নীরবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন হিলারি
ব্যক্তিগত একজন প্রশিক্ষকের অধীনে নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন। চর্চা করছেন যোগব্যায়ামের। আবার বক্তৃতা দিচ্ছেন ‘করপোরেট আমেরিকাকে’ বাদ না দিয়েও কী করে আয়ের বৈষম্য দূর করা যায় তা নিয়ে। আইওয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির হোমরাচোমরা কারা, তার সুলুকসন্ধান করেছেন। প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার লড়াই যে এই অঙ্গরাজ্য থেকেই শুরু হবে! যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হবেন কি না, হিলারি ক্লিনটন তা এখনো মুখ ফুটে বলেননি। তবে অনেকেই মনে করছেন, তাঁর কর্মকাণ্ড থেকেই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জনসমক্ষে যদিও বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী বছর, তলে তলে ঠিকই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গতকাল রোববার আইওয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির ৩৭তম বার্ষিক সভা হয় সিনেটর টম হারকিনের নেতৃত্বে। সেখানে হিলারিরও থাকার কথা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর এটিই হিলারির সবচেয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যোগ দেওয়া।
এরই মধ্যে ডেমোক্রেিটক পার্টির তহবিল সংগ্রহকারী গোষ্ঠী প্রায়োরিটিজ ইউএসএ বলেছে, হিলারিকে সহযোগিতা দিতে তারা প্রস্তুত। তারা বলছে, শিগগিরই কংগ্রেস নির্বাচনের জন্য তহবিল সংগ্রহ শুরু করা হবে। তবে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে হিলারির জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই দাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে তারা। হিলারি প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন, তা খোলাখুলিই বলেছেন আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক সভাপতি সুয়ে ডিভোরস্কি। ডিভোরস্কি বলেন, ‘তিনি (হিলারি) কী করতে যাচ্ছেন, তা পরিষ্কার। আর তা হলো, আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা।’ তহবিল সংগ্রহ এবং তৃণমূলের সমর্থন—এ দুটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দুই বড় শর্ত। হিলারির একটা সুবিধার দিক হচ্ছে তাঁর প্রতি তৃণমূলের সমর্থন আছে। দলের অনেক সমর্থক হিলারির প্রতি আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জবাবে কিন্তু তিনি শুধু ধন্যবাদ জানিয়েই ক্ষান্ত হন। খুলে বলেননি যে এটি প্রচারণা নয়। কিংবা আগের মতো বলেননি, ‘এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’ সূত্র: এনডিটিভি।
No comments