অর্ধেক পাখিই ঝুঁকিতে!
বাল্ড ইগল। রয়টার্স |
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অর্ধেক পাখি। এ কারণে তাদের অস্তিত্বও হুমকির মুখে। সাত বছর ধরে চলা এক গবেষণার পর পাখি সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করা খ্যাতনামা সংগঠন অডুবন সোসাইটি এই তথ্য দিয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের।গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উত্তর আমেরিকায় ৩১৪ প্রজাতির পাখির সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তে থাকলে এসব পাখির বিচরণক্ষেত্র হারিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্য এবং ওয়াশিংটনের ‘প্রধান’ পাখি এভাবে হারিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন গবেষকেরা। অডুবন সোসাইটির প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং ওই গবেষণার প্রধান গ্যারি ল্যাংহ্যাম বলেন, ‘আমরা হয়তো এসব পাখির কোনো কোনোটি চিরতরে হারিয়ে ফেলব।’ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০১০ সালে পাখির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছিল, অডুবন সোসাইটির প্রতিবেদনে তার চেয়ে বেশি হতাশাজনক চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ৫৮৮ প্রজাতির পাখির ওপর গবেষণা করা হয়, এই শতকের মাঝামাঝি সময়ে এর মধ্যে ১২৬ প্রজাতির পাখির বিচরণক্ষেত্র অর্ধেকের বেশি হারিয়ে যাবে। কমতে থাকবে পাখির সংখ্যা। ২০৮০ সালের মধ্যে বিচরণক্ষেত্র হারাবে ১৮৮ প্রজাতির পাখি। বাল্ড ইগল পাখির সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সাফল্য দেখিয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে গবেষকেরা বলছেন, এই পাখিটিও ২০৮০ সালের মধ্যে তার বিচরণক্ষেত্রের ৭৫ শতাংশ হারিয়ে ফেলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ধারায় মেরিল্যান্ডের জাতীয় পাখি এবং বেসবল দলের প্রতীক বাল্টিমোর ওরিওল হারিয়ে যাবে। অস্তিত্ব হারাবে লুইজিয়ানার পাখি ব্রাউন পেলিক্যানও। গবেষণাটি চালাতে ৪০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের জুওলজিক্যাল সার্ভের নথি পর্যালোচনা করেন গবেষকেরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ১৭ ধরনের মডেলও তাঁরা বিশ্লেষণ করেন। অডুবনের প্রধান নির্বাহী ডেভিড ইয়ার্নলড এ গবেষণার তথ্যকে আখ্যায়িত করেন ‘কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান’ হিসেবে।
No comments