‘বাংলাদেশেও নাৎসী সহযোগীদের বিচার হবে’
আইন
প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী বলেছেন, গুম, গুপ্তহত্যা এবং গ্যাস চেম্বারের অব্যবহিত পরেই আসে
কুখ্যাত নাৎসী সহযোগীদের বিচারের জন্য নুরেমবার্গ ট্রায়াল। নুরেমবার্গ
ট্রায়ালের ন্যায় বাংলাদেশের মাটিতেও যে দেশের নাৎসী সহযোগীদের বিচার হবে না
এটা যেন কেউ মনে না করে। সুতরাং এখন থেকেই কারাগারগুলো সংস্কার করে রাখলে
ভালো হয়। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে
রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে জৈষ্ঠতা ও দক্ষতাকে ডিঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগপন্থী
পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের স্ব স্ব বিভাগের
প্রধান পদে অথবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করা হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত
রাষ্ট্রানুকূল্য পেয়ে তারাই এখন বেপরোয়া বেআইনি এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ
করছেন। দেশের বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে এরা সর্বনাশা নির্মূল যুদ্ধে নেমে
পড়েছে। দেশব্যাপী ক্রসফায়ার আর বন্দুকযুদ্ধের মনগড়া কাহিনী তৈরি করে
আন্দোলনরত তরুণ নেতা-কর্মীদের মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে এরাই হত্যা
করেছে। রিজভী বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠে বিরোধী দলের সক্রিয় ও
কার্যকর ভূমিকার ওপর। মার্জিত সরব কণ্ঠের অবাধ স্বাধীনতার ওপর। সেই সমাজে
বিরাজমান থাকে আলোচনা ও সমালোচনার নির্ভয় পরিবেশ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ
রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো ন্যায়ানুগ ও আইনানুগভাবে কার্য সম্পাদন
করে। কিন্তু বর্তমানে দেশকে জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে টেনে নিয়ে এসেছেন
ভোটারবিহীন সরকার। একটি সুসংবদ্ধ রাষ্ট্রের বন্ধনগুলোকে ছিঁড়ে ফেলে
বাংলাদেশকে একটি ভঙ্গুর রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যা যা করা দরকার তার সব
কিছুই করে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রক্তের ঘ্রাণ নেয়াটাই যেন তাদের একমাত্র দায়িত্ব, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নয়। সরকারের পতন হলে নিজেদের পরিণতির কথা ভেবেই তারা দানবীয় শক্তি নিয়ে চলমান আন্দোলনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কারণ তাদের নিজেদের এবং সরকারের স্বার্থ যেহেতু অভিন্ন সেহেতু এই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিজেদের স্বার্থেই এই অবৈধ সরকারের স্বার্থ রক্ষা করছে, যেখানে আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে রাষ্ট্রের কর্মচারীরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সরকারের বেআইনি রাজনৈতিক এজেন্ডা সফল করার কাজে তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। সেজন্যই দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের হুমকি-ধামকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তারা কথা বলছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেউ কেউ ক্ষমতাসীনদের হুমকির প্রতিধ্বণি করে প্রকাশ্যে গুলি করার কথা বলছেন, আবার কেউ বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতির সবক দিয়েছেন। ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা কত চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছলে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এখতিয়ার বহির্ভূত কথা বলতে পারেন কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা? এগুলো হচ্ছে একমাত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য, একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা।
