ওবামার ভারত সফর- সতর্ক দৃষ্টি চীনের
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে চীন। ওবামার
দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরকে উপর-উপর ভালো সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বলে মন্তব্য
এসেছে চীনের পক্ষ থেকে। এনডিটিভি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নয়া দিল্লিতে ওবামার
আগমন চীনের রাষ্ট্রীয় সিসিটিভি চ্যানেলে এক প্রকার ব্রেকিং নিউজের মতোই
দেখানো হয়েছে। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
অভ্যর্থনা জানানোর দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে চ্যানেলটিতে। এ সফর
চীনের ওপর কেমন প্রভাব ফেলতে পারে, এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব
নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটা কোন মার্কিন কৌশলের অংশ কিনা- সেসব নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া এক মন্তব্যে বলেছে, উভয় বড়
রাষ্ট্রের মধ্যকার দীর্ঘদিনের মতপার্থক্যের আলোকে তিন দিনের এ সফর যতটা না
ব্যবহারিক ততটা প্রতীকী। আর তাদের মধ্যকার পার্থক্য হতে পারে দু’রাষ্ট্রের
মধ্যকার ভৌগোলিক দূরত্বের সমান। হাজার হলেও মাত্র এক বছর আগে নিউ ইয়র্কে
ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ প্রতিবাদের
মধ্যে নয়া দিল্লি থেকে মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়। আর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যিনি সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তার
যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এটাই পুরোটা নয়। উপর-উপর এই সম্পর্ক
পুনঃস্থাপন একটা মধ্যস্থতা ছাড়া আর কিছু নয়। মতামত কলামে আরও বলা হয়,
ভারতকে পাশে পাওয়া ওবামার প্রয়োজন। আর ভারতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে
ঘনিষ্ঠতর সম্পর্ক দেশটির বহুমুখী গণতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর তা
আর্থিকভাবে লাভজনক হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি সম্পর্কিত দ্বন্দ্ব এবং
পারমাণবিক শক্তি সহযোগিতা ইস্যুগুলোতে ওবামা ও মোদির কঠোর মতপার্থক্যের
আলোকে সত্যিকারের বন্ধু হতে তিন দিন নিশ্চয়ই যথেষ্ট নয়। আর পারমাণবিক শক্তি
সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি ২০০৮ থেকে জটিল অবস্থানে
রয়েছে। মতপার্থক্যের এতো লম্বা তালিকাকে সামনে নিয়ে ভারতীয় বন্ধুদেরকে একই
স্থানে সম্মত হিসেবে পেতে ওবামার জন্য কাজটা কঠিন হবে।
No comments