মানুষের পকেট কেটে মুনাফা by অরুণ কর্মকার
বিশ্ববাজারে
কম দামে জ্বালানি তেল কিনে বেশি দামে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে
সরকার। এতে সরকারের লাভ হলেও সব শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে
যাচ্ছে।
সরকার যে শুধু গাড়িতে ব্যবহৃত অকটেন বিক্রি করেই মুনাফা করছে তা নয়, গরিব মানুষের জ্বালানি কেরোসিন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জ্বালানি ডিজেল বিক্রি করেও বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করে প্রায় বছর হতে চলল। এখনো জ্বালানি তেলের দাম কম। তার পরেও সরকার দেশে কোনো ধরনের জ্বালানি তেলের দাম না কমানো বা সমন্বয় না করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা শুরু হয়। ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার থেকে কমে একপর্যায়ে তা ৫৮ মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এখন এর দাম ৭৫ ডলার। আর আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, তেলের দাম অদূর ভবিষ্যতে বাড়লেও তা আর আগের পর্যায়ে উঠবে না। মনে করা হচ্ছে, আরও অনেক দিন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম সর্বোচ্চ ৭৫-৮০ ডলারের মধ্যেই থাকবে।
সরকারের এই অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের এই অবস্থান সঠিক নয়। বিশ্ববাজারে যেহেতু দাম কমেছে, সেহেতু দেশেও দাম কমানো উচিত। জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল থাকে না বলে তিন মাস পর পর দাম পর্যালোচনা করে বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এখন প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রলের উৎপাদন ব্যয় পড়ছে ৫৬ টাকা ৮৫ পয়সা। গ্রাহকের কাছে তা বিক্রি করা হচ্ছে যথাক্রমে ৯৯ ও ৯৬ টাকা। বিপণন কোম্পানি ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কমিশন বাদ দিয়ে বিপিসির মুনাফা ৩৫ টাকা ৪৯ পয়সা। একইভাবে প্রতি লিটার কেরোসিন বিপিসির মুনাফা হচ্ছে ১৩ টাকা ৭৭ পয়সা। ডিজেল ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা। ফার্নেস তেল ১৯ টাকা ৫৭ পয়সা এবং প্রতি লিটার জেট ফুয়েলে (বিমানের জ্বালানি) বিপিসির মুনাফা হচ্ছে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা করে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম হলেও স্থিতিশীল নয়। প্রতিটি চালানেই দামের হেরফের হয়। ফলে মুনাফার পরিমাণ দীর্ঘ সময় একই রকম থাকে না। অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ না হওয়া পর্যন্ত বিপিসির মুনাফা সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। তবে মুনাফা যে হচ্ছে তা ঠিক।’
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে বিপিসি যে লোকসান দিয়ে এসেছে, তার ফলে সংস্থার দায়-দেনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের কাছেই ঋণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে কি না, তা অন্যান্য সময়ের মতোই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত বিপিসির কাছে দাম কমানোর কোনো নির্দেশনা নেই।’
বিপিসির লোকসান পোষানোর প্রসঙ্গে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না যে বিপিসি যুগ যুগ ধরে লোকসান দিয়েছে বলে দাম কমলেও তা বেশি রাখতে হবে। বরং বিপিসির লোকসানের অঙ্ক সরকার বাজেটের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। তারপর দাম কমিয়ে দিলে সব খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
