ভারসাম্যহীন প্রশাসন
জনপ্রশাসনে
সর্বশেষ পদোন্নতি বঞ্চনার চিত্র কর্মস্থলের পরিবেশকে অনেকটা বিব্রতকর
অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। অনেক সিনিয়র কর্মকর্তাকে এখন জুনিয়রের অধীনে কাজ করতে
হচ্ছে। কেউ সরাসরি এভাবে তোপের মুখে না পড়লেও পাশের কক্ষে থাকা ব্যাচমেটের
সঙ্গে যোজন যোজন ব্যবধান তৈরি হয়েছে। দেখা গেছে, মেধা তালিকার ওপরে থাকা
সত্ত্বেও কেউ এখনও উপসচিব অথবা যুগ্মসচিব। অথচ কোটায় নিয়োগ পাওয়া ব্যাচমেট
এখন অতিরিক্ত সচিব কিংবা সচিবের চেয়ারে বসে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, সব ধরনের
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেউ বাদ পড়েছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের তালিকায় পড়ে,
কেউ আবার জ্যেষ্ঠতা বঞ্চিত হয়ে পদোন্নতি বিবেচনার তালিকাতেই নাম লেখাতে
পারেননি। এতে করে অনেক মেধাবী ও নিরীহ কর্মকর্তার যোগ্যতা-দক্ষতা অনেকটা
বরবাদ হতে চলেছে। অনেকে ভেবেছিলেন, তাদের বিষয়টি দ্রুত বিবেচনা করা হবে।
কিন্তু এক মাস হয়ে গেলেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত দাবিদার
কর্মকর্তাদের ক্ষোভ-হতাশার পাল্লা শুধুই ভারি হচ্ছে। আর যারা ভেবেছিলেন,
পদোন্নতি না হলেও অন্তত জ্যেষ্ঠতা ফিরে পাবেন তাদের সে আশাও এখন দুরাশায়
পরিণত হয়েছে। এই যখন অবস্থা, তখন প্রশাসনজুড়ে এক ধরনের অস্বস্তিকর অবস্থা
বিরাজ করছে বললেও ভুল বলা হবে না। প্রশাসন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকদের অনেকের
অভিমতও এ রকম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের ১০ম ব্যাচ থেকে
সম্প্রতি যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১০৫ জন কর্মকর্তা। অথচ তাদের চার
ব্যাচ সিনিয়র ১৯৮২ ব্যাচের কয়েকজন কর্মকর্তা এখনও উপসচিব পদেই রয়ে গেছেন।
অপরদিকে ২০তম ব্যাচের ১৯৩ জন কর্মকর্তা উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেও তাদের ছয়
ব্যাচ সিনিয়র ৯ম ব্যাচের দু’জন কর্মকর্তা এখনও সিনিয়র সহকারী সচিবের ঘানি
টেনে চলছেন। এক মাস আগে জনপ্রশাসনে তিনটি স্তরে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও
অতিরিক্ত সচিব পদে ৮৭৩ জনকে পদোন্নতি দেয়ার পর এমন ভারসাম্যহীনতার ছায়া এখন
প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এছাড়া এই পদোন্নতি সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও মতামত
পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত দাবিদার
কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন, যুগ্মসচিব পদে ৩০৫ জন এবং উপসচিব পদে ১৯৪
জন।
এদিকে সত্যিকারার্থে দলমত নিরপেক্ষ যেসব মেধাবী কর্মকর্তা এভাবে দফায় দফায় পদোন্নতি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষের শেষ নেই। বঞ্চিতদের মধ্যে যেসব মেধাবী কর্মকর্তার এখন সচিব কিংবা অতিরিক্ত সচিব পদে থাকার কথা ছিল তাদের অনেকেই উপসচিব অথবা বড়জোর যুগ্মসচিব পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছেন। কেউ কেউ অবসরে যাওয়ার জন্য পাততাড়ি গোটাচ্ছেন। আর যাদের উপসচিব ও যুগ্মসচিব হওয়ার কথা তাদের কেউ কেউ এখনও পেছনের সারিতে পড়ে আছেন। এ রকম ভুক্তভোগী কর্মকর্তাদের কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, এভাবে বিনা অপরাধে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়া যে কতটা কষ্টের তা মুখের ভাষায় বোঝানো যাবে না। পরিবার-পরিজন ও সমাজের কাছেও তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, রিভিউ করার আবেদন জানিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে করেন না। মূলত এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। এজন্য ন্যায়বিচার পেতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত করার অভিযোগ নতুন নয়। সব সরকারের আমলে কম-বেশি ছিল। বিএনপি সরকারের সময়ও প্রতিটি পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ চিহ্নিত করে শত শত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি ঠেকাতে গোপনে তিন দফায় পদোন্নতি বিধিমালা সংশোধন করার নজিরও রয়েছে। এছাড়া ওএসডি ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার সে সময় রেকর্ড গড়েছিল।