পলিনা ভেগা মিস ইউনিভার্স
ফ্লোরিডা
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এফআইইউ) অ্যারেনা তখন আলো ঝলমলে। তার ভেতর
উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছেন বিশ্ব সুন্দরীরা। সেই সঙ্গে উত্তেজনা বিশ্বের
কোটি কোটি দর্শকের মাঝে- কে হচ্ছেন এবারের মিস ইউনিভার্স! সমস্ত আয়োজন শেষে
রোববার রাতে যখন এমন এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা তখন উপস্থাপক দৃপ্তকণ্ঠে
ঘোষণা দিলেন কলম্বিয়া সুন্দরী পলিনা ভেগা’র নাম। তিনিই এবার নির্বাচিত
হয়েছেন মিস ইউনিভার্স। এ ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় প্রশাসনে পড়ুয়া
ভেগা যেন অনুভূতি হারিয়ে ফেলেন। তার শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে যেতে তাকে এক হিম
অনুরণন। তিনি বিশ্বের সব সুন্দরীকে পেছনে ফেলে মিস ইউনিভার্স! যেন নিজেকে
বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। কিন্তু আবেগ তো আর থেমে থাকে না। আবেগে তার
চোখের কোণে দেখা মেলে অশ্রু। চারদিকে তখন হর্ষধ্বনি, হাততালি। কেউ বা শিশ
বাজাচ্ছেন মুখে। এ এক অন্য দৃশ্য। বিশ্বের ৮৮টি দেশের সুন্দরীদের হারিয়ে
‘মিস ইউনিভার্সের মুকুট জিতে নেন ২২ বছরের এ যুবতী। এতে প্রথম রানার আপ হন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী নিয়া সানচেজ। দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হন মিস
ইউক্রেন দিয়ানা হারকুশা। এবারের মিস ইউনিভার্সকে বিজয়ী মুকুট পরিয়ে দেন
গতবারের মিস ইউনিভার্স ভেনিজুয়েলার গাব্রিয়েলা ইসলার। মিস ইউনিভার্স পলিনা
ভেগা পাবেন বেতন, নিউ ইয়র্কে একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, একটি
ওয়ারড্রোব, রূপসজ্জার পণ্য, নিউ ইয়র্ক ফিল্ম একাডেমি থেকে এক বছরের বৃত্তি।
তবে তিনি কত বেতন পাবেন তা প্রকাশ করা হয় নি। মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত
হওয়ার পর ভেগা বলেছেন, নারীদের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। একজন
নারী তখনই সত্যিকার সুন্দরী হন যখন তিনি পেশাদারিত্বের প্রতি, বুদ্ধিমত্তা
ও কঠোর পরিশ্রমের প্রতি যত্নবান হন। এর সঙ্গে যোগ হয় তার নিজস্ব সৌন্দর্য ও
লাবণ্য। এর আগে মিস কলম্বিয়ার মুকুট জিতেছিলেন পলিনা। তার মাথায়ও উঠেছিল
মিস ইউএসএ মুকুট। কলম্বিয়ার বারানকিলার এলাকার যুবতী পলিনা বলেন, এটা আমার
এগিয়ে চলার পাথেয়। তবে এ ধরনের বিশ্বমঞ্চে এবারই প্রথম উঠলাম এবং এবারই
শেষ। আমার মডেলিংয়ের প্রতি কিংবা মিডিয়ার কাজের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই
বললেই চলে। তাই এ জায়গাটিতে থাকার ইচ্ছা আপাতত নেই। আমি পড়াশোনা করছি।
নিজের পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে চাই। আমি জানি, ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে
অবশ্যই শিক্ষাটা জরুরি। তাই এখন আমি পড়াশোনায় মন দেবো। গ্র্যান্ড ফিনালের
আগে পলিনা বলেছিলেন, এত বড় মঞ্চে নারীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমার জন্য
স্বপ্নের এবং সৌভাগ্যের। ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক পারিবারিক আবহে বড়
হয়েছেন পলিনা। তার দাদা গ্যাস্টন ভেগা একজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী। শুধু তাই
নয়, দাদি ইলভিরা সুজানা ক্যাস্টিলো গোমেজ পলিনার মতোই একজন তুমুল পারফরমার
ছিলেন। ১৯৫৩ সালে তিনি মিস আটলান্টিকো হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
No comments