বউ বিয়ে দিলেন স্বামী
নিজে দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন তার প্রেমিকের সঙ্গে। ভারতের উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের বিকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। স্ত্রীর সত্যভাষণে মুগ্ধ হয়ে এ ‘পুরস্কার’ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফুলচাঁদ নামের ওই ব্যক্তি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়াটুডে জানায়, ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ফৈজাবাদের বিকাপুর গ্রামের ফুলচাঁদ ও চন্দার। বিয়ের পরপর টাকা রোজগারের জন্য, সংসারে সচ্ছলতা আনতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে রেখে গ্রাম ছেড়ে জলন্ধরে চলে যেতে হয়েছিল ফুলচাঁদকে। দেখা করার জন্য গ্রামে আসার সুযোগ না পেলেও নিয়মিত স্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হতো তার। কিন্তু কখনও বুঝতে পারেননি স্ত্রী অন্য কাউকে ভালোবাসেন।
৪ আগস্ট ফুলচাঁদ যখন বাড়ি ফেরেন, তখন স্ত্রী চন্দা বিয়ের সময় ফুলচাঁদের দেয়া স্বর্ণের গয়না, শাড়ি তাকে ফিরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে নিজের মুখে স্বীকার করেন সুরজ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। চন্দা জানান, বিয়ের আগে থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বাড়ির চাপে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন। ফুলচাঁদ বলেন, ঘটনা শুনে প্রথমে খুব রেগে যান, ভীষণ দুঃখও পান। তবে সব সামলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে বিয়ে দেবেন প্রেমিকের সঙ্গে। সেই মতো বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে সবাইকে রাজি করিয়ে সুরজ ও চন্দার বিয়ে দিয়েছেন ফুলচাঁদ। বিয়ে দেয়ার পর ফুলচাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘আমি খুশি, কারণ চন্দা আমার কাছে সবটাই সত্যি কথা বলেছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে।’ শুধু তাই নয়, ফুলচাঁদ ও তার পরিবার বাড়ির সাবেক বউয়ের শান্তি ও সুখী জীবন কামনায় দুপুরের খাবার ও ‘বিদায়’-এর আয়োজনও করে।
৪ আগস্ট ফুলচাঁদ যখন বাড়ি ফেরেন, তখন স্ত্রী চন্দা বিয়ের সময় ফুলচাঁদের দেয়া স্বর্ণের গয়না, শাড়ি তাকে ফিরিয়ে দেন। সেই সঙ্গে নিজের মুখে স্বীকার করেন সুরজ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা। চন্দা জানান, বিয়ের আগে থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে বাড়ির চাপে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন। ফুলচাঁদ বলেন, ঘটনা শুনে প্রথমে খুব রেগে যান, ভীষণ দুঃখও পান। তবে সব সামলে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীকে বিয়ে দেবেন প্রেমিকের সঙ্গে। সেই মতো বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে পঞ্চায়েতের সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে সবাইকে রাজি করিয়ে সুরজ ও চন্দার বিয়ে দিয়েছেন ফুলচাঁদ। বিয়ে দেয়ার পর ফুলচাঁদের প্রতিক্রিয়া, ‘আমি খুশি, কারণ চন্দা আমার কাছে সবটাই সত্যি কথা বলেছে এবং আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে।’ শুধু তাই নয়, ফুলচাঁদ ও তার পরিবার বাড়ির সাবেক বউয়ের শান্তি ও সুখী জীবন কামনায় দুপুরের খাবার ও ‘বিদায়’-এর আয়োজনও করে।
No comments