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসএসবি (পদোন্নতি সংক্রান্ত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) সংশ্লিষ্ট কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া কাউকে পদোন্নতি থেকে বাদ দেয়া হয়নি। নিজেকে খুব মেধাবী কিংবা পদোন্নতি পাওয়ার সব শর্ত পূরণ আছে বলে যারা দাবি করছেন তাদেরও কোথাও না কোথাও কোনো সমস্যা আছে। তাছাড়া শুধু জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী কাউকে পদোন্নতি দেয়া হয় না। আর সব ধাপে পদোন্নতি পাওয়া একজন কর্মকর্তার অধিকারের বিষয়ও নয়। বরং পদোন্নতি দেয়া, না দেয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারই মুখ্য বিষয়। পদোন্নতি বিধিমালাতেও এ বিষয়ে এসএসবিকে অনেক ক্ষমতা দেয়া আছে। তা সত্ত্বেও তারা মনে করেন, আগামী জুলাই-আগস্ট মাস নাগাদ ইতিবাচক একটা মেসেজ আসতে পারে। তবে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
অতিরিক্ত সচিব : এক হিসাবে দেখা গেছে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় দেড়শ’ জন। এর সঙ্গে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা যুক্ত করলেও তা পাঁচশ’র কাছাকাছি চলে যাবে। যেমন এক মাস আগে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন ব্যাচ হিসেবে ১৯৮৫ ব্যাচের বেশ কিছুসংখ্যক সৌভাগ্যবান কর্মকর্তার স্থান হয়েছে। কিন্তু একই ব্যাচের অনেকের ভাগ্যে তা জোটেনি। বরং এই ব্যাচের সিনিয়র (তদূর্ধ্ব পর্যায়ের) আরও দুটি ব্যাচের যুগ্মসচিবদের যদি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়, তাহলে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৮৫ জনে। এর সঙ্গে আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তা যুক্ত করলে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। যেমন- ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের ১৬ জন, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ৪৪ জন, ১৯৮৪ ব্যাচের ১৭৬ জন। এছাড়া ১৯৮৫ ব্যাচেরই রয়েছে ২৪৯ জন যুগ্মসচিব। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠতা না পাওয়া কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই পদোন্নতি পাওয়া ২৮৬ জন ও একই বছর ১০ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পাওয়া আরও ৬০ জন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা হলেন ১৯৮২ ব্যাচের সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বদিউল আলম, মোশাররফ হোসেন, ড. মো. আবদুল হামিদ, মোহাম্মদ মোস্তফা, রফিকুল-ই-মোহাম্মদ, এটিএম মহিউদ্দিন আহমেদ, এনডিসি, সফিকউদ্দিন আহমেদ, আবদুল ফাত্তাহ মো. বখতিয়ার, সফিউর রহমান, এনডিসি, এসএম মেসবাহুল ইসলাম, মির্জা ফজলুল করিম, এম আবুল কাশেম মাসুদ, হাসানুর রহমান, আজিজ হাসান, এনডিসি, নাসরিন আখতার, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের নাসির উদ্দিন খান, আবুল হাশেম, সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, সামসুল কিবরিয়া চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, এডি মোহাম্মদ আবদুল বাসেত, একেএম মুর্তজা, নাজমা বেগম, ফজলুল হক, ড. দিলীপ কুমার শর্মা, এনডিসি, মাহবুবুর রহমান, শাহ আলম বখশী প্রমুখ (জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সবার নাম দেয়া সম্ভব হল না)।
যুগ্মসচিব : যুগ্মসচিব পদে বর্তমানে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা ৩০৫ জন। যাদের মধ্যে ৬ বার বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮২ ব্যাচের ১ জন, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ৯ জন, ৪/৫ দফায় বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮৪ ব্যাচের ৫৮ জন, ৪ বার করে বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের ১০২ জন, ৩ বার বঞ্চিত হয়েছেন ৮৬ ব্যাচের ৫৫ জন এবং প্রথমবারের মতো গত ৬ এপ্রিল বঞ্চিত হয়েছেন ৯ম ব্যাচের ৩৩ জন ও ১০ম ব্যাচের ৪৭ জন।
