সরকারি কলেজে শিক্ষক সংকট বেসরকারিতে কম যোগ্যতা by মুসতাক আহমদ
সরকারি
কলেজে উচ্চশিক্ষার নিুমানের প্রধান কারণ শিক্ষক স্বল্পতা আর বেসরকারি
কলেজে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কম যোগ্যতার শিক্ষক। শিক্ষক নিয়োগ
পদ্ধতির সংস্কার, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, নিয়মিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বদলি
নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পদোন্নতি, শিক্ষা কার্যক্রমের নিবিড় তদারকি, তদারকি সেল
খোলা, কলেজের র্যাংকিং ও পুরস্কৃত করা, ক্লাসরুমে শিক্ষার্থী সংখ্যা
ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখা আর নিয়মিত পাঠদান ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত ক্লাসে
উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মান কাক্সিক্ষত
পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের উচ্চশিক্ষার বিষয়ে এ সমস্যা আর সমাধানের চিত্র বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের বিভিন্ন কলেজে ‘প্রশ্নমালা’ পদ্ধতিতে এ সমীক্ষা চালায়। মোট ২১৫৪টি কলেজের মধ্যে ৬৪১টি কলেজ এতে অংশ নেয়। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীরের নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের একটি কমিটি এ সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষার ফলসহ একটি প্রতিবেদন শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
সমীক্ষায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের একটি রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ। এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে আমরা মতামত দিয়েছি। এতে উদ্ভাবনী বিভিন্ন দিক রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি কলেজে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি বা পিএসসির তালিকা থেকে উত্তীর্ণদের নির্বাচনের ধারণা ভালো। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে উচ্চ শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সহজ সমাধান নেই বলেই মনে করি। কেন না, আমরা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে ৪০ ভাগই চলে যায়। সে ক্ষেত্রে মফস্বলের প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের ঘন ঘন চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এ দিকে নজর রাখতে হবে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৭ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মনে করেন, সরকারি কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান অন্তরায় শিক্ষক স্বল্পতা। ২২ ভাগ মনে করেন শিক্ষকদের পদোন্নতির দীর্ঘসূত্রতা, ২১ ভাগ মনে করেন অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত বদলির ঘটনাও শিক্ষার মানে প্রভাব ফেলছে।
শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে সাড়ে ৭ ঘণ্টাব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অধিকাংশ বক্তা বেসরকারি কলেজে রাজনৈতিক প্রভাবে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি পাস, অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার মানের অবনতির ঘটনাকে চিহ্নিত করেন।
এ অবস্থায় বেসরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩৫ ভাগই বলছেন সরকারি কর্মকমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু নিয়োগের সুপারিশ পাননি, এমন প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া উচিত। এতে করে কলেজগুলো যোগ্য শিক্ষক পাবে। এর পাশাপাশি ২৬ ভাগ উত্তরদাতা অবশ্য কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করেন।
সিরডাপের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ সমীক্ষা এবং কর্মশালার ফল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা ও করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এ বিষয়ে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ৭০ ভাগ উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এ কলেজগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন জরুরি এ কারণে যে, এটা করা না গেলে গ্রাজুয়েটদের পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে দেশ সার্বিকভাবে ৭০ ভাগ পিছিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল আমরা বিবেচনা করব। মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা, এ ক্ষেত্রে মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন; যা সরকারের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হবে না।
সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল : শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক এ সমীক্ষায় মোট ৯টি প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নমালা পাওয়ার পর কলেজগুলো শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে উত্তর দিয়েছে।
কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক প্রশ্নের জবাবে ৩৪ ভাগ কলেজ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন। আবার আলাদাভাবে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কথা বলেছে ২৪ ভাগ কলেজ, তদারকির কথা বলেছে ২৩ ভাগ কলেজ আর ১৯ ভাগ কলেজ বলেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্লাস রুমে ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিং ও সুপারভিশনের জন্য ৩৭ ভাগ প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া ২৫ ভাগ স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি, ৩০ ভাগ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল বা দফতর খোলার পরামর্শ দিয়েছে। ৪৬ ভাগ কলেজ বলেছে, মানোন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে তা ঢাকার পাশাপাশি আঞ্চলিক কেন্দ্রেও আয়োজন করতে হবে। এছাড়া ৩১ ভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ১৭ ভাগ দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলেছে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রণোদনার সুপারিশও এসেছে। ৩৯ ভাগ কলেজ মনে করে, প্রতি বছর কলেজগুলোকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা প্রয়োজন। এছাড়া ৩৩ ভাগ দেশকে ৭টি অঞ্চলে ভাগ মোট ৭০টি কলেজকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা, ২১ ভাগ কলেজ কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যবই রচনা প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করার প্রতি জোর দিয়েছে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৪ ভাগ কলেজ। এছাড়া ৩২ ভাগ কলেজ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করা এবং ২৪ ভাগ কলেজ ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের ধারণক্ষমতা সহনীয় মাত্রায় রাখার সুপারিশ করেছে।
সমীক্ষায় বিজ্ঞান শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ৪৫ ভাগই পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত আর ৪৪ ভাগ কলেজ মানসম্মত বই ও যন্ত্রপাতির কথা বলেছে।
