কোকোকে অশ্রুসিক্ত মায়ের বিদায়
(গুলশানের কার্যালয়ে আজ আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহের সামনে শোকে মুহ্যমান মা খালেদা জিয়া ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছবি: সাজিদ হোসেন) সাবেক
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে
আরাফাত রহমান কোকোর মরদেহ গুলশানে তাঁর মায়ের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে বাদ
আসর তাঁর জানাজা হবে। পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো দেখার পর কোকোর মরদেহ
আজ বেলা পৌনে তিনটার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে বায়তুল মোকাররমের উদ্দেশে
নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মা খালেদা জিয়া অশ্রুসজল নয়নে গুলশান
কার্যালয়ের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে ছেলেকে বিদায় জানান। বাংলাদেশ সময় আজ
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানে করে আরাফাত রহমান
কোকোর মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আনা হয়। কোকোর মরদেহ গ্রহণের জন্য
বিএনপির কয়েকজন নেতা বিমানবন্দরে যান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আবদুল মঈন খান,
আবদুল্লাহ আল নোমান, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফজলুল হক মিলন, গিয়াস কাদের
চৌধুরী, আবদুল মান্নান প্রমুখ। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে
কোকোর মরদেহ গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে নেওয়া
হয়। কোকোর মরদেহবাহী বিমানটি আজ বাংলাদেশ সময় সকাল আটটার দিকে
মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ১২টার
দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস স্পেশালিস্ট মাহমুদুল হাসান হিমেল প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কোকোর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। একই বিমানে ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী।
কোকোর মরদেহ আসা উপলক্ষে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র্যাব। বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হন বিএনপির কয়েক শ কর্মী। তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট থেকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্স কোকোর মরদেহ নিয়ে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সেখানে পৌঁছায় কোকোর মরদেহ।
গতকাল সোমবার রাতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ সরাসরি গুলশানে নেওয়া হবে। সেখানে কেবল পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের সেখানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আরাফাত রহমান অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। তাই রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে জানাজায় অংশ নিতে আহ্বান জানান তিনি। আরাফাত রহমান গত শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরদিন কুয়ালালামপুরে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস স্পেশালিস্ট মাহমুদুল হাসান হিমেল প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কোকোর মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। একই বিমানে ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী, দুই মেয়ে, মামা শামীম এস্কান্দার ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী।
কোকোর মরদেহ আসা উপলক্ষে বিমানবন্দর ও এর আশপাশের এলাকায় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র্যাব। বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হন বিএনপির কয়েক শ কর্মী। তাঁদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর হ্যাঙ্গার গেট থেকে আলিফ মেডিকেল সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্স কোকোর মরদেহ নিয়ে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সেখানে পৌঁছায় কোকোর মরদেহ।
গতকাল সোমবার রাতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছিলেন, বিমানবন্দর থেকে কোকোর মরদেহ সরাসরি গুলশানে নেওয়া হবে। সেখানে কেবল পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের সেখানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আরাফাত রহমান অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। তাই রাজনৈতিক দলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে জানাজায় অংশ নিতে আহ্বান জানান তিনি। আরাফাত রহমান গত শনিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরদিন কুয়ালালামপুরে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
No comments