রিজভী বলেন, যখন রক্ষকরাই গিলে খাওয়া রাক্ষসদের মতো আচরণ করে তখনই সে দেশ এবং সেই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে। এখন বাংলাদেশ ভয়াল অন্ধকারে ঢেকে আছে। বাংলাদেশে বিরোধী দল ও জোটের আন্দোলন রাষ্ট্রের দমনমূলক শক্তি দিয়ে দমন করতে গিয়ে সারাদেশকেই এক সমাধানহীন রক্তঝরা হানাহানির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। রাজপথে মানুষের ধেয়ে আসা স্রোতকে আটকাতে না পেরে পেট্রলবোমা ছুঁড়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার এক অমানবীয় নাশকতার মরণখেলায় তারা মেতে উঠেছে। এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মনকে আন্দোলন থেকে অন্যদিকে সরানো এবং এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানো। আর এ কারণেই সংবিধান স্বীকৃত বিরোধী দলের কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে গণমাধ্যমকে গায়ের জোরে সম্পূর্ণভাবে কব্জায় নিয়ে নিরন্তর বিরোধী দলের আন্দোলনের বিরুদ্ধে গোয়েবলসীয় কায়দায় বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করানো হচ্ছে।
রিজভী বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকশালের চুড়ান্ত রুপ দিতে এই অবৈধ নাছোড়বান্দা সরকার রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দখল করে নিয়েছে। অবিরাম কুৎসার ধারাবর্ষণ ছাড়া গণমাধ্যমে এখন ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বা আন্দোলনের খবর প্রকাশিত হয় না। আর তাই এখন পুলিশ লীগ ও র্যাব লীগের ন্যায় প্রভাবিত গণমাধ্যমগুলোকে গণমাধ্যম লীগ হিসেবে মানুষ অভিহিত করছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে গণবিরোধী দেখানোর জন্য যেন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে কয়েকটি প্রিন্ট ও বৈদ্যুতিন গণমাধ্যম। বিগত ছয় বছর ধরে দলীয় চেতনার মালিকানায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম গড়ে তোলা হয়েছে একদলীয় দুঃশাসনের সাফাই গাওয়ানোর জন্য- এরাই ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনকে বৈধতা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ৭৫ এ চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করা হয়েছিল, এবারে তারা অনেকগুলি রেখেছে কিন্তু সেগুলি প্রচার করবে একটি দলেরই গুণকীর্তন, আর অপবাদ ছড়াবে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। সেই পুরনো বাকশাল ভিন্ন মোড়কে। তিনি আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মনে হয় রক্তপাতেই সমাধান খুঁজছেন। এটি একটি পুরানো কৌশল, দেশে দেশে দুঃশাসনের প্রতিভুরা এই জীবনবিনাশী নোংড়া কৌশল ব্যবহার করেও নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি।”
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বেগম জিয়ার জন্য নাকি কাশিমপুর কারাগারে জায়গা করে রাখা হয়েছে। বেগম জিয়াকে গ্রেফতার ও বিচারের অহর্নিশ হুমকি দিয়ে হাসানুল হক ইনুরা দেশকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন চরম সংঘাতের দিকে। বিদ্যমান সংকটকে তারা আরো বেশি ঘনীভূত করতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করলে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের ওপর জীবনসংহারী হানাদারদের আক্রমণ বন্ধ না করা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে যদি প্রসারিত না করা হয়, গুলি করে হত্যা না থামান হয় তাহলে বিরোধী দল লড়াই ব্যতিরেকে নতিস্বীকার করবে না। তবে এ লড়াই জনগণের অব্যাহত শান্তিপূর্ণ লড়াই।
তিনি বলেন, রক্তের ঘ্রাণ নেয়াটাই যেন তাদের একমাত্র দায়িত্ব, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নয়। সরকারের পতন হলে নিজেদের পরিণতির কথা ভেবেই তারা দানবীয় শক্তি নিয়ে চলমান আন্দোলনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। কারণ তাদের নিজেদের এবং সরকারের স্বার্থ যেহেতু অভিন্ন সেহেতু এই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিজেদের স্বার্থেই এই অবৈধ সরকারের স্বার্থ রক্ষা করছে, যেখানে আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে রাষ্ট্রের কর্মচারীরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সরকারের বেআইনি রাজনৈতিক এজেন্ডা সফল করার কাজে তারা উঠেপড়ে লেগেছেন। সেজন্যই দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের হুমকি-ধামকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তারা কথা বলছেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কেউ কেউ ক্ষমতাসীনদের হুমকির প্রতিধ্বণি করে প্রকাশ্যে গুলি করার কথা বলছেন, আবার কেউ বাংলাদেশের গণমানুষের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতির সবক দিয়েছেন। ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা কত চরম সীমায় গিয়ে পৌঁছলে তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এখতিয়ার বহির্ভূত কথা বলতে পারেন কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা? এগুলো হচ্ছে একমাত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য, একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা।
রিজভী বলেন, যখন রক্ষকরাই গিলে খাওয়া রাক্ষসদের মতো আচরণ করে তখনই সে দেশ এবং সেই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে আসে। এখন বাংলাদেশ ভয়াল অন্ধকারে ঢেকে আছে। বাংলাদেশে বিরোধী দল ও জোটের আন্দোলন রাষ্ট্রের দমনমূলক শক্তি দিয়ে দমন করতে গিয়ে সারাদেশকেই এক সমাধানহীন রক্তঝরা হানাহানির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। রাজপথে মানুষের ধেয়ে আসা স্রোতকে আটকাতে না পেরে পেট্রলবোমা ছুঁড়ে মানুষকে পুড়িয়ে মারার এক অমানবীয় নাশকতার মরণখেলায় তারা মেতে উঠেছে। এই খেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের মনকে আন্দোলন থেকে অন্যদিকে সরানো এবং এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানো। আর এ কারণেই সংবিধান স্বীকৃত বিরোধী দলের কথা বলার অধিকারকে বন্ধ করে গণমাধ্যমকে গায়ের জোরে সম্পূর্ণভাবে কব্জায় নিয়ে নিরন্তর বিরোধী দলের আন্দোলনের বিরুদ্ধে গোয়েবলসীয় কায়দায় বিকৃত সংবাদ পরিবেশন করানো হচ্ছে।
রিজভী বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকশালের চুড়ান্ত রুপ দিতে এই অবৈধ নাছোড়বান্দা সরকার রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্র দখল করে নিয়েছে। অবিরাম কুৎসার ধারাবর্ষণ ছাড়া গণমাধ্যমে এখন ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বা আন্দোলনের খবর প্রকাশিত হয় না। আর তাই এখন পুলিশ লীগ ও র্যাব লীগের ন্যায় প্রভাবিত গণমাধ্যমগুলোকে গণমাধ্যম লীগ হিসেবে মানুষ অভিহিত করছে। বিরোধী দলের কর্মসূচিকে গণবিরোধী দেখানোর জন্য যেন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়েছে কয়েকটি প্রিন্ট ও বৈদ্যুতিন গণমাধ্যম। বিগত ছয় বছর ধরে দলীয় চেতনার মালিকানায় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম গড়ে তোলা হয়েছে একদলীয় দুঃশাসনের সাফাই গাওয়ানোর জন্য- এরাই ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনকে বৈধতা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। ৭৫ এ চারটি ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করা হয়েছিল, এবারে তারা অনেকগুলি রেখেছে কিন্তু সেগুলি প্রচার করবে একটি দলেরই গুণকীর্তন, আর অপবাদ ছড়াবে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। সেই পুরনো বাকশাল ভিন্ন মোড়কে। তিনি আহমেদ বলেন, ক্ষমতাসীন উচ্চ পর্যায়ের নেতারা মনে হয় রক্তপাতেই সমাধান খুঁজছেন। এটি একটি পুরানো কৌশল, দেশে দেশে দুঃশাসনের প্রতিভুরা এই জীবনবিনাশী নোংড়া কৌশল ব্যবহার করেও নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারেনি।”
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, বেগম জিয়ার জন্য নাকি কাশিমপুর কারাগারে জায়গা করে রাখা হয়েছে। বেগম জিয়াকে গ্রেফতার ও বিচারের অহর্নিশ হুমকি দিয়ে হাসানুল হক ইনুরা দেশকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন চরম সংঘাতের দিকে। বিদ্যমান সংকটকে তারা আরো বেশি ঘনীভূত করতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করলে চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের ওপর জীবনসংহারী হানাদারদের আক্রমণ বন্ধ না করা হয়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে যদি প্রসারিত না করা হয়, গুলি করে হত্যা না থামান হয় তাহলে বিরোধী দল লড়াই ব্যতিরেকে নতিস্বীকার করবে না। তবে এ লড়াই জনগণের অব্যাহত শান্তিপূর্ণ লড়াই।
No comments