অচল যন্ত্রপাতি নানা কারসাজি by ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
সমস্যার
শেষ নেই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের। অন্তহীন
সমস্যা নিয়ে বলতে গেলে নিজেই অসুস্থ এ হাসপাতাল। বেশির ভাগ সময়ই বিকল থাকে
জরুরি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। ফলে বেশির ভাগ চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসাসেবার
নামে রোগীদের বাইরে রেফার করেন। এতে গরিব রোগীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর
এই সুযোগটা লুফে নেয় দালালরা। প্রাইভেট প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক
সেন্টারের প্রতিনিধিরা এজন্য হাসপাতালে সারা দিন ঘুরাফেরা করেন।
শুধু যন্ত্রপাতিই নয়, হাসপাতালটির মেডিসিন ভবনটি বয়সের ভারে এখন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয় রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেড়শ’ বছরের পুরনো এ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ব্যাপারে স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নতুন ভবন তৈরির নকশা তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানা গেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। সরকার ইতিবাচক। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
প্যাথলজি বিভাগের যন্ত্রপাতি কখনও সচল কখনও অচল: হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য সব মেশিন ডিজিটাল হলেও সেগুলো অনেক আগের। এর মধ্যে কিছু কিছু যন্ত্রাংশ মাঝে মাঝে নষ্ট থাকে। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসাসেবার নামে হাসপাতালের বাইরের প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোয় রোগীদের রেফার করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন পেয়ে থাকেন। হাসপাতালে সরকারি খরচে এমআরআই পরীক্ষা করাতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। একই পরীক্ষা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে করালে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটি বছরে পর বছর ধরে নষ্ট থাকে বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। বর্তমানে সিটিস্ক্যান ও ক্যাথল্যাব মেশিনটিও বিকল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইটিটি বছরের পর বছর বন্ধ থাকে। ইকো মেশিন কখনও সচল কখনও অচল। এনজিওগ্রামের যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। সিটি এমআরআই, সিটিস্কেন মেশিনও নষ্ট। ফলে রোগীকে বাইরে থেকে বাড়তি টাকায় এসব টেস্ট করতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য এসব দামি মেশিন বছর বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আর রোগীরা আধুনিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটিতে ক্যাথল্যাব বা এনজিওগ্রাম গত দুবছর ধরে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। সিটি এমআরআই, সিটিস্কেন। এগুলো দামি মেশিন। কিন্তু এ মেশিনগুলো প্রায় নষ্ট। ইকো, এন্ডোসকপি, আলট্রসনোগ্রাম করা হয়। জরুরি কাজের অর্থোপেডিক যন্ত্রপাতিও ভাল নয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার বিভিন্ন উপকরণের সরবরাহ অপ্রতুল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওষুধ সরবরাহ ঠিক আছে। রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলো কিনে আনতে বলা হয়। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ ওষুধপত্র সরবরাহে কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও রোগীরা তেমন ওষুধ পান না। কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীকে প্রথমে নিয়ম অনুযায়ী দুই থেকে তিন দিনের ওষুধ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে আরও ওষুধ বাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন সরঞ্জাম গজ, ব্যান্ডেজ, স্যালাইন, ইনজেকশনসহ বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়ে হাসপাতালের বাজেটে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং অতিরিক্ত আরও ৪৮ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। তবুও সামান্যতম জখম নিয়ে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও একজন রোগীকে এগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে ডাক্তার ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন।
তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের দু’টিই নষ্ট: সরকারিভাবে হাসপাতালে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সচল রয়েছে মাত্র একটি। যা কোন রকম চলছে। এই একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাজার হাজার রোগীর সেবা করাটা অসম্ভব। ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের একটি বড় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে হাসপাতালে। এই সিন্ডিকেট চক্র অসহায় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। হাসপাতালের নির্দেশনায় হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র রিকশা, ভ্যান, মোটরগাড়ি, মাইক্রো, অ্যাম্বুলেন্স পার্কি না করার কথা নির্দেশনা থাকলেও হাসপাতাল চত্বরে সবসময়ই এলোমেলোভাবে অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা পার্কিং করতে দেখা যায়।
ঝুঁকিপূর্ণ লিফট: মিটফোর্ড হাসপাতালের কলেজ ভবন, হাসপাতাল ভবন ও কিং অ্যাডওয়ার্ড ভবনের বেশির ভাগ লিফটই পুরনো। একই লিফট দিনে কয়েকবার বিকল হয়ে যায়। বেশ কিছু লিফটে বৈদ্যুতিক পাখা নেই। ফলে এই গরমে রোগীদের হতে হয় নাজেহাল। লিফটগুলো ওপরে রয়েছে কয়েক স্তরের ময়লার আস্তরণ। বছর দেড়েক আগে লিফটে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থেকে মারা যান একজন রোগী। এ ঘটনায় কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হলেও লিফটগুলো সংস্কার করা হয়নি। হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগ, মাঝে মাঝেই লিফটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর সময়মতো লিফটম্যানকেও পাওয়া যায় না যথা স্থানে।
এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আবদুল মজিদ যন্ত্রপাতির মধ্যে দামি এমআরআই, এনজিওগ্রাম নষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অন্যগুলো চলছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে অনুমোদিত বেডের সংখ্যা ৬০০। তবে দেখা যায়, এখানে রোগী ভর্তি থাকে তার থেকে অনেক বেশি। তাই চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়টি এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. আবদুল মজিদ বলেন, আমাদের এখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে তিনটি। এর মধ্যে দু’টিই নষ্ট। তবে, এসব অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হলে সারানোটাও একটু ঝামেলার কাজ। এগুলো সরকারিভাবে মহাখালী থেকে ঠিক হবে। সেখানে যদি ঠিক করা সম্ভব হয় তাহলে ঠিক করে দেয় নইলে একটা সার্টিফিকেট দেয়া হয়। পরে আমরা অন্য কোন অনুদান থাকলে তা দিয়ে কাজটা করি। কাজেই আমরা চাইলেই সব কিছু করতে পারি না।
শুধু যন্ত্রপাতিই নয়, হাসপাতালটির মেডিসিন ভবনটি বয়সের ভারে এখন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভয়ের মধ্যে থাকতে হয় রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেড়শ’ বছরের পুরনো এ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ব্যাপারে স্থাপত্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নতুন ভবন তৈরির নকশা তৈরির প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানা গেছে। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ঘটনার সম্ভাবনার কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। সরকার ইতিবাচক। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে হাসপাতালের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
প্যাথলজি বিভাগের যন্ত্রপাতি কখনও সচল কখনও অচল: হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনসহ অন্যান্য সব মেশিন ডিজিটাল হলেও সেগুলো অনেক আগের। এর মধ্যে কিছু কিছু যন্ত্রাংশ মাঝে মাঝে নষ্ট থাকে। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের বেশির ভাগ চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসাসেবার নামে হাসপাতালের বাইরের প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোয় রোগীদের রেফার করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোটা অঙ্কের কমিশন পেয়ে থাকেন। হাসপাতালে সরকারি খরচে এমআরআই পরীক্ষা করাতে খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। একই পরীক্ষা বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে করালে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। হাসপাতালের এমআরআই মেশিনটি বছরে পর বছর ধরে নষ্ট থাকে বলে কর্মচারীরা জানিয়েছেন। বর্তমানে সিটিস্ক্যান ও ক্যাথল্যাব মেশিনটিও বিকল। