মোদিকে নিয়ে বিভক্ত বলিউড
নন্দিতা দাস -সেলিম খান |
ভারতীয় ভোটারদের কাছে একটি আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি লিখেছেন বলিউডের কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্য লেখক ও সংগীতশিল্পী। এতেই ঘটে গেল বিপত্তি। চিঠিতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে সরাসরি কিছুই বলা হয়নি। এতে শুধু ধর্মনিরপেক্ষ দলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এটা যে প্রকারান্তরে হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা মোদির বিরুদ্ধাচরণ, তা বুঝতে বাকি থাকেনি। ফলে চিঠি প্রকাশের পর দুই ভাগে বিভক্ত বলিউড। খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘এখন সময়ের দাবি হচ্ছে, আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভিত্তিকে রক্ষা করা। সন্দেহ নেই, দুর্নীতি ও শাসনপদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে...ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র আপসের মতো কোনো বিষয় নয়।’ এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা নিজেদের আসনে যে ধর্মনিরপেক্ষ দলের জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, সেই দলকে ভোট দিন।’
চিঠিতে সই করা বলিউডের ৬০ জন ব্যক্তিত্বের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলী, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক বিশাল ভরদ্বাজ, অভিনেত্রী ও পরিচালক নন্দিতা দাস, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক গোবিন্দ নিহালনি, পরিচালক জয়া আক্তার, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার কবির খান, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্য লেখক মহেশ ভাট, সংগীতশিল্পী শুভা মুডগাল প্রমুখ। নন্দিতা দাস বলেন, এটি কেবল মোদির বিরুদ্ধে নয়, বরং সেই সব দলের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান, যারা অতীতে লোকজনকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজিত করেছে এবং এখনো তা করে যাচ্ছে। বলিউডের আরেকাংশ অবশ্য এসব অভিযোগ নাকচ করছে। অভিনেতা সালমান খানের বাবা প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার সেলিম খান বলেন, ‘মোদির সঙ্গে আমার সম্পর্কে ভিত্তি হচ্ছে আমার উর্দু লেখালেখি। আমার মতে, কেউই অস্পৃশ্য নয়।’ পরিচালক মধুর ভান্ডারকার টুইটারে লেখেন, ‘কিছু সহকর্মী তথাকথিত বিভাজনকারী শক্তিকে থামানোর লেবাসের আড়ালে থেকে নিজেরাই বলিউডের মতো ধর্মনিরপেক্ষ স্থানে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। এটা ভাবতেই কষ্ট লাগছে।’ এনডিটিভি।
No comments