সমঝোতার দাবিতে লাগাতার ‘নিরবচ্ছিন্ন’ অবস্থানে কাদের সিদ্দিকী
(রাজধানীর মতিঝিলে নিরবচ্ছিন্ন অবস্থানে কাদের সিদ্দিকী। ছবি: ফোকাস বাংলা) প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আলোচনায় বসাতে
‘নিরবচ্ছিন্ন’ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। আজ বুধবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর
মতিঝিলে নিজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি এই কর্মসূচি শুরু করেন। কাদের
সিদ্দিকীর দাবি, খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহার করতে হবে এবং
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলোচনায় বসতে হবে। এ দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া
পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। তাঁর সঙ্গে দলটির অন্য নেতা–কর্মীরা
রয়েছেন। কাদের সিদ্দিকীর অবস্থানের পেছনের ব্যানারে একপাশে লেখা—‘মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসুন, দেশ বাঁচান।’ অন্যপাশে লেখা—‘বেগম খালেদা
জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করুন, মানুষ বাঁচান।’
বিকেল পাঁচটার দিকে অবস্থানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাদের সিদ্দিকী যেখানে বসেছেন তার সামনেই একটি টুল পাতা। তার ওপর রয়েছে কোরআন শরিফ, মেজর জলিল রচনাবলী ও শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের লেখা ইন দ্য ইনার লাইট। এ ছাড়া সেখানে দুটি কার্টন রাখা হয়েছে। কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কার্টনে ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট ফেলেছেন অনেকেই। সেখানে নেতা–কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তবে তাঁদের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি নয়। কাদের সিদ্দিকীকে সেখানে কখনো শুয়ে পড়তে, কখনো উঠে বসতে দেখা গেছে। আবার মাঝেমধ্যে নেতা–কর্মীদের স্লোগানের সঙ্গে সুর মেলাতেও দেখা গেছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে উঁকি দিচ্ছেন। কেউবা দাঁড়িয়ে থেকে আবার চলে যাচ্ছেন।
কাদের সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। অমুকের সঙ্গে আলোচনায় বসব না, অমুকের সঙ্গে বসব, এটা প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় না। প্রয়োজনে তাঁকে চাড়ালের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আপনাকে আমাদের এ দাবি মানতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আপনি যেমন শোকাহত, তেমনি অবরোধ চলাকালে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের মায়েরাও সমপরিমাণ মর্মাহত। তাই, অবিলম্বে অবরোধ প্রত্যাহার করে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করুন। আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন, আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন।’ অবস্থান কর্মসূচিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ দলটির ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা–কর্মীরা রয়েছেন।
বিকেল পাঁচটার দিকে অবস্থানস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাদের সিদ্দিকী যেখানে বসেছেন তার সামনেই একটি টুল পাতা। তার ওপর রয়েছে কোরআন শরিফ, মেজর জলিল রচনাবলী ও শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের লেখা ইন দ্য ইনার লাইট। এ ছাড়া সেখানে দুটি কার্টন রাখা হয়েছে। কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে কার্টনে ১০০, ৫০, ২০ ও ১০ টাকার নোট ফেলেছেন অনেকেই। সেখানে নেতা–কর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তবে তাঁদের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি নয়। কাদের সিদ্দিকীকে সেখানে কখনো শুয়ে পড়তে, কখনো উঠে বসতে দেখা গেছে। আবার মাঝেমধ্যে নেতা–কর্মীদের স্লোগানের সঙ্গে সুর মেলাতেও দেখা গেছে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে উঁকি দিচ্ছেন। কেউবা দাঁড়িয়ে থেকে আবার চলে যাচ্ছেন।
কাদের সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মানুষকে শান্তিতে রাখার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। অমুকের সঙ্গে আলোচনায় বসব না, অমুকের সঙ্গে বসব, এটা প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোভা পায় না। প্রয়োজনে তাঁকে চাড়ালের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে আপনাকে আমাদের এ দাবি মানতে হবে।’
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আপনি যেমন শোকাহত, তেমনি অবরোধ চলাকালে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁদের মায়েরাও সমপরিমাণ মর্মাহত। তাই, অবিলম্বে অবরোধ প্রত্যাহার করে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করুন। আপনি শুধু প্রধানমন্ত্রী কেন, আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারেন।’ অবস্থান কর্মসূচিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ দলটির ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতা–কর্মীরা রয়েছেন।
No comments