত হয়েছে মর্মে মাননীয় বিচারপতি অবহিত হয়েছেন। তবে যেসবকল মামলাগুলো কেবল স্বাক্ষর প্রদানের জন্য মহোদয়ের নিকট পেন্ডিং রয়েছে সেগুলো দ্রুত স্বাক্ষর করে Author Judge মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
প্রধান বিচারপতির এমন নির্দেশের কারণ ব্যাখ্যা করে চিঠিতে বলা হয়েছে: মহোদয় আগামী ০১/১০/২০১৫ খ্রি: তারিখে অবসর গ্রহণ করবেন। যেহেতু মহোদয় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী, সেহেতু অবসর গ্রহণের পর পেন্ডিং রায়গুলো না লিখে যদি বিদেশ গমন করেন, তাহলে পেন্ডিং মামলাসমূহের রায় লেখার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হবে। ফলশ্রুতিতে, বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি আরো বৃদ্ধি পাবে মর্মে মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় সংশয় প্রকাশ করেছেন।
তা না হলে বিকল্প পথের কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে: এমতাবস্থায়, অবসরগ্রহণের তারিখের পূর্বে যদি মহোদয়ের নিকট পেন্ডিং মামলাসমূহের রায় লেখা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত রায়ের নথিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ফেরত প্রদান করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। মহোদয়ের ১২ মাসের নগদায়ন ও অনুতোষিক সংক্রান্ত আবেদন যথারীতি প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এর আগের একটি চিঠিতে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে জানান, তার পেনশন সংক্রান্ত বিষয়গুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে অবসরের আগেই তাকে সব রায়ে সই করে যেতে হবে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ সেপ্টেম্বর জবাবি চিঠি দেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তাতে তিনি জানান, হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে তিনি সকল রায়ে সই করেছেন। আর যেহেতু একজন বিচারপতি অবসরে যাওয়ার দিনও রায় দেন তাই সকল বিচারপতিই অবসরে যাওয়ার পর অনেক রায়ে সই করেন।
No comments