যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক ভূমিকম্প!
ইউরোপজুড়ে
রাজনৈতিক ভূমিকম্প পরিভাষাটি সাম্প্রতিককালে বেশ ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর তা যেন নতুন রূপ পেয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টির নিরঙ্কুশ জয়ের পর ফরাসি গণমাধ্যম শিরোনাম দিয়েছে,
ক্যামেরনের ট্রাম্পকার্ড : উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নির্বাচনপূর্ব জরিপ
অনুযায়ী ব্রিটেনের ইতিহাসে সরকার গঠনে সবচেয়ে অনিশ্চিত নির্বাচন ছিল এবারের
পার্লামেন্ট নির্বাচন। কিন্তু ফল বের হওয়ার পর তা ভূমিকম্পের মতোই ঠেকেছে।
আর এতে কেঁপে উঠেছে ইউরোপ। ক্যামেরনের এই জয়ধাক্কায় বদলে যেতে পারে
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানচিত্র। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে ইইউ থেকে
যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এটি ঘটবেই তেমনটি এখনো বলা না
গেলেও ঘটার যে সম্ভাবনা বিরাজ করছে তা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উদ্বেগজনক।
ইইউ থেকে বেরিয়ে গেলে ইউরোপের বিশাল বাজার হারাতে পারে যুক্তরাজ্য।
ক্যামেরন ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তারপর এ ব্লক থেকে বেরিয়ে যাওয়া/না যাওয়া প্রশ্নে ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ গণভোট দিতে চেয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ক্যামেরন ইউরোপপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটসকে দূরে ঠেলতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি তার নিজের দলের ইইউ-বিরোধীদের খুব একটা বাগে আনতে পারেননি। ফলে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনা প্রক্রিয়াকে তারা জটিল করে তুলতে পারে। আর তখন ক্যামেরনের জন্য ইইউতে থাকার পক্ষে যুক্তি দেয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক অবশ্য যুক্তরাজ্যকে ইইউয়ে রাখার পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালনের আভাস দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের ওপর নির্ভর করতে চান জানিয়ে টাস্ক বলেন, এ ব্যাপারে তিনি ক্যামেরনকে সহায়তা করতে চান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউরোপের এক হয়ে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি, কার্যকর একক বাজার ও মুক্ত বাণিজ্যের জন্য এটি খুব জরুরি।
আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি, কোনো দেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে উন্নত জীবন পাওয়া সম্ভব নয়। ইইউ আরও শক্তিশালী হলে তা শুধু যুক্তরাজ্যের জন্যই নয় বরং সংস্থাটির সদস্যভুক্ত সব দেশের জন্যই ভালো হবে।
এদিকে, স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির বিশাল জয়ে নির্বাচনোত্তর জয়ে জাতি বিভক্তের হুমকিতে পড়েছে যুক্তরাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের জয়ে যুক্তরাজ্যে থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে গণভোট চাইতে পারে স্কটল্যান্ড। এতে ব্রিটেনের জাতিগত সীমান্তে নতুন রেখা টানা হতে পারে। নির্বাচনপূর্ব ক্যামেরনের বক্তব্যে অখুশি স্কটিশরা। এসএনপি নেতা নিকোলা স্টারজিয়ন স্বাধীনতার পক্ষে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিজয়ের পর ক্যামেরনের বক্তব্যে এক জাতি এক যুক্তরাজ্য গড়ার আহ্বান জাতিগত বিভেদকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ ও অখণ্ড রাখাই এখন ক্যামেরনের বড় চ্যালেঞ্জ।
ক্যামেরন ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং তারপর এ ব্লক থেকে বেরিয়ে যাওয়া/না যাওয়া প্রশ্নে ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ গণভোট দিতে চেয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ক্যামেরন ইউরোপপন্থী লিবারেল ডেমোক্রেটসকে দূরে ঠেলতে পেরেছেন। কিন্তু তিনি তার নিজের দলের ইইউ-বিরোধীদের খুব একটা বাগে আনতে পারেননি। ফলে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনা প্রক্রিয়াকে তারা জটিল করে তুলতে পারে। আর তখন ক্যামেরনের জন্য ইইউতে থাকার পক্ষে যুক্তি দেয়া কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক অবশ্য যুক্তরাজ্যকে ইইউয়ে রাখার পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালনের আভাস দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের ওপর নির্ভর করতে চান জানিয়ে টাস্ক বলেন, এ ব্যাপারে তিনি ক্যামেরনকে সহায়তা করতে চান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইউরোপের এক হয়ে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতি, কার্যকর একক বাজার ও মুক্ত বাণিজ্যের জন্য এটি খুব জরুরি।
আমি নিশ্চিতভাবেই বলছি, কোনো দেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে উন্নত জীবন পাওয়া সম্ভব নয়। ইইউ আরও শক্তিশালী হলে তা শুধু যুক্তরাজ্যের জন্যই নয় বরং সংস্থাটির সদস্যভুক্ত সব দেশের জন্যই ভালো হবে।
এদিকে, স্বাধীনতাপন্থী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির বিশাল জয়ে নির্বাচনোত্তর জয়ে জাতি বিভক্তের হুমকিতে পড়েছে যুক্তরাজ্যে। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের জয়ে যুক্তরাজ্যে থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রশ্নে গণভোট চাইতে পারে স্কটল্যান্ড। এতে ব্রিটেনের জাতিগত সীমান্তে নতুন রেখা টানা হতে পারে। নির্বাচনপূর্ব ক্যামেরনের বক্তব্যে অখুশি স্কটিশরা। এসএনপি নেতা নিকোলা স্টারজিয়ন স্বাধীনতার পক্ষে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিজয়ের পর ক্যামেরনের বক্তব্যে এক জাতি এক যুক্তরাজ্য গড়ার আহ্বান জাতিগত বিভেদকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ ও অখণ্ড রাখাই এখন ক্যামেরনের বড় চ্যালেঞ্জ।
No comments