মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া রায় পক্ষপাতমূলক: প্রধানমন্ত্রী
(প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেন। ছবি: ফোকাস বাংলা) প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রমে (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স)
বিচারপতিদের মর্যাদা বাড়িয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায় নৈতিকতা বিরোধী
এবং পক্ষপাতমূলক। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ সেলিম
উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজেরাই নিজেদের মর্যাদা বাড়িয়ে রায় দিয়েছেন, এ
রায় কোনো মতেই সমীচীন নয়। এ ধরনের রায় পক্ষপাতমূলক। বিচার বিভাগের এই
সিদ্ধান্তের ফলে একটি চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির উপক্রম হয়েছে।
প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি নিয়মনীতি আছে। আমাদের সংবিধানে বলা আছে, সবাই
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি। আইনসভা, বিচার বিভাগ ও প্রশাসন মিলিয়ে তিনটি
স্তম্ভ। এই তিনটি স্তম্ভের সমন্বয়ে সব কিছু চলবে। কিন্তু কেউ যদি নিয়ম না
মেনে হঠাৎ করে তাঁদের ইচ্ছামতো একটি ঘোষণা দিয়ে দেয়, তাতে বিশৃঙ্খলা
হয়।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমার অবাক লাগে, কার অবস্থান কোথায়, সেটা সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করা আছে। সেখানে যাঁর যাঁর নিজের মর্যাদা নিজে দেওয়া, নিজের পক্ষে নিজের রায় দেওয়া, এটা তো সমীচীন নয়। এ রকম হলে যে যেখানে আছে, যাঁর যাঁর মত করে সুযোগ নেবে। কোনো শৃঙ্খলাই থাকবে না।’
বিচার বিভাগ এর আগে নিজেদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে নেওয়ায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বেতন-ভাতাও তাঁরা আলাদা একটি কমিশন করে বাড়িয়ে নিয়েছিল। সেটা নিয়েও নানা রকমের সমস্যা হয়েছিল। পরে আমরা বসে মিটমাট করে একটা জায়গায় গিয়েছি। জেলা জজের মর্যাদা যদি সচিবের সমান হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যাঁরা আছেন, তাঁরা কোন মর্যাদায় যাবেন? যেতে যেতে তো মনে হয় তাঁরা রাষ্ট্রপতির ওপরেই চলে যাবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ কীভাবে চলে, সেটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্র যাঁর যাঁর কর্তব্য পালন করবে। বিচার বিভাগ তার দায়িত্ব পালন করবে। সবার মধ্যে সমন্বয় থাকলে রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলবে। সেই জায়গাটা যদি নষ্ট করা হয় এবং সেটা যদি উচ্চ আদালত থেকেই হয়, তবে সেটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আলাপ-আলোচনা করছেন। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি আমাদের বিচারকরা বিষয়টি বুঝবেন। কোনো আদালত নিজেই নিজেকে প্রমোট করা বা লাভবান হওয়া সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিরোধী।’
খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী:
তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ২০ দলের কর্মসূচির সমালোচনা করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসুস্থ ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যুর পর শোক সইতে না পারায় বিএনপি নেত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে। আমার প্রশ্ন, সহিংসতায় সন্তান পুড়ে মরায় সাধারণ মায়ের মনের কী অবস্থা, তা কি খালেদা জিয়া উপলব্ধি করতে পারছেন। এখনো তিনি বুঝবেন না? এখনো কি তিনি নির্মম কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন না?’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ও খুনের দল। বিএনপির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। আর কোনো মায়ের কোল খালি করবেন না, নির্মম কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আর মানুষ খুন করবেন না। প্রশ্ন করার সময় তাজুল ইসলাম বিএনপিকে বিরোধী দল বলে উল্লেখ করেন। বিএনপিকে এখন বিরোধী দল বলা যাবে না- বলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সাংসদদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল তাদেরই বলে, যারা সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে। বর্তমানে বিএনপি সরকারেও নেই, বিরোধী দলেও নেই, তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আছে। খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে ফিরে আসার বর্ণনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একজন মা তাঁর সন্তান হারিয়েছে। মা সন্তান হারালে তার ব্যাথা-বেদনা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি সেখানে ছুটে গিয়েছি। গিয়ে দেখি দরজা তালাবদ্ধ। