রাশিয়ায় বৃহত্তম সেনা কুচকাওয়াজ
দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধ বিজয়ের ৭০ বছরপূর্তিতে বিশাল আয়োজন করেছে রাশিয়া। দেশটির
রাজধানী মস্কোয় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজ প্রদর্শনীর আয়োজন
করা হয়েছে। শনিবার মস্কোর রেড স্কয়ারে এ প্যারেড প্রদর্শনীতে ১৬ হাজারেরও
বেশি সেনা অংশ নিয়েছেন। সেই সঙ্গে সর্বাধুনিক ও উচ্চপ্রযুক্তির সামরিক
অস্ত্রশস্ত্র প্যারেড ময়দানে প্রদর্শন করা হয়। রাশিয়ার স্থানীয় সময় শনিবার
সকাল ১০টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা) প্যারেড প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
রাশিয়ার সব সামরিক ইউনিট থেকে সেনারা প্যারেডে অংশ নিয়েছেন। তারা দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধকালীন সেনা পোশাক পরে কর্মসূচিতে যোগ দেন। প্যারেড প্রাঙ্গণের
ওপর মহড়ারত ছিল ১০০টি যুদ্ধবিমান। বিশটিরও বেশি দেশের প্রধান এ কুচকাওয়াজ
পরিদর্শনে বর্তমানে মস্কোয় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও জাতিসংঘ
মহাসচিব বান কি মুন। তবে ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ভূমিকার জন্য পশ্চিমা
নেতৃবৃন্দসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রধান এ অনুষ্ঠান বয়কট করছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া ও হতাহত সোভিয়েত সেনাদের প্রতি সম্মান জানান প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সৈনিকদের প্রতিও সম্মান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। পুতিন বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা দেখছি, কীভাবে সেনা শক্তিতে শক্তিমান সরকারগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সময় তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে পশ্চিমা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। কুচকাওয়াজ উপলক্ষে উচ্চ প্রযুক্তির রাশিয়ান যুদ্ধ ট্যাংক টি-১৪ আর্মাতাকে জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে আরএস-২৪ ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও দেখানো হয় এ সময়। একেকটি আরএস-২৪ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তিনটি করে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। এসব অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম এবারই প্রথম সবার সামনে উপস্থাপন করল রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালের ‘আগ্রাসনবিরোধী চুক্তি’ ভঙ্গ করে ১৯৪১ সালের ২২ জুন সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা করে জার্মান নাৎসি বাহিনী। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত জার্মান বাহিনী সামনে বাড়তে থাকে এবং স্তালিনগ্রাদ অবরুদ্ধ করে রাখে। এ অবরোধে আটকাপড়া মানুষের মধ্যে রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের মাও ছিলেন। এ সময় অনাহার ও তৃষ্ণায় মারা যান পুতিনের বড় ভাই। তখনও পুতিন জন্মগ্রহণ করেননি। অবরোধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হলেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যান তার মা। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে পুতিন পৃথিবীর বুকে আসেন।
১৯৪৪ সাল থেকে সোভিয়েত বাহিনী সামনে বাড়তে শুরু করে ও জার্মান বাহিনী পেছনে সরে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৪৫ সালের ২১ এপ্রিল বার্লিনে প্রবেশ করে সোভিয়েত সেনারা। ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল হিটলারের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুদ্ধের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বব্যাপী ৬ কোটিরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এর মধ্যে আড়াই কোটির বেশি মানুষ রাশিয়ার।
আবার আসছে সমাজতন্ত্র? : সেই ১৯৮৯ সালে আফগান যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটে। এরপর মিখাইল গর্ভাচেভের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার থেকে বিদায় নেয় সমাজতন্ত্র। সেই থেকে নিজস্ব স্টাইলের পশ্চিমা ধনতন্ত্রই চর্চা করে আসছে দেশটি।
কিন্তু এত বছর পর দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি জোসেফ স্ট্যালিনের মূর্তি উন্মোচন করল। অথচ ক্রেমলিন থেকে তাদের কোনো বাধা দেয়া হয়নি। বিবিসি
অনুষ্ঠানের শুরুতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া ও হতাহত সোভিয়েত সেনাদের প্রতি সম্মান জানান প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সৈনিকদের প্রতিও সম্মান জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। পুতিন বলেন, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা দেখছি, কীভাবে সেনা শক্তিতে শক্তিমান সরকারগুলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এ সময় তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে পশ্চিমা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। কুচকাওয়াজ উপলক্ষে উচ্চ প্রযুক্তির রাশিয়ান যুদ্ধ ট্যাংক টি-১৪ আর্মাতাকে জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়। সেই সঙ্গে আরএস-২৪ ইয়ার্স আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও দেখানো হয় এ সময়। একেকটি আরএস-২৪ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তিনটি করে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। এসব অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম এবারই প্রথম সবার সামনে উপস্থাপন করল রাশিয়া। প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালের ‘আগ্রাসনবিরোধী চুক্তি’ ভঙ্গ করে ১৯৪১ সালের ২২ জুন সোভিয়েত ইউনিয়ন হামলা করে জার্মান নাৎসি বাহিনী। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত জার্মান বাহিনী সামনে বাড়তে থাকে এবং স্তালিনগ্রাদ অবরুদ্ধ করে রাখে। এ অবরোধে আটকাপড়া মানুষের মধ্যে রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিনের মাও ছিলেন। এ সময় অনাহার ও তৃষ্ণায় মারা যান পুতিনের বড় ভাই। তখনও পুতিন জন্মগ্রহণ করেননি। অবরোধে লাখ লাখ মানুষ নিহত হলেও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে যান তার মা। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে পুতিন পৃথিবীর বুকে আসেন।
১৯৪৪ সাল থেকে সোভিয়েত বাহিনী সামনে বাড়তে শুরু করে ও জার্মান বাহিনী পেছনে সরে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৪৫ সালের ২১ এপ্রিল বার্লিনে প্রবেশ করে সোভিয়েত সেনারা। ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল হিটলারের আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে যুদ্ধের। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশ্বব্যাপী ৬ কোটিরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এর মধ্যে আড়াই কোটির বেশি মানুষ রাশিয়ার।
আবার আসছে সমাজতন্ত্র? : সেই ১৯৮৯ সালে আফগান যুদ্ধের পর সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটে। এরপর মিখাইল গর্ভাচেভের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার থেকে বিদায় নেয় সমাজতন্ত্র। সেই থেকে নিজস্ব স্টাইলের পশ্চিমা ধনতন্ত্রই চর্চা করে আসছে দেশটি।
কিন্তু এত বছর পর দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি জোসেফ স্ট্যালিনের মূর্তি উন্মোচন করল। অথচ ক্রেমলিন থেকে তাদের কোনো বাধা দেয়া হয়নি। বিবিসি
No comments