বিশ্বব্যাংকের মতো উন্নয়ন সহযোগীরা জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করার পদ্ধতি প্রবর্তন করার পক্ষে, যেমনটি ভারত করেছে। তাতে বিশ্ববাজারে দাম কমলে আনুপাতিক হারে দেশেও কমবে, বাড়লে দেশেও বাড়বে। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সভায় স্পষ্ট করেই বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকির নীতি তিনি অব্যাহত রাখবেন।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমালেও সাধারণ মানুষ তার সুফল পায় না। কারণ, জ্বালানি তেলের অন্যতম প্রধান ব্যবহারকারী পরিবহন খাত ভাড়া কমায় না। নানা অজুহাতে তারা বাড়তি ভাড়া নেয়।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ম. তামিমও মনে করেন, পরিবহন খাতের মালিকানার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা যুক্ত থাকায় সরকার কখনোই ওই লবির সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাঁরা নানা অজুহাতে ভাড়া কমাতে দেন না। আর কৃষিতে যে ডিজেল ব্যবহৃত হয় তার দাম কমিয়েও লাভ নেই। কারণ, কৃষক সরাসরি ডিজেল কেনেন না, কৃষক কেনেন পানি। সরকার ডিজেলের দাম কমালেও মহাজন সেই পানির দাম কমাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তবে সরকার ফার্নেস তেলের দাম কমাতে পারে বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘ফার্নেস তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমবে। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দরকার হবে না। সেই সুবিধা সবাই পাবেন।’
জ্বালানি তেলের দাম কমালেও পরিবহন, কৃষি প্রভৃতি খাতে ব্যয় কমানোর সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে না বলে সরকারের ভেতরেও অনেকে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সুশাসনের (গভর্নেন্স) প্রশ্ন। অর্থনৈতিক বিষয় নয়। সুশাসন তো সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
জ্বালানি তেল
বিশ্ববাজার থেকে কম দামে কিনে দেশে বেশি দামে বিক্রি করছে সরকার
লিটারপ্রতি দাম টাকায় বিক্রয় মূল্য (দেশের বাজারে) মুনাফা (কমিশন বাদে)
অকটেন/পেট্রল ৯৬–৯৯ ৩৫.৪৯
ডিজেল ৬৮ ১৪.৬৮
কেরোসিন ৬৮ ১৩.৭৭
ফার্নেস অয়েল ৬০ ১৯.৫৭
সূত্র: বিপিসি
সরকার যে শুধু গাড়িতে ব্যবহৃত অকটেন বিক্রি করেই মুনাফা করছে তা নয়, গরিব মানুষের জ্বালানি কেরোসিন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জ্বালানি ডিজেল বিক্রি করেও বিপুল পরিমাণ মুনাফা করছে। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফা দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করে প্রায় বছর হতে চলল। এখনো জ্বালানি তেলের দাম কম। তার পরেও সরকার দেশে কোনো ধরনের জ্বালানি তেলের দাম না কমানো বা সমন্বয় না করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমা শুরু হয়। ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার থেকে কমে একপর্যায়ে তা ৫৮ মার্কিন ডলারে নেমে আসে। এখন এর দাম ৭৫ ডলার। আর আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, তেলের দাম অদূর ভবিষ্যতে বাড়লেও তা আর আগের পর্যায়ে উঠবে না। মনে করা হচ্ছে, আরও অনেক দিন প্রতি ব্যারেল তেলের দাম সর্বোচ্চ ৭৫-৮০ ডলারের মধ্যেই থাকবে।
সরকারের এই অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারের এই অবস্থান সঠিক নয়। বিশ্ববাজারে যেহেতু দাম কমেছে, সেহেতু দেশেও দাম কমানো উচিত। জ্বালানি তেলের বাজার স্থিতিশীল থাকে না বলে তিন মাস পর পর দাম পর্যালোচনা করে বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এখন প্রতি লিটার অকটেন ও পেট্রলের উৎপাদন ব্যয় পড়ছে ৫৬ টাকা ৮৫ পয়সা। গ্রাহকের কাছে তা বিক্রি করা হচ্ছে যথাক্রমে ৯৯ ও ৯৬ টাকা। বিপণন কোম্পানি ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কমিশন বাদ দিয়ে বিপিসির মুনাফা ৩৫ টাকা ৪৯ পয়সা। একইভাবে প্রতি লিটার কেরোসিন বিপিসির মুনাফা হচ্ছে ১৩ টাকা ৭৭ পয়সা। ডিজেল ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা। ফার্নেস তেল ১৯ টাকা ৫৭ পয়সা এবং প্রতি লিটার জেট ফুয়েলে (বিমানের জ্বালানি) বিপিসির মুনাফা হচ্ছে ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা করে।