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিতরা হলেন ৮২ ব্যাচের মোহা. কামাল রেজা, ৮২ বিশেষ ব্যাচের মো. ওয়ালিউর রহমান, সুরুত জামান, আবু আল হেলাল, মুজিবুর রহমান, মো. ইলিয়াস, এসএম ফয়সাল আলম, সাবিনা ইয়াসমিন, আফজাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৮৪ ব্যাচের গোলাম হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, জাফর সাদিক, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, তালেবুর রেজা মো. মোস্তাকুল হক, আবদুল বারী, মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম সরকার, ভূঁইয়া মো. আতাউর রহমান, নুরুল করিম মজুমদার, এসএম রইস উদ্দিন আহমেদ, আজিজার রহমান মোল্লা, তালুকদার শামসুর রহমান, জসিম উদ্দিন মাহবুব, সাইফুদ্দিন আহমেদ মজুমদার, ইমদাদুল হক, গোলাম মোস্তফা, লোকমান আহমেদ, কেফায়েত উল্লাহ, সৈয়দ আহমদ সাফা, মো. হাফিজউদ্দিন, ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া, হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মাহবুব-ই-জামাল, আবদুল কাইয়ুম, মীর আহমেদ, আবদুর রউফ, জাহিদ হোসেন, শেখ আলাউদ্দিন, আবু তালেব মোল্লা, ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সামসুল আলম, আকমল হোসেন, আবদুর রব, গোলাম মাওলা, নবিউল হক মোল্লা, মমতাজ বেগম, ফেরদৌস আলম, ড. মো. আবদুল কাদের, শামীম সারা খান, ড. মহিউদ্দিন, এসএম আমজাদ হোসেন, মমরেজ মিয়া, তালাত মাহমুদ খান, এনএম ইসলাম প্রমুখ।
১৯৮৫ ব্যাচের তৌহিদুর রহমান, ড. শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, মো. মনিরুজ্জামান, আবুল বাশার মো. সিরাজুল হক, আবু তালেব, তাহসিনুর রহমান, আবদুল্লাহ আল বাকি, কাজী মো. আনোয়ারুল হাকিম, মোহাম্মদ শেফাউল করিম, মো. সলিমুল্লাহ, কাজী মেরাজ হোসেন, আবদুল মান্নান, ড. কাউয়ুম আরা বেগম, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, মো. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আবদুল আহাদ, ড. শাহেদ ইকবাল মাহবুব, হুমায়ুন কবির, জামাল হোসেন মজুমদার, জাহাঙ্গীর আলম খান, ইয়াহিয়া ভূঁইয়া, ড. কামরুল আহসান, আলনূরি ফাইজুর রেজা, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাজ্জাদুল কাইয়ুম দুলাল, আউলাদ হোসেন খান, নাসির উদ্দিন আহমেদ, আবু সৈয়দ মো. শাহীন রেজা খান, আবুল কালাম আজাদ, এসএম ফিরোজ আলম, জুলফিকার আলী হায়দর, ফাইজুল করিম, আব্দুল্লাহ মাসুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, ড. মোহাম্মদ ফেরদৌস হোসেন, ড. রেজাউল করিম, মকবুল হোসেন, জর্জেস মিয়া, নাসিমা মহসীন, আবদুর রশীদ, নাসরীন আখতার চৌধুরী, শেখ আতিয়ার হোসেন প্রমুখ।
১৯৮৬ ব্যাচের ড. আবুল হোসেন, শামীম আল মামুন, শরীফ মর্তুজা মামুন, এএন এম শফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস ভূঁইয়া, সেলিম আখতার, জাফর উল্লাহ খান, মহসিনা খান, তৌফিকুর রহমান, জাকির হোসেন কামাল, হাওলাদার জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. সামসুদ্দোহা, আবদুল জলিল, মুকসিদুর রহমান, মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বি সাদিক আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন, নূরুল আলম, আবু নাসের, মঈন উদ্দিন, আবু তালেব, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবু তালেব, কাজী ফাইজুর রহমান, মকবুল হোসেন, লাইসুর রহমান, ড. সিরাজুল ইসলাম, লুৎফুন্নাহার বেগম, আবদুল মতিন প্রমুখ। ৯ম ব্যাচের ফখরুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মজিদ, মোস্তা গাউসুল হক, এজেটএম আবদুল্লাহ হেল বাকি, মো. মহসীন, আবদুল মান্নান, মাহবুবুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক আলম, সারওয়ার মাহমুদ, আলমগীর হোসেন, কেএম তরিকুল ইসলাম, হাসনুল ইসলাম, একেএম মাসুদুর রহমান, রেজাউল হায়দার, নাসরীন খোরাসানি, আবদুস সাত্তার সরকার, শফিকুল হক, জাকির হোসেন, অনল চন্দ্র দাস, নজরুল ইসলাম, জিএম আবদুল কাদের, ইউসুফ আলী, রফিকুল ইসলাম খান, সাদ’ত হোসেন, এসএম মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন ব্যাপারি প্রমুখ।
১০ম ব্যাচ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, আজম খান, মির্জা তারিক হিকমাত, মোজাম্মেল হক, কাজী মোহাম্মদ মনজুর-ই-মাকসুদ, রিজওয়ানুল হুদা, সালমা মমতাজ, দেলোয়ার হায়দার, হারুন অর রশীদ মোল্লা, নুরুল আলম নিজামী, মকবুল হোসেন, আতাউর রহমান, আবু মাসুদ, ড. খালিদ হোসেন, ড. শাহনাজ আরেফিন, ড. মোহাম্মদ আমিন, মাহমুদা খাতুন, জিল্লুর রহিম শাহরিয়ার, মাসুদ করিম, মো. আনিসুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, রাশেদা আখতার, ড. মনিরুজ্জামান, মনজুর মোর্শেদ, সাইদুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক, গিয়াস উদ্দিন মোগল, একেএম দিনারুল ইসলাম, তাহেরা ফেরদৌস বেগম, কবিরুল হাসান, জাফর রাজা চৌধুরী, মোমেনা খাতুন, ড. সিতারা বেগম প্রমুখ।