দেশে বর্তমানে ২ হাজার ১৫৪টি উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী কলেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৯টি বেসরকারি এবং ২৭৫টি সরকারি কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি প্রোগ্রাম, অনার্স, মাস্টার্স ছাড়াও বিভিন্ন পেশাগত ডিগ্রি দিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২১ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজের উচ্চশিক্ষার বিষয়ে এ সমস্যা আর সমাধানের চিত্র বেরিয়ে এসেছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের বিভিন্ন কলেজে ‘প্রশ্নমালা’ পদ্ধতিতে এ সমীক্ষা চালায়। মোট ২১৫৪টি কলেজের মধ্যে ৬৪১টি কলেজ এতে অংশ নেয়। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সদস্য এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীরের নেতৃত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের একটি কমিটি এ সমীক্ষা পরিচালনা করে। সমীক্ষার ফলসহ একটি প্রতিবেদন শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে বিশ্ববিদ্যালয়।
সমীক্ষায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের একটি রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ। এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমান শনিবার যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে আমরা মতামত দিয়েছি। এতে উদ্ভাবনী বিভিন্ন দিক রয়েছে। বিশেষ করে বেসরকারি কলেজে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি বা পিএসসির তালিকা থেকে উত্তীর্ণদের নির্বাচনের ধারণা ভালো। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে উচ্চ শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সহজ সমাধান নেই বলেই মনে করি। কেন না, আমরা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে ৪০ ভাগই চলে যায়। সে ক্ষেত্রে মফস্বলের প্রতিষ্ঠানে প্রার্থীদের ঘন ঘন চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এ দিকে নজর রাখতে হবে। সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪৭ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মনে করেন, সরকারি কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধান অন্তরায় শিক্ষক স্বল্পতা। ২২ ভাগ মনে করেন শিক্ষকদের পদোন্নতির দীর্ঘসূত্রতা, ২১ ভাগ মনে করেন অপ্রয়োজনীয় ও অপরিকল্পিত বদলির ঘটনাও শিক্ষার মানে প্রভাব ফেলছে।
শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নের বিষয়ে সাড়ে ৭ ঘণ্টাব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অধিকাংশ বক্তা বেসরকারি কলেজে রাজনৈতিক প্রভাবে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি পাস, অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষার মানের অবনতির ঘটনাকে চিহ্নিত করেন।
এ অবস্থায় বেসরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় ৩৫ ভাগই বলছেন সরকারি কর্মকমিশনের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু নিয়োগের সুপারিশ পাননি, এমন প্রার্থীদের নিয়োগ দেয়া উচিত। এতে করে কলেজগুলো যোগ্য শিক্ষক পাবে। এর পাশাপাশি ২৬ ভাগ উত্তরদাতা অবশ্য কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা শিক্ষক নিয়োগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ করেন।
সিরডাপের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এ সমীক্ষা এবং কর্মশালার ফল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা ও করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এ বিষয়ে জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ৭০ ভাগ উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এ কলেজগুলোর শিক্ষার মানোন্নয়ন জরুরি এ কারণে যে, এটা করা না গেলে গ্রাজুয়েটদের পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে দেশ সার্বিকভাবে ৭০ ভাগ পিছিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল আমরা বিবেচনা করব। মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। কেননা, এ ক্ষেত্রে মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন; যা সরকারের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হবে না।
সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল : শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক এ সমীক্ষায় মোট ৯টি প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নমালা পাওয়ার পর কলেজগুলো শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠক করে উত্তর দিয়েছে।
কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক প্রশ্নের জবাবে ৩৪ ভাগ কলেজ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখার পরামর্শ দেন। আবার আলাদাভাবে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কথা বলেছে ২৪ ভাগ কলেজ, তদারকির কথা বলেছে ২৩ ভাগ কলেজ আর ১৯ ভাগ কলেজ বলেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্লাস রুমে ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।
শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিং ও সুপারভিশনের জন্য ৩৭ ভাগ প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলোকে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া ২৫ ভাগ স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি, ৩০ ভাগ কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল বা দফতর খোলার পরামর্শ দিয়েছে। ৪৬ ভাগ কলেজ বলেছে, মানোন্নয়নে শিক্ষকদের জন্য যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে তা ঢাকার পাশাপাশি আঞ্চলিক কেন্দ্রেও আয়োজন করতে হবে। এছাড়া ৩১ ভাগ কেন্দ্রীয়ভাবে এবং ১৭ ভাগ দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে বলেছে।
শিক্ষার মানোন্নয়নে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রণোদনার সুপারিশও এসেছে। ৩৯ ভাগ কলেজ মনে করে, প্রতি বছর কলেজগুলোকে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা প্রয়োজন। এছাড়া ৩৩ ভাগ দেশকে ৭টি অঞ্চলে ভাগ মোট ৭০টি কলেজকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কৃত করা, ২১ ভাগ কলেজ কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যবই রচনা প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ক্লাসমুখী করার প্রতি জোর দিয়েছে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৪ ভাগ কলেজ। এছাড়া ৩২ ভাগ কলেজ খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কলেজমুখী করা এবং ২৪ ভাগ কলেজ ক্লাস রুমে শিক্ষার্থীদের ধারণক্ষমতা সহনীয় মাত্রায় রাখার সুপারিশ করেছে।
সমীক্ষায় বিজ্ঞান শিক্ষা উৎসাহিত করার জন্য ৪৫ ভাগই পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নিশ্চিত আর ৪৪ ভাগ কলেজ মানসম্মত বই ও যন্ত্রপাতির কথা বলেছে।
দেশে বর্তমানে ২ হাজার ১৫৪টি উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী কলেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৮৭৯টি বেসরকারি এবং ২৭৫টি সরকারি কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি প্রোগ্রাম, অনার্স, মাস্টার্স ছাড়াও বিভিন্ন পেশাগত ডিগ্রি দিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২১ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
No comments