সহায়তার আশ্বাসে উৎসাহিত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ভেতরে ও বাইরের’ বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিতে তিনি ‘খুবই উৎসাহিত’। কয়েকটি দেশ স্থলসেনা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে জানান তিনি। মধ্যপ্রাচ্য সফর থেকে ফিরে গতকাল রোববার সিবিএস টেলিভিশনের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে ৬০০ সেনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি আটটি যুদ্ধবিমান ও দুটি উড়োজাহাজ দেবে দেশটি। খবর এএফপি ও রয়টার্সের। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন স্থলসেনা পাঠানো হবে না—এ মর্মে প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে জন কেরি বলেন, ‘কেউ কেউ সেনা দিতে রাজি হয়েছে। তবে আমরা এ মূহূর্তে তা চাইছি না।’ কেরি ওই সব দেশের নাম বলতে রাজি হননি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সিরিয়ায় আইএসবিরোধী হামলার ক্ষেত্রে তাঁরা বাশার সরকারের সঙ্গে বিমান হামলার বিষয়টি সমন্বয় করবেন না। তিনি স্বীকার করেন, শুধু বিমান হামলায় আইএসকে পরাস্ত করা সম্ভব না-ও হতে পারে। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট গতকাল জানান, অস্ট্রেলিয়ার বাহিনী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মার্কিন ঘাঁটিতে থেকে ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়তে আন্তর্জাতিক জোট গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের পর অস্ট্রেলিয়াই প্রথম দেশ, যারা সুনির্দিষ্টভাবে অংশগ্রহণের বিষয়টি উল্লেখ করে এমন ঘোষণা দিল। প্রধানমন্ত্রী অ্যাবট ডারউইন শহরে সাংবাদিকদের জানান, তাঁর দেশ আইএসবিরোধী লড়াইয়ের জন্য ৬০০ সেনা পাঠাচ্ছে। বিমানবাহিনীর ৪০০ ও বিশেষ বাহিনীর ২০০ সেনার সমন্বয়ে এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। টনি অ্যাবট জানান,
শুধু সেনাসদস্যই নয়, আটটি যুদ্ধবিমান, আগাম সতর্কসংকেত দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিমান ও আকাশেই বিমানে জ্বালানি ভরার কাজে ব্যবহৃত একটি বিমানও পাঠানো হবে। অ্যাবট আরও জানান, সেনাসদস্য ও বিমানগুলো শিগগিরই ইউএইতে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থান নেবে। তবে অ্যাবট জানিয়ে দেন, সিরিয়ায় আইএসবিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা অস্ট্রেলিয়ার নেই। ফ্রান্সের ৯৩০ জন জঙ্গিবাদে জড়িত: ফ্রান্সের নাগরিক কিংবা ফ্রান্সে অবস্থান করা ৯৩০ ব্যক্তি ইরাক-সিরিয়ায় জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বা সম্পৃক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জন নারীও রয়েছেন। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনিউভি গতকাল ফরাসি একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই ৯৩০ জনের মধ্যে ৬০ জন নারীসহ ৩৫০ জন সরাসরি মাঠে লড়াই করছেন। পশ্চিমা অনেক দেশেরই আশঙ্কা, তাদের নাগরিকেরা জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়ে ইরাক-সিরিয়ায় লড়াইয়ের পর দেশে ফিরে হত্যাযজ্ঞ চালাবে। সিরিয়ায় বিমান হামলা: সিরিয়ায় আইএসের প্রশিক্ষণকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। শনিবার চালানো ওই হামলায় শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছে।
No comments