উপসচিব : বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা ১৯৪ জন। যাদের মধ্যে ৫ দফায় বঞ্চিত হয়েছেন ৯ম ব্যাচের ২ জন ও ১০ম ব্যাচের ৭ জন, ৪ বার করে বঞ্চিত হয়েছেন ১১তম ব্যাচের ২২ জন ও ১৩তম ব্যাচের ২৭ জন, ৩ বার বঞ্চিত হয়েছেন ১৫তম ব্যাচের ২৬ জন, ২ বার করে বঞ্চিত হন ১৭তম ব্যাচের ১৩ জন ও ১৮তম ব্যাচের ১৭ জন এবং ৬ এপ্রিলের পদোন্নতিতে প্রথমবারের মতো বঞ্চিত হয়েছেন ২০তম ব্যাচের ৮০ জন।
উপসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিতরা হলেন ৯ম ব্যাচের তাজুল ইসলাম ও মো. সেলিম। ১০ম ব্যাচের সিরাজুল ইসলাম খান, গাজীউদ্দিনর মোহাম্মদ মনির, এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মো. আব্বাসউদ্দিন, মাহবুবল আহসান, ১১তম ব্যাচের আক্তারুজ্জামান তালুকদার, এবি আইন আবদুল্লাহ, কেএম কবিরুল ইসলাম, মো. কামাল উদ্দিন, আহমেদুল হক, একেএম এসানুল হক, মনিরুজ্জামান খান, মোহাম্মদ নুরুল আবছার, রেজাউল কবির, শরীফ মাসুদ, নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইমামুদ্দিন কবির, মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া, ফরিদুল ইসলাম, আবদুল মতিন, এমএম মঈন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। ১৩তম ব্যাচের আবদুল খালেক, সেকেন্দার রিজভী, ড. মো. নাজমুল আমিন মজুমদার, একে লুৎফর রহমান, মাহমুদ হাসান, এ ই এম জিয়াউদ্দিন আল মামুন, আলীম আখতার খান, রফিকুল ইসলাম, ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মাহবুবুর রহমান, ফজলুল কবির, শাহীন আখতার, খন্দকার মাহবুর রহমান, ফয়েজ আহমেদ, মাহফুজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আল ফারুক, মিজানুর রহমান, মনজুর রহমান, নওয়াব আসলাম হাবিব, আবদুল হাশেম, হামিদুর রহমান প্রমুখ। ১৫তম ব্যাচের এএইচএম আবদুল করিম, খালেদ রহিম, শেখ মতিয়ার রহমান, বাবুল মিয়া, ওবায়দুর রহমান, শাহজাহান মিয়া, সাইদুর রহমান, রেজাউল করিম, রকিবুল হাসান, মালেকা পারভীন, নাসির উদ্দিন দৌলা, সৈয়দ নূরুল বশীর, ইউনুছ আলী, একেএম তরিকুল আলম, সেলিম উল্লাহ, এএসএম হুমায়ুন কবির, শওকত রশীদ চৌধুরী, আফজালুর রহমান, শেখাবুর রহমান, শবনাম মুশতারি, ড. আবদুল হাকিম, আবদুন নাসের খান, শেখ আখলাক আহমেদ, আবদুর রহমান তরফদার, ড. এএম ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ। ১৭তম ব্যাচের কাজী আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম খান, ফিরোজ সরকার, সাইদুর রহমান খান, কেএম আলী নেওয়াজ, নরুননাহার চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, আবু আহমেদ সিদ্দিক, রায়হান কায়সার, দাউদ মিয়া, ড. সৈয়দা নওশীস, মোক্তার আহমেদ প্রমুখ। ১৮তম ব্যাচের শাহ আলম, ফজলুর রহমান, রফিকুল আলম, ড. মিজানুর রহমান, সুরাইয়া আখতার জাহান, ড. সাইফুল আলম, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, রেজাউন নবী।
আদার্স ক্যাডার : প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের ন্যায় অন্যান্য ক্যাডার থেকে যারা অপশন দিয়ে উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ওঠে আসার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের অনেকের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বরং তাদের উপসচিব হতেই অনেক সময় পাড়ি দিতে হয়েছে।
প্রশাসন ক্যাডারের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের উপসচিব হতে হয়। এরপর উপরের ধাপগুলোতে কখনও সময়মতো পদোন্নতি হয় না। এবার তিন স্তরের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একই নজির স্থাপিত হয়েছে।
