আওয়ামী লীগ কার্যালয় রেখে বাকি সব উচ্ছেদ, যেখানে আইন সবার জন্য সমান নয়- উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
আইন
সবার জন্য সমান বলা হয়। কিন্তু কাঁচপুরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ)
উচ্ছেদ অভিযান আমাদের নিশ্চিত করল যে আইন সব সময় সবার জন্য সমান নয়। অন্তত
সরকারি দলের জন্য আইন একদমই আলাদা। তা না হলে যে উচ্ছেদ অভিযানে আট শতাধিক
দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলো, সেখানে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনসমূহ’-এর কার্যালয়টি টিকে যায় কীভাবে!
উচ্ছেদ করা দোকানগুলো কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশের সওজের জায়গায় অবৈধভাবে বানানো হয়েছিল। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাদের সিন্ডিকেট। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে তারা সওজের জায়গায় দোকান তুলে মাসে মাসে ভাড়া আদায় করত। সেখানে যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই দোকানগুলো। এগুলো উচ্ছেদের কোনো বিকল্প নেই, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকা দিয়ে দোকান নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ করবে কে?
আওয়ামী লীগ নেতারা সওজের জায়গায় দোকান বসিয়ে অগ্রিম যে টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত দেবে না বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছেন। তাহলে খেসারত যা দেওয়ার তা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরই দিতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে দোকান বানিয়ে ও সেখান থেকে মাসে মাসে ভাড়া আদায়ের মতো অন্যায়-অপকর্ম করে যদি পার পেয়ে যান এবং যে কার্যালয়টিতে বসে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হতো, তা যদি উচ্ছেদের হাত থেকে বেঁচে যায়, তবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের আইনের ঊর্ধ্বে বলেই ধরে নিতে হবে।
কাঁচপুরে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি টিকে থাকার অর্থ হচ্ছে আইন সবার জন্য সমান নয়। এ কার্যালয়টি উচ্ছেদ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়কারী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে আইন সবার জন্য সমান।
উচ্ছেদ করা দোকানগুলো কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশের সওজের জায়গায় অবৈধভাবে বানানো হয়েছিল। এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাদের সিন্ডিকেট। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে তারা সওজের জায়গায় দোকান তুলে মাসে মাসে ভাড়া আদায় করত। সেখানে যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এই দোকানগুলো। এগুলো উচ্ছেদের কোনো বিকল্প নেই, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকা দিয়ে দোকান নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ করবে কে?
আওয়ামী লীগ নেতারা সওজের জায়গায় দোকান বসিয়ে অগ্রিম যে টাকা নিয়েছিলেন, তা ফেরত দেবে না বলে ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দিয়েছেন। তাহলে খেসারত যা দেওয়ার তা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরই দিতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধভাবে দোকান বানিয়ে ও সেখান থেকে মাসে মাসে ভাড়া আদায়ের মতো অন্যায়-অপকর্ম করে যদি পার পেয়ে যান এবং যে কার্যালয়টিতে বসে এসব নিয়ন্ত্রণ করা হতো, তা যদি উচ্ছেদের হাত থেকে বেঁচে যায়, তবে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের আইনের ঊর্ধ্বে বলেই ধরে নিতে হবে।
কাঁচপুরে অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি টিকে থাকার অর্থ হচ্ছে আইন সবার জন্য সমান নয়। এ কার্যালয়টি উচ্ছেদ ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায়কারী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে সরকারকে প্রমাণ করতে হবে যে আইন সবার জন্য সমান।
আওয়ামী লীগ কার্যালয় রেখে বাকি সব উচ্ছেদ
আট শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি ভাঙা হয়নি l প্রথম আলো |
মে ০৭, ২০১৫ নারায়ণগঞ্জের
সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) জায়গায়
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আট শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ
অভিযান চালানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে দলীয় কার্যালয় উচ্ছেদ
না করায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সামনেই বিক্ষোভ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের স্থানীয় নেতারা সিন্ডিকেট করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতি দোকান থেকে মাসে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে টংঘর, ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, কাপড়ের দোকান, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা বসিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা এসব দোকান থেকে উত্তোলন করা টাকা থানা-পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতেন।
ফুটপাতের দোকানদার ফল ব্যবসায়ী আবদুল হক, আলম মিয়া, কামাল হোসেন বলেন, ‘দুই লাখ টাকা করে অগ্রিম ও মাসে ২৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে নেতাদের কাছ থেকে আমরা দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। দোকান উচ্ছেদের পর নেতারা আমাদের অগ্রিম টাকা ফেরত দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
এদিকে সওজের জায়গার ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় উচ্ছেদ করেনি প্রশাসন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই বিক্ষোভ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘আইন সবার জন্য সমান, আমাদের উচ্ছেদ করা হলো অথচ আওয়ামী লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ হলো না কেন?’
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভিটিকান্দি) জাকির আলম জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গা অবৈধ দখল করে স্থানীয় চাঁদাবাজেরা দোকানপাট নির্মাণ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঞা জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। আট শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম আবদুল্লাহ আল জাকী।
কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মীরা কিছু দোকানপাট নির্মাণ করে এখানে ব্যবসা করছিল এ কথা সত্য। প্রশাসনকে অনুরোধ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি রক্ষা করা হয়েছে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশে আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের স্থানীয় নেতারা সিন্ডিকেট করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক থেকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে প্রতি দোকান থেকে মাসে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নিয়ে টংঘর, ফলের দোকান, কাঁচাবাজার, কাপড়ের দোকান, চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা বসিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতারা এসব দোকান থেকে উত্তোলন করা টাকা থানা-পুলিশ ও সওজ কর্মকর্তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতেন।
ফুটপাতের দোকানদার ফল ব্যবসায়ী আবদুল হক, আলম মিয়া, কামাল হোসেন বলেন, ‘দুই লাখ টাকা করে অগ্রিম ও মাসে ২৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে নেতাদের কাছ থেকে আমরা দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। দোকান উচ্ছেদের পর নেতারা আমাদের অগ্রিম টাকা ফেরত দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাব?’
এদিকে সওজের জায়গার ওপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় উচ্ছেদ করেনি প্রশাসন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সামনেই বিক্ষোভ করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘আইন সবার জন্য সমান, আমাদের উচ্ছেদ করা হলো অথচ আওয়ামী লীগের কার্যালয় উচ্ছেদ হলো না কেন?’
নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (ভিটিকান্দি) জাকির আলম জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গা অবৈধ দখল করে স্থানীয় চাঁদাবাজেরা দোকানপাট নির্মাণ করে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাছের ভূঞা জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত করার লক্ষ্যেই এ অভিযান চালানো হয়েছে। আট শ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জের বিচারিক হাকিম আবদুল্লাহ আল জাকী।
কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমাদের দলীয় কর্মীরা কিছু দোকানপাট নির্মাণ করে এখানে ব্যবসা করছিল এ কথা সত্য। প্রশাসনকে অনুরোধ করে আওয়ামী লীগ কার্যালয়টি রক্ষা করা হয়েছে।’
No comments