সঙ্কটের সমাধান দাবি পোশাক শিল্প মালিকদের- দুই নেত্রীকে স্মারকলিপি
হরতাল-অবরোধ
বন্ধে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন
করছে পোশাক শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। রাজধানীর কাওয়ানবাজারের
বিজিএমইএ কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় এ কর্মসূচি পালন করে তারা। তৈরি
পোশাকশিল্প মালিকদের সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও
রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন
(বিটিএমএ) এ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। মানববন্ধন শেষে তাদের একটি
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে,
ব্যবসা-বাণিজ্যের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা; পোশাক শিল্পের সাপ্লাই চেইন
অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা; ব্যবসায়ীদের শিল্প ও জানমালের নিরাপত্তা
নিশ্চিত করা; যারা অর্থনীতি ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা
নেয়া।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, আপনি শান্তি পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নেই। জনমনে জানমালের নিরাপত্তার অভাব অনুভূত হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা ছুড়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা না হলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক মেসেজ সারা বিশ্বে চলে যাবে। ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যদেশে চলে যাবেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা হারানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছি আমরা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হলেও তারা বলছে আগে বাংলাদেশের সহিংসতা বন্ধ হতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ক্রিসমাস শেষ হওয়ার পর বছরের শুরুতে নতুন নতুন রপ্তানির অর্ডারের সময় হলেও ক্রেতারা অর্ডার দেয়ার জন্য এদেশে আসতে পারছেন না। দিনের পর দিন অবরোধ-হরতাল দিয়ে দেশকে স্থবির করে দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পোশাক শিল্পে ৩০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এসময় আমাদের এখানে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার কথা না। যার যার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সমস্ত অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি: শিল্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ দিন। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সহিংসতা বন্ধের ব্যবস্থা করুন। এমন পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধান করুন। তা না হলে আমরা রাস্তায় নামবো। আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় পোশাক শিল্পের সমগ্র সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ছে। রাজনীতিবিদদের কাছে ব্যবসায়ীরা আজ জিম্মি। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০১৩ সালের মতো আবারো ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেমনটি ঘটেছিল শ্রীলঙ্কায়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের মনোয়ারা হাকীম আলী ও সহসভাপতি হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার কাছে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, আপনি শান্তি পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাস্তায় চলাচলের পরিবেশ নেই। জনমনে জানমালের নিরাপত্তার অভাব অনুভূত হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা নিরীহ মানুষকে পেট্রোল বোমা ছুড়ে পুড়িয়ে হত্যা করছে। এটি অনতিবিলম্বে বন্ধ করা না হলে নিশ্চিতভাবেই একটি নেতিবাচক মেসেজ সারা বিশ্বে চলে যাবে। ফলে ক্রেতারা বাংলাদেশ ছেড়ে অন্যদেশে চলে যাবেন। সেই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা স্বপ্নই থেকে যাবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। যার কারণে আন্তর্জাতিক ব্যবসা হারানোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছি আমরা। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হলেও তারা বলছে আগে বাংলাদেশের সহিংসতা বন্ধ হতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ক্রিসমাস শেষ হওয়ার পর বছরের শুরুতে নতুন নতুন রপ্তানির অর্ডারের সময় হলেও ক্রেতারা অর্ডার দেয়ার জন্য এদেশে আসতে পারছেন না। দিনের পর দিন অবরোধ-হরতাল দিয়ে দেশকে স্থবির করে দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পোশাক শিল্পে ৩০ শতাংশ অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এসময় আমাদের এখানে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করার কথা না। যার যার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সমস্ত অর্থনীতি আজ হুমকির মুখে। তাই সরকারের কাছে আমাদের দাবি: শিল্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ দিন। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। সহিংসতা বন্ধের ব্যবস্থা করুন। এমন পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধান করুন। তা না হলে আমরা রাস্তায় নামবো। আমাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় পোশাক শিল্পের সমগ্র সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়ছে। রাজনীতিবিদদের কাছে ব্যবসায়ীরা আজ জিম্মি। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ২০১৩ সালের মতো আবারো ক্রেতাদের মধ্যে অনিশ্চিয়তা সৃষ্টি হবে। ফলশ্রুতিতে এই শিল্প অন্যত্র স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যেমনটি ঘটেছিল শ্রীলঙ্কায়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মোর্শেদী, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দীন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের মনোয়ারা হাকীম আলী ও সহসভাপতি হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।
No comments