বিপিসির চেয়ারম্যান এ এম বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কম হলেও স্থিতিশীল নয়। প্রতিটি চালানেই দামের হেরফের হয়। ফলে মুনাফার পরিমাণ দীর্ঘ সময় একই রকম থাকে না। অর্থবছর শেষে চূড়ান্ত হিসাব-নিকাশ না হওয়া পর্যন্ত বিপিসির মুনাফা সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। তবে মুনাফা যে হচ্ছে তা ঠিক।’
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুগ যুগ ধরে বিপিসি যে লোকসান দিয়ে এসেছে, তার ফলে সংস্থার দায়-দেনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের কাছেই ঋণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে কি না, তা অন্যান্য সময়ের মতোই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত বিপিসির কাছে দাম কমানোর কোনো নির্দেশনা নেই।’
বিপিসির লোকসান পোষানোর প্রসঙ্গে এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না যে বিপিসি যুগ যুগ ধরে লোকসান দিয়েছে বলে দাম কমলেও তা বেশি রাখতে হবে। বরং বিপিসির লোকসানের অঙ্ক সরকার বাজেটের মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। তারপর দাম কমিয়ে দিলে সব খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
বিশ্বব্যাংকের মতো উন্নয়ন সহযোগীরা জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমন্বয় করার পদ্ধতি প্রবর্তন করার পক্ষে, যেমনটি ভারত করেছে। তাতে বিশ্ববাজারে দাম কমলে আনুপাতিক হারে দেশেও কমবে, বাড়লে দেশেও বাড়বে। তবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফের সভায় স্পষ্ট করেই বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকির নীতি তিনি অব্যাহত রাখবেন।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম কমালেও সাধারণ মানুষ তার সুফল পায় না। কারণ, জ্বালানি তেলের অন্যতম প্রধান ব্যবহারকারী পরিবহন খাত ভাড়া কমায় না। নানা অজুহাতে তারা বাড়তি ভাড়া নেয়।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত বিশেষ সহকারী ম. তামিমও মনে করেন, পরিবহন খাতের মালিকানার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা যুক্ত থাকায় সরকার কখনোই ওই লবির সঙ্গে পেরে ওঠে না। তাঁরা নানা অজুহাতে ভাড়া কমাতে দেন না। আর কৃষিতে যে ডিজেল ব্যবহৃত হয় তার দাম কমিয়েও লাভ নেই। কারণ, কৃষক সরাসরি ডিজেল কেনেন না, কৃষক কেনেন পানি। সরকার ডিজেলের দাম কমালেও মহাজন সেই পানির দাম কমাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তবে সরকার ফার্নেস তেলের দাম কমাতে পারে বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘ফার্নেস তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমবে। ফলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর দরকার হবে না। সেই সুবিধা সবাই পাবেন।’
জ্বালানি তেলের দাম কমালেও পরিবহন, কৃষি প্রভৃতি খাতে ব্যয় কমানোর সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবে না বলে সরকারের ভেতরেও অনেকে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সুশাসনের (গভর্নেন্স) প্রশ্ন। অর্থনৈতিক বিষয় নয়। সুশাসন তো সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।’
জ্বালানি তেল
বিশ্ববাজার থেকে কম দামে কিনে দেশে বেশি দামে বিক্রি করছে সরকার
লিটারপ্রতি দাম টাকায় বিক্রয় মূল্য (দেশের বাজারে) মুনাফা (কমিশন বাদে)
অকটেন/পেট্রল ৯৬–৯৯ ৩৫.৪৯
ডিজেল ৬৮ ১৪.৬৮
কেরোসিন ৬৮ ১৩.৭৭
ফার্নেস অয়েল ৬০ ১৯.৫৭
সূত্র: বিপিসি
No comments