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ইটিটি বছরের পর বছর বন্ধ থাকে। ইকো মেশিন কখনও সচল কখনও অচল। এনজিওগ্রামের যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে আছে। সিটি এমআরআই, সিটিস্কেন মেশিনও নষ্ট। ফলে রোগীকে বাইরে থেকে বাড়তি টাকায় এসব টেস্ট করতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার জন্য এসব দামি মেশিন বছর বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। আর রোগীরা আধুনিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হাসপাতালটিতে ক্যাথল্যাব বা এনজিওগ্রাম গত দুবছর ধরে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। সিটি এমআরআই, সিটিস্কেন। এগুলো দামি মেশিন। কিন্তু এ মেশিনগুলো প্রায় নষ্ট। ইকো, এন্ডোসকপি, আলট্রসনোগ্রাম করা হয়। জরুরি কাজের অর্থোপেডিক যন্ত্রপাতিও ভাল নয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার বিভিন্ন উপকরণের সরবরাহ অপ্রতুল। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওষুধ সরবরাহ ঠিক আছে। রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলো কিনে আনতে বলা হয়। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ ওষুধপত্র সরবরাহে কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও রোগীরা তেমন ওষুধ পান না। কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীকে প্রথমে নিয়ম অনুযায়ী দুই থেকে তিন দিনের ওষুধ দেয়া হয়। পরবর্তীকালে ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে আরও ওষুধ বাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন সরঞ্জাম গজ, ব্যান্ডেজ, স্যালাইন, ইনজেকশনসহ বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়ে হাসপাতালের বাজেটে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং অতিরিক্ত আরও ৪৮ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। তবুও সামান্যতম জখম নিয়ে কেউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও একজন রোগীকে এগুলো বাইরে থেকে কিনে আনতে হয় বলে ডাক্তার ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন।
তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের দু’টিই নষ্ট: সরকারিভাবে হাসপাতালে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও সচল রয়েছে মাত্র একটি। যা কোন রকম চলছে। এই একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে হাজার হাজার রোগীর সেবা করাটা অসম্ভব। ফলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের একটি বড় সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে হাসপাতালে। এই সিন্ডিকেট চক্র অসহায় রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। হাসপাতালের নির্দেশনায় হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র রিকশা, ভ্যান, মোটরগাড়ি, মাইক্রো, অ্যাম্বুলেন্স পার্কি না করার কথা নির্দেশনা থাকলেও হাসপাতাল চত্বরে সবসময়ই এলোমেলোভাবে অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা পার্কিং করতে দেখা যায়।
ঝুঁকিপূর্ণ লিফট: মিটফোর্ড হাসপাতালের কলেজ ভবন, হাসপাতাল ভবন ও কিং অ্যাডওয়ার্ড ভবনের বেশির ভাগ লিফটই পুরনো। একই লিফট দিনে কয়েকবার বিকল হয়ে যায়। বেশ কিছু লিফটে বৈদ্যুতিক পাখা নেই। ফলে এই গরমে রোগীদের হতে হয় নাজেহাল। লিফটগুলো ওপরে রয়েছে কয়েক স্তরের ময়লার আস্তরণ। বছর দেড়েক আগে লিফটে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে থেকে মারা যান একজন রোগী। এ ঘটনায় কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হলেও লিফটগুলো সংস্কার করা হয়নি। হাসপাতালে আসা রোগীদের অভিযোগ, মাঝে মাঝেই লিফটগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আর সময়মতো লিফটম্যানকেও পাওয়া যায় না যথা স্থানে।
এ ব্যাপারে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মো. আবদুল মজিদ যন্ত্রপাতির মধ্যে দামি এমআরআই, এনজিওগ্রাম নষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। অন্যগুলো চলছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে অনুমোদিত বেডের সংখ্যা ৬০০। তবে দেখা যায়, এখানে রোগী ভর্তি থাকে তার থেকে অনেক বেশি। তাই চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হয়। হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়টি এমন প্রশ্নের উত্তরে ডা. আবদুল মজিদ বলেন, আমাদের এখানে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে তিনটি। এর মধ্যে দু’টিই নষ্ট। তবে, এসব অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট হলে সারানোটাও একটু ঝামেলার কাজ। এগুলো সরকারিভাবে মহাখালী থেকে ঠিক হবে। সেখানে যদি ঠিক করা সম্ভব হয় তাহলে ঠিক করে দেয় নইলে একটা সার্টিফিকেট দেয়া হয়। পরে আমরা অন্য কোন অনুদান থাকলে তা দিয়ে কাজটা করি। কাজেই আমরা চাইলেই সব কিছু করতে পারি না।
No comments