রেহাইও নয়, প্রতিহিংসাও নয়
রবার্ট ভদ্র -অরুণ জেটলি |
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পরবর্তী সরকার গঠন করলে কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর জামাতা রবার্ট ভদ্রকে নিষ্কৃতিও দেওয়া হবে না, আবার তাঁকে প্রতিহিংসার শিকারও বানানো হবে না। এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা অরুণ জেটলি। বিজেপি নেতা জেটলি পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসর থেকে প্রথমবারের মতো লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন। ওই আসনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কংগ্রেসের অমরিন্দর সিং, যিনি রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে অরুণ জেটলি বলেন, ‘আপনাকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই সংস্থাগুলোকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। আপনি কাউকেই নিষ্কৃতি দেবেন না, আবার আপনি কারও প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণও নন। যদি তিনি (রবার্ট ভদ্র) অন্যায় কিছু করে থাকেন—কারণ, এ রকম বেশ কিছু দৃঢ় প্রমাণ রয়েছে। তবে সংস্থাগুলোকে তা নিরপেক্ষভাবে বের করার সুযোগ দিন।’ রবার্ট ভদ্র কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়ার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীরা পাঞ্জাবের হরিয়ানায় কংগ্রেস সরকারের সহায়তায় ভূমি চুক্তির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা বানানোর অভিযোগ করে আসছে। এ ছাড়া সরকারি আনকূল্যে বিভিন্নভাবে ফুলে-ফেঁপে ওঠার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভুপিন্দর সিং এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
তিনি দাবি করেছেন, ভদ্রের চুক্তিগুলো ছিল বৈধ ও ন্যায়সংগত। ওই চুক্তির বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার দাবি উঠলেও গত অক্টোবর মাসে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তা নাকচ করে দেন। আদালত বলেন, একজন মানুষকে কেবল তাঁর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অপরাধী বলা যাবে না। সাক্ষাৎকারে অরুণ জেটলি আরও বলেন, ‘রবার্ট ভদ্র ক্ষমতার অপব্যবহারের একটা প্রতীক। তবে আমাদের নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে তিনি একটি ক্ষুদ্র ইস্যু।’ গত সপ্তাহে বিজেপি নেতা উমা ভারতী ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) ক্ষমতায় গেলে প্রিয়াঙ্কার স্বামী ভদ্রকে জেলের ঘানি টানতে হবে। তবে অরুণ জেটলি জোরের সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ‘রাজনীতিকেরা নন, তদন্ত সংস্থাগুলোই নির্ধারণ করবে, কারা জেলে যাবেন।’ সম্প্রতি পাঞ্জাবের গুরগাঁ এলাকায় একটি জনসভা করেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি। রবার্ট ভদ্র তাঁর বিতর্কিত ওই চুক্তিগুলোর মধ্যে কিছু চুক্তি করেছেন এই গুরগাঁতেই। মোদি ওই জনসভায় ভদ্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেন। জনসভায় ভাষণের সময় প্রশ্ন করেন, একজন ব্যক্তি একটি পয়সা ছাড়াই মাত্র তিন মাসের মধ্যে কীভাবে ৫০ কোটি রুপি আয় করলেন? সোনিয়া গান্ধীর ছেলে ও কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারণায় নেতৃত্ব দেওয়া রাহুল গান্ধীকে এ বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোদি। এনডিটিভি।
No comments