তানভির-আরিফুলের সেঞ্চুরি মিস
ইনিংস ব্যবধানে ঢাকাকে জিততে দিলেন না রংপুরের তানভীর হায়দার ও আরিফুল হক। দ্বিতীয় ইনিংসে যদিও দু’জনই সেঞ্চুরি মিস করেছেন। তানভীর ৯৫*। আরিফুল দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। তাদের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই সংগ্রহে ইনিংস হার এড়িয়েছে রংপুর। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে রোববার দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেট জয় পায় ঢাকা বিভাগ। বগুড়ায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ১২৭ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিস। ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনে চট্টগ্রাম বিভাগকে ১৮৮ রানে অলআউট করে ম্যাচ জেতে ঢাকা মেট্রোপলিস। খূলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। শনিবার তৃতীয় দিনে জয় পায় রাজশাহী বিভাগ। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ফলোঅনে পড়া রংপুর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৫ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর সহজ জয় পেতে যাচ্ছিল ঢাকা। তবে লেজের দুই ব্যাটসম্যান তানভীর হায়দার ও আরিফুল হকের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসে তিনশ’ (৩০৯) পার করে রংপুর। এই জুটি থেকে আসে ১৫৯ রান।
প্রথম ইনিংসে রংপুর করে ৩১৫। এর আগে সাত উইকেটে ৬১৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। দ্বিতীয় ইনংসে তাদের দরকার ছিল মাত্র ৯ রান। মাত্র চার বলে জয় নিশ্চিত করে ঢাকা। সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ঢাকার পেসার মোহাম্মদ শরীফ। এদিকে মোহাম্মদ শহীদ ও সৈকত আলীর বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামকে ১৮৮ রানে অলআউট করে ১২৭ রানে জিতেছে ঢাকা মেট্রোপলিস। প্রথম ইনিংসে তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা নাফিস ইকবাল দ্বিতীয় ইনিংসেও সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন। এছাড়া চট্টগ্রামেও ফয়সাল হোসেন ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনংসে চট্টগ্রাম করে ১৯৫ রান। ঢাকা মেট্রোপলিস প্রথম ইনিংসে ২২১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৯ রান করে। জয়ের জন্য চট্টগ্রামের প্রয়োজন হয় ৩১৬ রান। প্রথম ইনিংসে পাঁচটি ও দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ শহীদ। খুলনা ও বরিশালের ম্যাচটি ড্র হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা অলআউট হয় মাত্র ১১৪ রানে। খুলনার তাপস ঘোষ সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। বরিশালের কামরুল ইসলাম চারটি ও মনির হোসেন তিনটি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে খুলনা করে ৩৫৭ রান। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ২৫২ রানে অলআউট হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২০ রান। তবে পাঁচ উইকেটে ১২২ রান করতেই ম্যাচ ড্র হয়ে যায়। দুই ইনিংসে ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন কামরুল ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, খুলনা
খুলনা ৩৫৭ ও ১১৪/১০, ৫১.১ ওভারে (তুষার ইমরান ১৭*, তাপস ঘোষ ৪১, নাহিদুল ইসলাম ১৭। কামরুল ইসলাম ৪/৩৯, মনির হোসেন ৩/১৯)। বরিশাল ২৫২ ও ১২২/৫, ৪৬ ওভারে (সালমান হোসেন ৩৪, ইফতেখার নাইম ৩৯। ডলার মাহমুদ ২/১৩, রাজিবুল ইসলাম ২/২১)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কামরুল ইসলাম (বরিশাল)।
ঢাকা ও রংপুর বিভাগ, রাজশাহী
ঢাকা বিভাগ ৬১৬/৭ ও ৯/০, ০.৪ ওভারে (আবদুল মাজিদ ৫*, রনি তালুকদার ০*। শুভাশীষ রায় ০/৫)। রংপুর বিভাগ ৩১৫ ও ৩০৯/১০, ৬৫.১ ওভারে (সায়মন আহমেদ ৬১, তানভীর হায়দার ৯৫* আরিফুল হক ৯৮। শাহাদাত হোসেন ২/৪৪, মোহাম্মদ শরীফ ৪/৭৬)। ফল : ঢাকা ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ শরীফ (ঢাকা বিভাগ)।
ঢাকা মেট্রোপলিস ও চট্টগ্রাম বিভাগ, বগুড়া
ঢাকা মেট্রোপলিস ২২১ ও ২৮৯/১০, ৯০.৫ ওভারে (সৈকত ২৯, আবু হায়দার ৩২, মোহাম্মদ শহীদ ৬৪। আফতাব আহমেদ ৪/২৮, আলী আকবর ২/৫৩)। চট্টগ্রাম ১৯৫ ও ১৮৮/১০, ৪৫৭.২ ওভারে (নাফিস ইকবাল ৬৮, ফয়সাল হোসেন ৪৯*। মোহাম্মদ শহীদ ৪/৪৬, সৈকত আরী ৫/৩১)। ফল : ঢাকা মেট্রোপলিস ১২৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ শহীদ (ঢাকা মেট্রোপলিস)
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, খুলনা
খুলনা ৩৫৭ ও ১১৪/১০, ৫১.১ ওভারে (তুষার ইমরান ১৭*, তাপস ঘোষ ৪১, নাহিদুল ইসলাম ১৭। কামরুল ইসলাম ৪/৩৯, মনির হোসেন ৩/১৯)। বরিশাল ২৫২ ও ১২২/৫, ৪৬ ওভারে (সালমান হোসেন ৩৪, ইফতেখার নাইম ৩৯। ডলার মাহমুদ ২/১৩, রাজিবুল ইসলাম ২/২১)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কামরুল ইসলাম (বরিশাল)।
ঢাকা ও রংপুর বিভাগ, রাজশাহী
ঢাকা বিভাগ ৬১৬/৭ ও ৯/০, ০.৪ ওভারে (আবদুল মাজিদ ৫*, রনি তালুকদার ০*। শুভাশীষ রায় ০/৫)। রংপুর বিভাগ ৩১৫ ও ৩০৯/১০, ৬৫.১ ওভারে (সায়মন আহমেদ ৬১, তানভীর হায়দার ৯৫* আরিফুল হক ৯৮। শাহাদাত হোসেন ২/৪৪, মোহাম্মদ শরীফ ৪/৭৬)। ফল : ঢাকা ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ শরীফ (ঢাকা বিভাগ)।
ঢাকা মেট্রোপলিস ও চট্টগ্রাম বিভাগ, বগুড়া
ঢাকা মেট্রোপলিস ২২১ ও ২৮৯/১০, ৯০.৫ ওভারে (সৈকত ২৯, আবু হায়দার ৩২, মোহাম্মদ শহীদ ৬৪। আফতাব আহমেদ ৪/২৮, আলী আকবর ২/৫৩)। চট্টগ্রাম ১৯৫ ও ১৮৮/১০, ৪৫৭.২ ওভারে (নাফিস ইকবাল ৬৮, ফয়সাল হোসেন ৪৯*। মোহাম্মদ শহীদ ৪/৪৬, সৈকত আরী ৫/৩১)। ফল : ঢাকা মেট্রোপলিস ১২৭ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ শহীদ (ঢাকা মেট্রোপলিস)
No comments