বিদ্যুৎকেন্দ্র রিপেয়ারিংয়ের নামে লুটপাটের আয়োজন
সমালোচনার মধ্যেই আরও একটি পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্র
রিপেয়ারিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এর আগে রিপেয়ারিংয়ের
নামে শুরু করা এ প্রকল্পের অধীনে একটি কেন্দ্রে কাজ চলছে। অন্য একটি
কেন্দ্রের কার্যাদেশ দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরনো কেন্দ্রে বেশি
ব্যয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ প্রকল্পকে লুটপাটের আয়োজন বলে মনে করছেন এ খাত
বিশেষজ্ঞরা। বেশি মূল্যে একক কোম্পানিকে ঘোড়াশাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট
৩-এর রিপেয়ারিংয়ের কাজ দেয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। শুধুমাত্র বাকি
রয়েছে হার্ড টার্ম লোন কমিটির অনুমোদন। হার্ড টার্ম লোন কমিটি
প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই লুটপাটের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে।
অভিযোগ রয়েছে অসাধু কর্মকর্তারা ওই প্রকল্প থেকে লুটে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। লুটপাটের পুনঃব্যবস্থা করতে এবার রিপেয়ারিংয়ে হাত দেয়া হচ্ছে ৬নং ইউনিটে। এ ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, বেজমেন্ট নির্মাণ- এসব খাতে কোন ব্যয় না থাকার পরও ব্যয় ধরা হয়েছে অনেক বেশি। এসব প্রকল্পে যে খরচ দেখানো হচ্ছে বাস্তবে ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কম। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশালের তিন নম্বর ইউনিটের রিপেয়ারিংয়ের জন্য ২০১২ সালে ইপিসি কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কাজ সম্পূর্ণ করার শর্তে দরপত্র আহ্বান করে পিডিবি। তবে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় সেটিকে অযোগ্য ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি ফের দরপত্র আহ্বান করা হয়। শর্ত শিথিল করে এবার কাজ দেয়া হয় কনসোর্টিয়াম অব অ্যালোসথাম লিমিটেড ও সিএমসি চায়নাকে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, ৪১৬ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বয়লার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে দুই বছরের। অথচ সিএমসি ও অ্যালোসথামের এ ধরনের কোন অভিজ্ঞতা নেই। ঘোড়াশাল তিন নম্বর ইউনিট কেন্দ্র থেকে বর্তমানে উৎপাদন হয় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বলা হচ্ছে, রিপেয়ারিং বা পুনঃক্ষমতায়ন শেষে এ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে ৪১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু বাস্তবে আসলে পাওয়া যাবে ২১৬ মেগাওয়াট। ইপিসি চুক্তির আওতায় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে যৌথভাবে কাজ পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের কনসোর্টিয়াম অব অ্যালোসথাম লিমিটেড ও সিএমসি চায়না। ১০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের জন্য সুদে-আসলে পিডিবিকে পরিশোধ করতে হবে তিন হাজার ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৪০৭ টাকা। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অর্থ দিয়ে নতুন ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যেত। এ রিপেয়ারিং প্রকল্পের আওতায় অনেক বিদ্যমান পুরাতন যন্ত্রাদি ব্যবহার করা হবে যেগুলো কয়েক বছর পরই পরিবর্তন করতে বিউবোকে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথচ একই সময়ে ঘোড়াশালে ৩৬২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সম্পূর্ণ নতুন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য বিউবো অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে যার প্রতি ইউনিটের বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে ৩ নং ইউনিটের রিপেয়ারিং ব্যয়ের তুলনায় অর্ধেক। এমনকি সমসাময়িক কালে টেন্ডারকৃত ও বাস্তবায়নাধীন সকল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের তুলনায় এ ইউনিটের রিপেয়ারিং ব্যয় অনেক বেশি।
