নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে গত ডিসেম্বরে গ্রেপ্তারের সময় তিনি কূটনৈতিক দায়মুক্তির বাইরে ছিলেন৷ তাই তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় মার্কিন কর্তৃপক্ষের কোনো ভুল হয়নি৷ যুক্তরাষ্ট্রের এ রকম অবস্থানের ফলে দেবযানীকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির জের ধরে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, শিগগিরই তার অবসান হবে বলে মনে হচ্ছে না৷ ভিসা জালিয়াতি এবং গৃহপরিচারিকার বেতন নিয়ে ভুয়া তথ্য দেওয়ার অভিযোগে দেবযানীর বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে মামলা রয়েছে৷ তিনি কূটনৈতিক দায়মুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে ওই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতে অাইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন৷
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত সপ্তাহে বলেছে, দেবযানীকে গ্রেপ্তার ও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে মার্কিন অাইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা সঠিক ছিল৷ পররাষ্ট্র দপ্তরের এই সমর্থনের ফলে দেবযানীর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে মার্কিন কৌঁসুলি প্রীত ভারারার কোনো অাইনি বাধা থাকছে না৷ ফলে দায়মুক্তি সুবিধার অাওতায় দেবযানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই৷ এ ব্যাপারে ভারারা ইতিমধ্যে দেবযানীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অাটটি দলিলপত্র অাদালতে পেশ করেছেন৷ এর অাগে দেবযানীর অাইনজীবী ড্যানিয়েল অারশাক গত ১৪ জানুয়ারি তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে েগ্রপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুমতি প্রার্থনা করেন৷ তিনি গত শুক্রবার বলেন, মার্কিন কৌঁসুলি অাসল ঘটনা এবং অাইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন৷ বিষয়টি নিয়ে অাদালতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন৷ দেবযানীকে নিয়ে বিতর্কের অবসানে মার্কিন সরকারের ভূমিকায় কূটনীতিকদের একটি অংশে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে৷ তবে একটি অংশ মনে করছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ দেবযানীর বিরুদ্ধে অাইনি লড়াই অব্যাহত রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অারও অবনতির অাশঙ্কা রয়েছে৷ ভারতের সাবেক কূটনীতিকদের একটি অংশ মনে করছেন, দেবযানীকে নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ কূটনৈতিকভাবেই নিষ্পত্তির সুযোগ ছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের অাইনি অবস্থান কিছুটা ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ টাইমস অব ইন্ডিয়া৷
No comments