কাশ্মিরি বন্যার্তদের প্রতি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা
অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরকে অবিচ্ছেদ্য অংশ
বলে দাবি করে থাকে ভারত সরকার। অথচ অঞ্চলটিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায়
পীড়িত জনগণের আত্মরক্ষার দায়িত্ব তাদের ওপরেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রহীন
অথচ ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে গিজ গিজ করছে হিমালয় পাদদেশের এই অঞ্চল।
নয়াদিল্লি ইচ্ছা করেই এ অঞ্চলকে অবহেলা করছে। আর সেনাবাহিনী এটিকে ব্যবহার
করছে জনসংযোগচর্চার জন্য। বন্যাপীড়িত কাশ্মিরিরা নিজেরাই নিজেদের নিয়ে
ভাবছে।
>>শ্রীনগরের বন্যাকবলিত একটি এলাকা : এএফপি
কাশ্মিরে
বন্যায় প্রায় ৭৪ জনের প্রাণহানির দুই সপ্তাহ পর নিজ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ
করতে যাওয়া এক ব্যক্তি তার ফেসবুকে লেখেন, বিধ্বস্ত ও লণ্ডভণ্ড দক্ষিণ
কাশ্মির অভিমুখে গাড়ি চালিয়ে গেলাম। মাত্র শ্রীনগর পৌঁছলাম। প্রায় অচল
নগরী। বাতাসে লাশের গন্ধ। শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থল থেকে কাশ্মিরের বাইরের এক
বন্ধুকে টুইট করলেন এক অসহায় ব্যক্তিÑ আমাদের জন্য ভেলা পাঠাও, আমাদের এখন
ভেলা দরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকজন লিখলেন, রাস্তায় ট্রাফিক
পুলিশও নেই। ফলে ত্রাণসরবরাহের জন্য চালু রয়েছে যে কয়টি রাস্তা, তাতে জট
লেগেই আছে।
কাশ্মিরিদের দুর্ভোগের মূলে রয়েছে রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিক বাহিনী বেষ্টিত অঞ্চলগুলোর একটি এই কাশ্মির। অথচ এখানকার উদ্ধারকার্যক্রম সত্যিই বেদনাদায়ক। শ্রীনগরে সরকারি আমলাদের একটি অত্যন্ত ধনী এলাকা রাজবাগের এক ুব্ধ যুবক ফোনে জানান, তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) যখন আমাদের এলাকায় উদ্ধারকাজে অসে, তখন একটি তালিকা নিয়ে আসে। কেবল তালিকাতেই তারা সীমাবদ্ধ থাকে। তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারি আমলা ও পণ্ডিতদের উদ্ধার করতে, স্থানীয় মুসলিমদের নয়। তিনি বলেন, সৈন্যরা হেলিকপ্টারে এত নিচ দিয়ে উড়ে যায় যে আমাদের নৌকার ওপর এসে পড়ে। তারপর বন্যার নোংরা পানিতে বিস্কুট ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেলে যায়। এগুলো আমরা কিভাবে ব্যবহার করব?
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির স্থানীয় জনগণকে উপেক্ষা করে শুধু পর্যটকদের ও আমলাদের উদ্ধার পরিকল্পনার কঠোর নিন্দা করেছে সারা বিশ্বের কাশ্মিরি সুশীলসমাজ। ত্রাণসংস্থাগুলোর ত্রাণকার্যক্রমে সহায়তার পরিবর্তে তাদের কাজে আরো ব্যাঘাত সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া যায়। দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণের আগে শ্রীনগর বিমানবন্দরে স্থানীয় পুলিশ তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে ত্রাণসংস্থাগুলোকে। ত্রাণশিবিরের এক ুব্ধ সমন্বয়ক বলেন, এমন সময় কি আমরা পুলিশের অনুমতির জন্য দৌড়াদৌড়ি করব? তিনি আরো বলেন, প্রশাসন আমাদের অভিমতের কোনো তোয়াক্কা না করেই আমাদেরকে বলেছে ট্রাকগুলোকে বিমানবন্দরের গেটের বাইরে রাখতে। কেননা এটি অত্যন্ত নিরাপদ এলাকা। আমরা কি বিমানবন্দরের বাইরে এক কিলোমিটার ত্রাণসামগ্রী মাথায় করে নিয়ে যাবো? প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রচুর সেনা উপস্থিতির পক্ষে যুক্তি ও স্বাধীনতাকামীদের দাবি নিয়ে তাচ্ছিল্য করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কশ্মিরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে দিল্লি। কিন্তু এখানকার মানবাধিকার রেকর্ড থেকে প্রমাণিত হয়, ছয় দশক ধরে কাশ্মিরি জনগণের কথা বিবেচনা করা হয়নি।
কাশ্মিরিদের দুর্ভোগের মূলে রয়েছে রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সামরিক বাহিনী বেষ্টিত অঞ্চলগুলোর একটি এই কাশ্মির। অথচ এখানকার উদ্ধারকার্যক্রম সত্যিই বেদনাদায়ক। শ্রীনগরে সরকারি আমলাদের একটি অত্যন্ত ধনী এলাকা রাজবাগের এক ুব্ধ যুবক ফোনে জানান, তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) যখন আমাদের এলাকায় উদ্ধারকাজে অসে, তখন একটি তালিকা নিয়ে আসে। কেবল তালিকাতেই তারা সীমাবদ্ধ থাকে। তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারি আমলা ও পণ্ডিতদের উদ্ধার করতে, স্থানীয় মুসলিমদের নয়। তিনি বলেন, সৈন্যরা হেলিকপ্টারে এত নিচ দিয়ে উড়ে যায় যে আমাদের নৌকার ওপর এসে পড়ে। তারপর বন্যার নোংরা পানিতে বিস্কুট ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ফেলে যায়। এগুলো আমরা কিভাবে ব্যবহার করব?
ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির স্থানীয় জনগণকে উপেক্ষা করে শুধু পর্যটকদের ও আমলাদের উদ্ধার পরিকল্পনার কঠোর নিন্দা করেছে সারা বিশ্বের কাশ্মিরি সুশীলসমাজ। ত্রাণসংস্থাগুলোর ত্রাণকার্যক্রমে সহায়তার পরিবর্তে তাদের কাজে আরো ব্যাঘাত সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া যায়। দুর্গত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণের আগে শ্রীনগর বিমানবন্দরে স্থানীয় পুলিশ তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হচ্ছে ত্রাণসংস্থাগুলোকে। ত্রাণশিবিরের এক ুব্ধ সমন্বয়ক বলেন, এমন সময় কি আমরা পুলিশের অনুমতির জন্য দৌড়াদৌড়ি করব? তিনি আরো বলেন, প্রশাসন আমাদের অভিমতের কোনো তোয়াক্কা না করেই আমাদেরকে বলেছে ট্রাকগুলোকে বিমানবন্দরের গেটের বাইরে রাখতে। কেননা এটি অত্যন্ত নিরাপদ এলাকা। আমরা কি বিমানবন্দরের বাইরে এক কিলোমিটার ত্রাণসামগ্রী মাথায় করে নিয়ে যাবো? প্রাকৃতিক দুর্যোগকে প্রচুর সেনা উপস্থিতির পক্ষে যুক্তি ও স্বাধীনতাকামীদের দাবি নিয়ে তাচ্ছিল্য করার উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
কশ্মিরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করে দিল্লি। কিন্তু এখানকার মানবাধিকার রেকর্ড থেকে প্রমাণিত হয়, ছয় দশক ধরে কাশ্মিরি জনগণের কথা বিবেচনা করা হয়নি।
No comments