শুধু একটি ক্যাডারের উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন গণপূর্ত ক্যাডারের বিসিএস (বিশেষ) ১৯৮৩ ব্যাচ। বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১৯৮৪ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। যাদের মধ্যে ৭ জন কর্মকর্তা অন্যান্য ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল এবং ৪ জন কর্মকর্তা অন্যান্য ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। গণপূর্ত ক্যাডারের ১৯৮৩ ব্যাচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অন্যান্য ক্যাডারের কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের থেকে আলাদাভাবে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করায় তারা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়। ওদিকে বিলম্বে ১৯৮৩ ব্যাচের গণপূর্ত ক্যাডারের ৬ জন কর্মকর্তা বিলম্বে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় পরবর্তীতে তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিও পিছিয়ে যায়।
সময়মতো পদোন্নতি না পাওয়ায় কয়েকজনকে অবসরে যেতে হয়েছে।
অবশেষে ৬ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব পদে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলেও গণপূর্ত ক্যাডারের ১৯৮৩ ব্যাচের ছয়জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। যুগ্মসচিব হিসেবে যাদের তিনজনের চাকরিকাল ৪ বছর পার হয়েছে। চাকরির শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হতাশাগ্রস্ত এসব পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা এখন পুনর্বিবেচনার আশায় অপেক্ষায় রয়েছেন।
এদিকে সত্যিকারার্থে দলমত নিরপেক্ষ যেসব মেধাবী কর্মকর্তা এভাবে দফায় দফায় পদোন্নতি বঞ্চনার শিকার হয়েছেন তাদের ক্ষোভ-অসন্তোষের শেষ নেই। বঞ্চিতদের মধ্যে যেসব মেধাবী কর্মকর্তার এখন সচিব কিংবা অতিরিক্ত সচিব পদে থাকার কথা ছিল তাদের অনেকেই উপসচিব অথবা বড়জোর যুগ্মসচিব পর্যন্ত গিয়ে আটকে আছেন। কেউ কেউ অবসরে যাওয়ার জন্য পাততাড়ি গোটাচ্ছেন। আর যাদের উপসচিব ও যুগ্মসচিব হওয়ার কথা তাদের কেউ কেউ এখনও পেছনের সারিতে পড়ে আছেন। এ রকম ভুক্তভোগী কর্মকর্তাদের কয়েকজন যুগান্তরকে বলেন, এভাবে বিনা অপরাধে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়া যে কতটা কষ্টের তা মুখের ভাষায় বোঝানো যাবে না। পরিবার-পরিজন ও সমাজের কাছেও তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, রিভিউ করার আবেদন জানিয়ে কোনো লাভ হবে বলে মনে করেন না। মূলত এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। এজন্য ন্যায়বিচার পেতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য তারা প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনে পদোন্নতি বঞ্চিত করার অভিযোগ নতুন নয়। সব সরকারের আমলে কম-বেশি ছিল। বিএনপি সরকারের সময়ও প্রতিটি পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ চিহ্নিত করে শত শত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। ১৯৭৩ ব্যাচের কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি ঠেকাতে গোপনে তিন দফায় পদোন্নতি বিধিমালা সংশোধন করার নজিরও রয়েছে। এছাড়া ওএসডি ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার সে সময় রেকর্ড গড়েছিল।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসএসবি (পদোন্নতি সংক্রান্ত সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) সংশ্লিষ্ট কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া কাউকে পদোন্নতি থেকে বাদ দেয়া হয়নি। নিজেকে খুব মেধাবী কিংবা পদোন্নতি পাওয়ার সব শর্ত পূরণ আছে বলে যারা দাবি করছেন তাদেরও কোথাও না কোথাও কোনো সমস্যা আছে। তাছাড়া শুধু জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী কাউকে পদোন্নতি দেয়া হয় না। আর সব ধাপে পদোন্নতি পাওয়া একজন কর্মকর্তার অধিকারের বিষয়ও নয়। বরং পদোন্নতি দেয়া, না দেয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারই মুখ্য বিষয়। পদোন্নতি বিধিমালাতেও এ বিষয়ে এসএসবিকে অনেক ক্ষমতা দেয়া আছে। তা সত্ত্বেও তারা মনে করেন, আগামী জুলাই-আগস্ট মাস নাগাদ ইতিবাচক একটা মেসেজ আসতে পারে। তবে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা দেয়ার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।