এদিকে ৩য় ইউনিটের মতো একইভাবে ঘোড়াশাল ৬নং ইউনিটের রিপেয়ারিংয়ের জন্য বিউবো গত ১০ই ফেব্রুয়ারি ২য় স্তরের দরপত্রের ১ম স্তর আহ্বান করেছে। নির্ধারিত সময়ে মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান আল্সটম (সুইজারল্যান্ড) ও সিএমসি (চায়না)-এর কনসোর্টিয়াম এবং আনসারদো এনার্জিয়া (ইতালি) ও শাংহাই ইলেক্ট্রিক গ্রুপ (চায়না)-এর কনসোর্টিয়াম দরপত্র দাখিল করে। কিন্তু এবারও বিউবো আল্সটম ও সিএমসি’র কনসোর্টিয়ামের দরপত্রকে টেকনিক্যালি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অর্থাৎ এই ইউনিটের ক্ষেত্রেও একইভাবে উচ্চমূল্যে দরপত্র দাখিলের সুযোগ দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রগুলোকে ক্ষমতায়নের এ প্রক্রিয়া শেষ হলে এতে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হবে। যা সরকারের জ্বালানি সাশ্রয় নির্দেশনারও বিরোধী।
রিপেয়ারিংয়ের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। এর কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। রিপেয়ারিং প্রকল্পের নেপথ্যে তার বড় ভূমিকা রয়েছে এবং তার পরিকল্পনা অনুযায়ীই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ প্রকল্প থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বন্ধু পরিচয় দেয়া রুহুল আমিনের অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
রিপেয়ারিং প্রকল্পের বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র করে সরকার আগে বিদ্যুৎ সেক্টরে লুটপাটের আয়োজন করেছিল। এতে কিছু লোক সুবিধা পেয়েছে। এখন রিপেয়ারিংয়ের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটিও লুটপাটের আয়োজন। এ ধরনের প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার দায় জনগণকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রিপেয়ারিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে তাও স্বচ্ছ নয়। রিপেয়ারিং প্রকল্পের বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ বলেন, ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিটে রিপেয়ারিং করা হলে খরচ বাড়বে না। এতে ক্ষতির কিছু নেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এ কাজ করতে হচ্ছে। দরপত্রের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রচলিত দরের মধ্যেই রিপেয়ারিংয়ের কাজ হবে। অনেকে বিষয়টা ভুল বুঝছেন।
রিপেয়ারিং সম্পর্কে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, এই পদ্ধতিতে পুরানো ইউনিটকে সক্রিয় করার পাশাপাশি নতুন একটি ইউনিট চালু করার নিয়ম। কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে দরপত্র দিয়ে রিপেয়ারিং করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এটি এক প্রকার চুরির মতো। এ ধরনের প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর দায় জনগণকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রিপেয়ারিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে তা-ও স্বচ্ছ নয়।
অভিযোগ রয়েছে অসাধু কর্মকর্তারা ওই প্রকল্প থেকে লুটে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। লুটপাটের পুনঃব্যবস্থা করতে এবার রিপেয়ারিংয়ে হাত দেয়া হচ্ছে ৬নং ইউনিটে। এ ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন, বেজমেন্ট নির্মাণ- এসব খাতে কোন ব্যয় না থাকার পরও ব্যয় ধরা হয়েছে অনেক বেশি। এসব প্রকল্পে যে খরচ দেখানো হচ্ছে বাস্তবে ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ অনেক কম। পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াশালের তিন নম্বর ইউনিটের রিপেয়ারিংয়ের জন্য ২০১২ সালে ইপিসি কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কাজ সম্পূর্ণ করার শর্তে দরপত্র আহ্বান করে পিডিবি। তবে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় সেটিকে অযোগ্য ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি ফের দরপত্র আহ্বান করা হয়। শর্ত শিথিল করে এবার কাজ দেয়া হয় কনসোর্টিয়াম অব অ্যালোসথাম লিমিটেড ও সিএমসি চায়নাকে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, ৪১৬ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্রে কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বয়লার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে দুই বছরের। অথচ সিএমসি ও অ্যালোসথামের এ ধরনের কোন অভিজ্ঞতা নেই। ঘোড়াশাল তিন নম্বর ইউনিট কেন্দ্র থেকে বর্তমানে উৎপাদন হয় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। বলা হচ্ছে, রিপেয়ারিং বা পুনঃক্ষমতায়ন শেষে এ কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে ৪১৬ মেগাওয়াট। কিন্তু বাস্তবে আসলে পাওয়া যাবে ২১৬ মেগাওয়াট। ইপিসি চুক্তির আওতায় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যবস্থা করবে যৌথভাবে কাজ পাওয়া দুই প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের কনসোর্টিয়াম অব অ্যালোসথাম লিমিটেড ও সিএমসি চায়না। ১০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের জন্য সুদে-আসলে পিডিবিকে পরিশোধ করতে হবে তিন হাজার ৪৮ কোটি ৫৪ লাখ ৯০ হাজার ৪০৭ টাকা। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ অর্থ দিয়ে নতুন ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যেত। এ রিপেয়ারিং প্রকল্পের আওতায় অনেক বিদ্যমান পুরাতন যন্ত্রাদি ব্যবহার করা হবে যেগুলো কয়েক বছর পরই পরিবর্তন করতে বিউবোকে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে। অথচ একই সময়ে ঘোড়াশালে ৩৬২ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সম্পূর্ণ নতুন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য বিউবো অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে যার প্রতি ইউনিটের বিদ্যুৎ খরচ পড়ছে ৩ নং ইউনিটের রিপেয়ারিং ব্যয়ের তুলনায় অর্ধেক। এমনকি সমসাময়িক কালে টেন্ডারকৃত ও বাস্তবায়নাধীন সকল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের তুলনায় এ ইউনিটের রিপেয়ারিং ব্যয় অনেক বেশি।
এদিকে ৩য় ইউনিটের মতো একইভাবে ঘোড়াশাল ৬নং ইউনিটের রিপেয়ারিংয়ের জন্য বিউবো গত ১০ই ফেব্রুয়ারি ২য় স্তরের দরপত্রের ১ম স্তর আহ্বান করেছে। নির্ধারিত সময়ে মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান আল্সটম (সুইজারল্যান্ড) ও সিএমসি (চায়না)-এর কনসোর্টিয়াম এবং আনসারদো এনার্জিয়া (ইতালি) ও শাংহাই ইলেক্ট্রিক গ্রুপ (চায়না)-এর কনসোর্টিয়াম দরপত্র দাখিল করে। কিন্তু এবারও বিউবো আল্সটম ও সিএমসি’র কনসোর্টিয়ামের দরপত্রকে টেকনিক্যালি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। অর্থাৎ এই ইউনিটের ক্ষেত্রেও একইভাবে উচ্চমূল্যে দরপত্র দাখিলের সুযোগ দেয়ার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এদিকে কেন্দ্রগুলোকে ক্ষমতায়নের এ প্রক্রিয়া শেষ হলে এতে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি গ্যাসের প্রয়োজন হবে। যা সরকারের জ্বালানি সাশ্রয় নির্দেশনারও বিরোধী।
রিপেয়ারিংয়ের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কোম্পানি সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। এর কর্ণধার তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। রিপেয়ারিং প্রকল্পের নেপথ্যে তার বড় ভূমিকা রয়েছে এবং তার পরিকল্পনা অনুযায়ীই এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রভাব খাটিয়ে এ প্রকল্প থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বন্ধু পরিচয় দেয়া রুহুল আমিনের অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
রিপেয়ারিং প্রকল্পের বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল কেন্দ্র করে সরকার আগে বিদ্যুৎ সেক্টরে লুটপাটের আয়োজন করেছিল। এতে কিছু লোক সুবিধা পেয়েছে। এখন রিপেয়ারিংয়ের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এটিও লুটপাটের আয়োজন। এ ধরনের প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে। যার দায় জনগণকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রিপেয়ারিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হচ্ছে তাও স্বচ্ছ নয়। রিপেয়ারিং প্রকল্পের বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুহু রুহুল্লাহ বলেন, ঘোড়াশাল ৬ নম্বর ইউনিটে রিপেয়ারিং করা হলে খরচ বাড়বে না। এতে ক্ষতির কিছু নেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে এ কাজ করতে হচ্ছে। দরপত্রের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রচলিত দরের মধ্যেই রিপেয়ারিংয়ের কাজ হবে। অনেকে বিষয়টা ভুল বুঝছেন।
রিপেয়ারিং সম্পর্কে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমতুল্লাহ বলেন, এই পদ্ধতিতে পুরানো ইউনিটকে সক্রিয় করার পাশাপাশি নতুন একটি ইউনিট চালু করার নিয়ম। কিন্তু আমাদের দেশে যেভাবে দরপত্র দিয়ে রিপেয়ারিং করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এটি এক প্রকার চুরির মতো। এ ধরনের প্রকল্পে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বাড়বে। এর দায় জনগণকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, যে প্রক্রিয়ায় রিপেয়ারিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে তা-ও স্বচ্ছ নয়।
No comments