নীল হেলমেটধারীদের ভূমিকায় বড় পরিবর্তন আসন্ন!
৮
বিলিয়ন ডলার খরচায় পরিচালিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যুগান্তকারী
সংস্কার আনা হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া জাসে রামোস হোর্তার
নেতৃত্বাধীন হাই লেভেল প্যানেল আগামী সেপ্টেম্বরের যথেষ্ট আগেই তাদের
চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে তিনি গত সপ্তাহে বাংলাদেশ
সফর করেন। গত ২০শে জানুয়ারি কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে জোসে হোর্তার উপস্থিতিতে
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংঘাত পূর্ণ দেশে
জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং সংঘাতপূর্ণ কোন দেশে হস্তক্ষেপে
সদস্য রাষ্ট্রের সম্মতির নীতিতে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ
কূটনীতিকরা ধারণা করেন যে, সংঘাতে জড়িত থাকা পক্ষগুলোর সম্মতির ক্ষেত্রে
পরিবর্তন আসতে পারে। একটি ওয়াকেবহাল কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে,
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে শান্তিরক্ষীরা নিজেরা আক্রান্ত না হলে
গুলি চালাবে না বলে যে অবস্থান টিকিয়ে রাখার সুপারিশ করেছেন তা ইতিমধ্যেই
বিতর্কের মুখে পড়েছে। কারণ ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ১০টি বড় ধরনের
হামলার ঘটনা ঘটেছে। দক্ষিণ সুদানে ৬০০ ও কঙ্গোতে ১শ’ নিরীহ লোক মারা গেছে।
গত জুলাইয়ে কঙ্গোতে ৩০ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হওয়ার সময় মাত্র ৫ মাইল
দূরে থাকা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে শান্তিরক্ষা
তহবিলে চাঁদা প্রদানকারী শীর্ষ দেশগুলো কঠিনভাবে প্রশ্ন তুলেছে। তারা মনে
করে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও সংঘাতপূর্ণ দেশে আক্রান্ত বেসামরিক নাগরিকদের
বাঁচাতে হবে। নীল হেলমেটধারীরা প্রাণের ভয়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে
ব্যর্থ হলে এই বাহিনী পুষে লাভ কি। অন্যদিকে শীর্ষস্থানীয় শান্তিরক্ষী
প্রেরণকারী দেশগুলো বেতন বাড়ানোর দাবি তুলেছে। তাদের যুক্তি গত এক দশকে
বেতন বাড়ানো হয়নি। আশা করা হচ্ছে ১৫-২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে রামোস হোর্তার প্রতিবেদন আলোচনায় আসবে। জাতিসংঘের
গাইডলাইন অনুযায়ী বিবদমান পক্ষগুলোর সম্মতির ভিত্তিতে বিরোধপূর্ণ দেশে
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মোতায়েন করা হয়ে থাকে। তবে নিরাপত্তা পরিষদ চাইলে
বিবদমান পক্ষগুলোর সম্মতি ছাড়াও হস্তক্ষেপ করতে পারে। যদি সেখানকার সংঘাত
আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তখন তার নাম হবে পিস
এনফোর্সমেন্ট অপারেশন। বেসামরিক নাগরিকের জীবন ব্যাপকভাবে বিপন্ন হলে
মানবিক কারণেও তখন হস্তক্ষেপ ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ১২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০১৫ সালেও বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রির অবস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি সংঘাতপূর্ণ দেশ/অঞ্চলে এক লাখের বেশি জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলই জাতিসংঘ শান্তিমিশনে প্রায় ৪০ ভাগ সৈন্য ও ৩৩ ভাগ পুলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। প্রায় ৪১ হাজার এশিয় শান্তিরক্ষী সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। জাতিসংঘের নীল হেলমেটধারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি সেনা রয়েছে। আর এই মিশনগুলোর বার্ষিক বাজেট মেটাচ্ছে মূলত তিনটি দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফ্রান্স। এই প্রেক্ষাপটে ভারত নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন চাইছে। ভারতের বিদেশনীতিতে এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসন লাভ করা। বারাক ওবামা ও নরেন্দ্র মোদির অন্তরঙ্গ বৈঠকে ভারত সেই সম্ভবনাকে স্পষ্ট করে তুলছে।
১৯৮৮ সাল থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকা বাংলাদেশী। হাইতির ও কঙ্গোর মিশনে বাংলাদেশী নারী পুলিশও সম্পৃক্ত হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিক রক্ষায় নীল হেলমেটধারী শান্তিরক্ষীরা বহুক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৪০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ৮০০৩ জন সৈন্য, ৮২ জন সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ১৩১৫ পুলিশ রয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন পূর্ব তিমুরের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জোসে রামোস হোর্তাকে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টাবরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারে হাইলেভেল প্যানেলের সভাপতি নিয়োগ করেন। ২০০০ সালে সর্বশেষ লাখদার ইব্রাহিমির নেতৃত্বাধীন কমিটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বড় রকমের পরিবর্তন এনেছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ছিল। এ সময় শান্তিরক্ষায় বিরাট সংস্কার আনতে ইব্রাহিমির উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এপর্যন্ত ৬৯টি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কাজ করেছে। বর্তমানে মোতায়েন রয়েছে ১৬টি শান্তিরক্ষা মিশন। উর্দি পরিহিত সদস্য সংখ্যা এক লাখের বেশি। এর মধ্যে সৈন্য ৮৯,৬০৭। পুলিশ ১২৪৩৬। সামরিক পর্যবেক্ষক ১৭৫৫। ১২৮টি দেশ ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রি। ১৯৯১ সাল থেকে পশ্চিম সাহারায়, ২০১৪ এর এপ্রিল থেকে সেন্ট্রাল অফ্রিকান রিপাবলিক, ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে মালি, ২০০৪ সালের জুন থেকে হাইতি, ২০১০ সালের জুলাই থেকে কঙ্গো, ২০০৭ সালের জুলাই থেকে দারফুরে, ২০১১ সালের জুন থেকে সুদানের আবেয়িতে, ২০১১ সালের জুলাই থেকে দক্ষিণ সুদানে, ২০০৪ সালের এপ্রিলে আইভোরি কোস্টে, ১৯৯৯ সালের জুন থেকে কসোভোতে, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লাইবেরিয়ায় নীল হেলমেটধারীরা মোতায়েন রয়েছেন। তবে এর মধ্যে কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক দশক ধরে শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে। ১৯৭৪ সালের জুন থেকে সিরিয়ায় রয়ে গেছে ইউনাইটেড নেশনস ডিসএনগেঞ্জমেন্ট অবজারভার ফোর্স, ১৯৬৪ সালের মার্চ থেকে সাইপ্রাসে শান্তিরক্ষা মিশন রয়েছে। ১৯৭৮ সালের মার্চ থেকে লেবাননে, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি থেকে ভারত উপমহাদেশে মোতায়েন রয়েছে ইউনাইটেড নেমনস মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া এন্ড পাকিস্তান। এছাড়া ১৯৪৮ সালের মে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে জাতিসংঘের ট্রুস সুপারভিশন অর্গানাইজেশন।
উল্লেখ্য যে, ১২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ২০১৫ সালেও বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রির অবস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি সংঘাতপূর্ণ দেশ/অঞ্চলে এক লাখের বেশি জাতিসংঘ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এশিয়া প্রশান্ত অঞ্চলই জাতিসংঘ শান্তিমিশনে প্রায় ৪০ ভাগ সৈন্য ও ৩৩ ভাগ পুলিশের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। প্রায় ৪১ হাজার এশিয় শান্তিরক্ষী সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। জাতিসংঘের নীল হেলমেটধারীদের মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের সবচেয়ে বেশি সেনা রয়েছে। আর এই মিশনগুলোর বার্ষিক বাজেট মেটাচ্ছে মূলত তিনটি দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফ্রান্স। এই প্রেক্ষাপটে ভারত নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন চাইছে। ভারতের বিদেশনীতিতে এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসন লাভ করা। বারাক ওবামা ও নরেন্দ্র মোদির অন্তরঙ্গ বৈঠকে ভারত সেই সম্ভবনাকে স্পষ্ট করে তুলছে।
১৯৮৮ সাল থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকা বাংলাদেশী। হাইতির ও কঙ্গোর মিশনে বাংলাদেশী নারী পুলিশও সম্পৃক্ত হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে বিরোধপূর্ণ অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিক রক্ষায় নীল হেলমেটধারী শান্তিরক্ষীরা বহুক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৯৪০০ শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে ৮০০৩ জন সৈন্য, ৮২ জন সামরিক বিশেষজ্ঞ ও ১৩১৫ পুলিশ রয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন পূর্ব তিমুরের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জোসে রামোস হোর্তাকে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টাবরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সংস্কারে হাইলেভেল প্যানেলের সভাপতি নিয়োগ করেন। ২০০০ সালে সর্বশেষ লাখদার ইব্রাহিমির নেতৃত্বাধীন কমিটি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বড় রকমের পরিবর্তন এনেছিলেন। ১৯৯৯-২০০০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ছিল। এ সময় শান্তিরক্ষায় বিরাট সংস্কার আনতে ইব্রাহিমির উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এপর্যন্ত ৬৯টি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কাজ করেছে। বর্তমানে মোতায়েন রয়েছে ১৬টি শান্তিরক্ষা মিশন। উর্দি পরিহিত সদস্য সংখ্যা এক লাখের বেশি। এর মধ্যে সৈন্য ৮৯,৬০৭। পুলিশ ১২৪৩৬। সামরিক পর্যবেক্ষক ১৭৫৫। ১২৮টি দেশ ট্রুপস কন্ট্রিবিউটিং কান্ট্রি। ১৯৯১ সাল থেকে পশ্চিম সাহারায়, ২০১৪ এর এপ্রিল থেকে সেন্ট্রাল অফ্রিকান রিপাবলিক, ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে মালি, ২০০৪ সালের জুন থেকে হাইতি, ২০১০ সালের জুলাই থেকে কঙ্গো, ২০০৭ সালের জুলাই থেকে দারফুরে, ২০১১ সালের জুন থেকে সুদানের আবেয়িতে, ২০১১ সালের জুলাই থেকে দক্ষিণ সুদানে, ২০০৪ সালের এপ্রিলে আইভোরি কোস্টে, ১৯৯৯ সালের জুন থেকে কসোভোতে, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে লাইবেরিয়ায় নীল হেলমেটধারীরা মোতায়েন রয়েছেন। তবে এর মধ্যে কয়েকটি এলাকায় গত কয়েক দশক ধরে শান্তিরক্ষীরা মোতায়েন রয়েছে। ১৯৭৪ সালের জুন থেকে সিরিয়ায় রয়ে গেছে ইউনাইটেড নেশনস ডিসএনগেঞ্জমেন্ট অবজারভার ফোর্স, ১৯৬৪ সালের মার্চ থেকে সাইপ্রাসে শান্তিরক্ষা মিশন রয়েছে। ১৯৭৮ সালের মার্চ থেকে লেবাননে, ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি থেকে ভারত উপমহাদেশে মোতায়েন রয়েছে ইউনাইটেড নেমনস মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া এন্ড পাকিস্তান। এছাড়া ১৯৪৮ সালের মে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে জাতিসংঘের ট্রুস সুপারভিশন অর্গানাইজেশন।
No comments