অতিরিক্ত সচিব : এক হিসাবে দেখা গেছে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় দেড়শ’ জন। এর সঙ্গে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতাবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা যুক্ত করলেও তা পাঁচশ’র কাছাকাছি চলে যাবে। যেমন এক মাস আগে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন ব্যাচ হিসেবে ১৯৮৫ ব্যাচের বেশ কিছুসংখ্যক সৌভাগ্যবান কর্মকর্তার স্থান হয়েছে। কিন্তু একই ব্যাচের অনেকের ভাগ্যে তা জোটেনি। বরং এই ব্যাচের সিনিয়র (তদূর্ধ্ব পর্যায়ের) আরও দুটি ব্যাচের যুগ্মসচিবদের যদি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে ধরে নেয়া হয়, তাহলে সে সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৮৫ জনে। এর সঙ্গে আদার্স ক্যাডারের কর্মকর্তা যুক্ত করলে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। যেমন- ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের ১৬ জন, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ৪৪ জন, ১৯৮৪ ব্যাচের ১৭৬ জন। এছাড়া ১৯৮৫ ব্যাচেরই রয়েছে ২৪৯ জন যুগ্মসচিব। এর মধ্যে জ্যেষ্ঠতা না পাওয়া কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই পদোন্নতি পাওয়া ২৮৬ জন ও একই বছর ১০ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পাওয়া আরও ৬০ জন কর্মকর্তা। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিত সিনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা হলেন ১৯৮২ ব্যাচের সিরাজ উদ্দিন মিয়া, বদিউল আলম, মোশাররফ হোসেন, ড. মো. আবদুল হামিদ, মোহাম্মদ মোস্তফা, রফিকুল-ই-মোহাম্মদ, এটিএম মহিউদ্দিন আহমেদ, এনডিসি, সফিকউদ্দিন আহমেদ, আবদুল ফাত্তাহ মো. বখতিয়ার, সফিউর রহমান, এনডিসি, এসএম মেসবাহুল ইসলাম, মির্জা ফজলুল করিম, এম আবুল কাশেম মাসুদ, হাসানুর রহমান, আজিজ হাসান, এনডিসি, নাসরিন আখতার, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের নাসির উদ্দিন খান, আবুল হাশেম, সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, সামসুল কিবরিয়া চৌধুরী, মুজিবুর রহমান, এডি মোহাম্মদ আবদুল বাসেত, একেএম মুর্তজা, নাজমা বেগম, ফজলুল হক, ড. দিলীপ কুমার শর্মা, এনডিসি, মাহবুবুর রহমান, শাহ আলম বখশী প্রমুখ (জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সবার নাম দেয়া সম্ভব হল না)।
যুগ্মসচিব : যুগ্মসচিব পদে বর্তমানে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা ৩০৫ জন। যাদের মধ্যে ৬ বার বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮২ ব্যাচের ১ জন, ১৯৮২ বিশেষ ব্যাচের ৯ জন, ৪/৫ দফায় বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮৪ ব্যাচের ৫৮ জন, ৪ বার করে বঞ্চিত হয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের ১০২ জন, ৩ বার বঞ্চিত হয়েছেন ৮৬ ব্যাচের ৫৫ জন এবং প্রথমবারের মতো গত ৬ এপ্রিল বঞ্চিত হয়েছেন ৯ম ব্যাচের ৩৩ জন ও ১০ম ব্যাচের ৪৭ জন।
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতিবঞ্চিতরা হলেন ৮২ ব্যাচের মোহা. কামাল রেজা, ৮২ বিশেষ ব্যাচের মো. ওয়ালিউর রহমান, সুরুত জামান, আবু আল হেলাল, মুজিবুর রহমান, মো. ইলিয়াস, এসএম ফয়সাল আলম, সাবিনা ইয়াসমিন, আফজাল হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৮৪ ব্যাচের গোলাম হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, জাফর সাদিক, মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, তালেবুর রেজা মো. মোস্তাকুল হক, আবদুল বারী, মোয়াজ্জেম হোসেন, রফিকুল ইসলাম সরকার, ভূঁইয়া মো. আতাউর রহমান, নুরুল করিম মজুমদার, এসএম রইস উদ্দিন আহমেদ, আজিজার রহমান মোল্লা, তালুকদার শামসুর রহমান, জসিম উদ্দিন মাহবুব, সাইফুদ্দিন আহমেদ মজুমদার, ইমদাদুল হক, গোলাম মোস্তফা, লোকমান আহমেদ, কেফায়েত উল্লাহ, সৈয়দ আহমদ সাফা, মো. হাফিজউদ্দিন, ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া, হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মাহবুব-ই-জামাল, আবদুল কাইয়ুম, মীর আহমেদ, আবদুর রউফ, জাহিদ হোসেন, শেখ আলাউদ্দিন, আবু তালেব মোল্লা, ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সামসুল আলম, আকমল হোসেন, আবদুর রব, গোলাম মাওলা, নবিউল হক মোল্লা, মমতাজ বেগম, ফেরদৌস আলম, ড. মো. আবদুল কাদের, শামীম সারা খান, ড. মহিউদ্দিন, এসএম আমজাদ হোসেন, মমরেজ মিয়া, তালাত মাহমুদ খান, এনএম ইসলাম প্রমুখ।