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করিনি। গাড়ি থেকে নেমে ছোট গেট দিয়ে যেতে চেয়েছি। সেখানে তালা মারা। অর্থাৎ ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমার অবাক লাগে, কার অবস্থান কোথায়, সেটা সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করা আছে। সেখানে যাঁর যাঁর নিজের মর্যাদা নিজে দেওয়া, নিজের পক্ষে নিজের রায় দেওয়া, এটা তো সমীচীন নয়। এ রকম হলে যে যেখানে আছে, যাঁর যাঁর মত করে সুযোগ নেবে। কোনো শৃঙ্খলাই থাকবে না।’
বিচার বিভাগ এর আগে নিজেদের বেতন-ভাতা বাড়িয়ে নেওয়ায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বেতন-ভাতাও তাঁরা আলাদা একটি কমিশন করে বাড়িয়ে নিয়েছিল। সেটা নিয়েও নানা রকমের সমস্যা হয়েছিল। পরে আমরা বসে মিটমাট করে একটা জায়গায় গিয়েছি। জেলা জজের মর্যাদা যদি সচিবের সমান হয়, তাহলে উচ্চ আদালতে যাঁরা আছেন, তাঁরা কোন মর্যাদায় যাবেন? যেতে যেতে তো মনে হয় তাঁরা রাষ্ট্রপতির ওপরেই চলে যাবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ কীভাবে চলে, সেটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্র যাঁর যাঁর কর্তব্য পালন করবে। বিচার বিভাগ তার দায়িত্ব পালন করবে। সবার মধ্যে সমন্বয় থাকলে রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলবে। সেই জায়গাটা যদি নষ্ট করা হয় এবং সেটা যদি উচ্চ আদালত থেকেই হয়, তবে সেটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রী আলাপ-আলোচনা করছেন। সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি আমাদের বিচারকরা বিষয়টি বুঝবেন। কোনো আদালত নিজেই নিজেকে প্রমোট করা বা লাভবান হওয়া সম্পূর্ণ নৈতিকতা বিরোধী।’
খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী:
তাজুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ২০ দলের কর্মসূচির সমালোচনা করে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, ‘অসুস্থ ছেলের স্বাভাবিক মৃত্যুর পর শোক সইতে না পারায় বিএনপি নেত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে। আমার প্রশ্ন, সহিংসতায় সন্তান পুড়ে মরায় সাধারণ মায়ের মনের কী অবস্থা, তা কি খালেদা জিয়া উপলব্ধি করতে পারছেন। এখনো তিনি বুঝবেন না? এখনো কি তিনি নির্মম কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন না?’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ও খুনের দল। বিএনপির অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। আর কোনো মায়ের কোল খালি করবেন না, নির্মম কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে আর মানুষ খুন করবেন না। প্রশ্ন করার সময় তাজুল ইসলাম বিএনপিকে বিরোধী দল বলে উল্লেখ করেন। বিএনপিকে এখন বিরোধী দল বলা যাবে না- বলে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সাংসদদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল তাদেরই বলে, যারা সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে। বর্তমানে বিএনপি সরকারেও নেই, বিরোধী দলেও নেই, তারা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আছে। খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে ফিরে আসার বর্ণনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, একজন মা তাঁর সন্তান হারিয়েছে। মা সন্তান হারালে তার ব্যাথা-বেদনা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমি সেখানে ছুটে গিয়েছি। গিয়ে দেখি দরজা তালাবদ্ধ। আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করিনি। গাড়ি থেকে নেমে ছোট গেট দিয়ে যেতে চেয়েছি। সেখানে তালা মারা। অর্থাৎ ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
No comments