১৯৮৫ ব্যাচের তৌহিদুর রহমান, ড. শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক, মো. মনিরুজ্জামান, আবুল বাশার মো. সিরাজুল হক, আবু তালেব, তাহসিনুর রহমান, আবদুল্লাহ আল বাকি, কাজী মো. আনোয়ারুল হাকিম, মোহাম্মদ শেফাউল করিম, মো. সলিমুল্লাহ, কাজী মেরাজ হোসেন, আবদুল মান্নান, ড. কাউয়ুম আরা বেগম, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, মো. মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আবদুল আহাদ, ড. শাহেদ ইকবাল মাহবুব, হুমায়ুন কবির, জামাল হোসেন মজুমদার, জাহাঙ্গীর আলম খান, ইয়াহিয়া ভূঁইয়া, ড. কামরুল আহসান, আলনূরি ফাইজুর রেজা, হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া, সাজ্জাদুল কাইয়ুম দুলাল, আউলাদ হোসেন খান, নাসির উদ্দিন আহমেদ, আবু সৈয়দ মো. শাহীন রেজা খান, আবুল কালাম আজাদ, এসএম ফিরোজ আলম, জুলফিকার আলী হায়দর, ফাইজুল করিম, আব্দুল্লাহ মাসুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, ড. মোহাম্মদ ফেরদৌস হোসেন, ড. রেজাউল করিম, মকবুল হোসেন, জর্জেস মিয়া, নাসিমা মহসীন, আবদুর রশীদ, নাসরীন আখতার চৌধুরী, শেখ আতিয়ার হোসেন প্রমুখ।
১৯৮৬ ব্যাচের ড. আবুল হোসেন, শামীম আল মামুন, শরীফ মর্তুজা মামুন, এএন এম শফিকুল ইসলাম, ইলিয়াস ভূঁইয়া, সেলিম আখতার, জাফর উল্লাহ খান, মহসিনা খান, তৌফিকুর রহমান, জাকির হোসেন কামাল, হাওলাদার জাকির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মো. সামসুদ্দোহা, আবদুল জলিল, মুকসিদুর রহমান, মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, ড. ফজলে রাব্বি সাদিক আহমেদ, মো. আলাউদ্দিন, নূরুল আলম, আবু নাসের, মঈন উদ্দিন, আবু তালেব, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবু তালেব, কাজী ফাইজুর রহমান, মকবুল হোসেন, লাইসুর রহমান, ড. সিরাজুল ইসলাম, লুৎফুন্নাহার বেগম, আবদুল মতিন প্রমুখ। ৯ম ব্যাচের ফখরুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল মজিদ, মোস্তা গাউসুল হক, এজেটএম আবদুল্লাহ হেল বাকি, মো. মহসীন, আবদুল মান্নান, মাহবুবুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক আলম, সারওয়ার মাহমুদ, আলমগীর হোসেন, কেএম তরিকুল ইসলাম, হাসনুল ইসলাম, একেএম মাসুদুর রহমান, রেজাউল হায়দার, নাসরীন খোরাসানি, আবদুস সাত্তার সরকার, শফিকুল হক, জাকির হোসেন, অনল চন্দ্র দাস, নজরুল ইসলাম, জিএম আবদুল কাদের, ইউসুফ আলী, রফিকুল ইসলাম খান, সাদ’ত হোসেন, এসএম মাসুদুর রহমান, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন ব্যাপারি প্রমুখ।
১০ম ব্যাচ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, আজম খান, মির্জা তারিক হিকমাত, মোজাম্মেল হক, কাজী মোহাম্মদ মনজুর-ই-মাকসুদ, রিজওয়ানুল হুদা, সালমা মমতাজ, দেলোয়ার হায়দার, হারুন অর রশীদ মোল্লা, নুরুল আলম নিজামী, মকবুল হোসেন, আতাউর রহমান, আবু মাসুদ, ড. খালিদ হোসেন, ড. শাহনাজ আরেফিন, ড. মোহাম্মদ আমিন, মাহমুদা খাতুন, জিল্লুর রহিম শাহরিয়ার, মাসুদ করিম, মো. আনিসুজ্জামান, মোস্তাফিজুর রহমান, রাশেদা আখতার, ড. মনিরুজ্জামান, মনজুর মোর্শেদ, সাইদুল ইসলাম, আবু বকর সিদ্দিক, গিয়াস উদ্দিন মোগল, একেএম দিনারুল ইসলাম, তাহেরা ফেরদৌস বেগম, কবিরুল হাসান, জাফর রাজা চৌধুরী, মোমেনা খাতুন, ড. সিতারা বেগম প্রমুখ।
উপসচিব : বর্তমানে উপসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তার সংখ্যা ১৯৪ জন। যাদের মধ্যে ৫ দফায় বঞ্চিত হয়েছেন ৯ম ব্যাচের ২ জন ও ১০ম ব্যাচের ৭ জন, ৪ বার করে বঞ্চিত হয়েছেন ১১তম ব্যাচের ২২ জন ও ১৩তম ব্যাচের ২৭ জন, ৩ বার বঞ্চিত হয়েছেন ১৫তম ব্যাচের ২৬ জন, ২ বার করে বঞ্চিত হন ১৭তম ব্যাচের ১৩ জন ও ১৮তম ব্যাচের ১৭ জন এবং ৬ এপ্রিলের পদোন্নতিতে প্রথমবারের মতো বঞ্চিত হয়েছেন ২০তম ব্যাচের ৮০ জন।
উপসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিতরা হলেন ৯ম ব্যাচের তাজুল ইসলাম ও মো. সেলিম। ১০ম ব্যাচের সিরাজুল ইসলাম খান, গাজীউদ্দিনর মোহাম্মদ মনির, এজেএম সালাউদ্দিন নাগরী, মো. আব্বাসউদ্দিন, মাহবুবল আহসান, ১১তম ব্যাচের আক্তারুজ্জামান তালুকদার, এবি আইন আবদুল্লাহ, কেএম কবিরুল ইসলাম, মো. কামাল উদ্দিন, আহমেদুল হক, একেএম এসানুল হক, মনিরুজ্জামান খান, মোহাম্মদ নুরুল আবছার, রেজাউল কবির, শরীফ মাসুদ, নজরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইমামুদ্দিন কবির, মোহাম্মদ আলী, ফাহিমা ইয়াসমিন, মোহাম্মদ মহসীন ভূঁইয়া, ফরিদুল ইসলাম, আবদুল মতিন, এমএম মঈন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। ১৩তম ব্যাচের আবদুল খালেক, সেকেন্দার রিজভী, ড. মো. নাজমুল আমিন মজুমদার, একে লুৎফর রহমান, মাহমুদ হাসান, এ ই এম জিয়াউদ্দিন আল মামুন, আলীম আখতার খান, রফিকুল ইসলাম, ড. মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মাহবুবুর রহমান, ফজলুল কবির, শাহীন আখতার, খন্দকার মাহবুর রহমান, ফয়েজ আহমেদ, মাহফুজুল ইসলাম, মহিউদ্দিন আল ফারুক, মিজানুর রহমান, মনজুর রহমান, নওয়াব আসলাম হাবিব, আবদুল হাশেম, হামিদুর রহমান প্রমুখ। ১৫তম ব্যাচের এএইচএম আবদুল করিম, খালেদ রহিম, শেখ মতিয়ার রহমান, বাবুল মিয়া, ওবায়দুর রহমান, শাহজাহান মিয়া, সাইদুর রহমান, রেজাউল করিম, রকিবুল হাসান, মালেকা পারভীন, নাসির উদ্দিন দৌলা, সৈয়দ নূরুল বশীর, ইউনুছ আলী, একেএম তরিকুল আলম, সেলিম উল্লাহ, এএসএম হুমায়ুন কবির, শওকত রশীদ চৌধুরী, আফজালুর রহমান, শেখাবুর রহমান, শবনাম মুশতারি, ড. আবদুল হাকিম, আবদুন নাসের খান, শেখ আখলাক আহমেদ, আবদুর রহমান তরফদার, ড. এএম ওয়ালিউল্লাহ প্রমুখ। ১৭তম ব্যাচের কাজী আনোয়ার হোসেন, ইব্রাহিম খান, ফিরোজ সরকার, সাইদুর রহমান খান, কেএম আলী নেওয়াজ, নরুননাহার চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, আবু আহমেদ সিদ্দিক, রায়হান কায়সার, দাউদ মিয়া, ড. সৈয়দা নওশীস, মোক্তার আহমেদ প্রমুখ। ১৮তম ব্যাচের শাহ আলম, ফজলুর রহমান, রফিকুল আলম, ড. মিজানুর রহমান, সুরাইয়া আখতার জাহান, ড. সাইফুল আলম, মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, রেজাউন নবী।
আদার্স ক্যাডার : প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের ন্যায় অন্যান্য ক্যাডার থেকে যারা অপশন দিয়ে উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ওঠে আসার স্বপ্ন দেখেছিলেন তাদের অনেকের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। বরং তাদের উপসচিব হতেই অনেক সময় পাড়ি দিতে হয়েছে।
প্রশাসন ক্যাডারের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের উপসচিব হতে হয়। এরপর উপরের ধাপগুলোতে কখনও সময়মতো পদোন্নতি হয় না। এবার তিন স্তরের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও একই নজির স্থাপিত হয়েছে।
শুধু একটি ক্যাডারের উদাহরণ দিলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যেমন গণপূর্ত ক্যাডারের বিসিএস (বিশেষ) ১৯৮৩ ব্যাচ। বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের কর্মকর্তারা ১৯৮৪ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। যাদের মধ্যে ৭ জন কর্মকর্তা অন্যান্য ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০০৫ সালের ২১ এপ্রিল এবং ৪ জন কর্মকর্তা অন্যান্য ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতি পান। গণপূর্ত ক্যাডারের ১৯৮৩ ব্যাচের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের অন্যান্য ক্যাডারের কনিষ্ঠ কর্মকর্তাদের থেকে আলাদাভাবে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করায় তারা যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়। ওদিকে বিলম্বে ১৯৮৩ ব্যাচের গণপূর্ত ক্যাডারের ৬ জন কর্মকর্তা বিলম্বে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় পরবর্তীতে তাদের অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিও পিছিয়ে যায়।
সময়মতো পদোন্নতি না পাওয়ায় কয়েকজনকে অবসরে যেতে হয়েছে।
অবশেষে ৬ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব পদে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলেও গণপূর্ত ক্যাডারের ১৯৮৩ ব্যাচের ছয়জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়নি। যুগ্মসচিব হিসেবে যাদের তিনজনের চাকরিকাল ৪ বছর পার হয়েছে। চাকরির শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে হতাশাগ্রস্ত এসব পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা এখন পুনর্বিবেচনার আশায় অপেক্ষায় রয়েছেন।
No comments