শেষ দিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সুনন্দা
ভারতের মানবসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুশকার গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। জীবনের শেষ দিনগুলোতে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করেননি। তাঁর অন্তরঙ্গ দুই বন্ধু এসব তথ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবন সুনন্দাকে নাজুক করে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রয়াত সুনন্দার ওই দুই বন্ধুর নাম রোহিত কোছার ও শ্রীদেবী বাদিগা। তাঁদের ভাষ্য, স্বামী শশীর সঙ্গে পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তারারের কথিত সম্পর্কের খবরই ছিল সুনন্দার ওই অসুস্থতার সবচেয়ে বড় কারণ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইভিত্তিক একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের কর্মী রোহিত বলেন, সর্বশেষ ১৪ জানুয়ারি তিনি দুবাই থেকে টেলিফোনে সুনন্দার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কেরালার একটি হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের পর চিকিৎসা নেন। তাঁর যকৃতে ক্ষয়রোগ হয়েছিল। নতুন ওষুধ তাঁর সহ্য হয়নি এবং তিনি খাওয়াদাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। দুবাইভিত্তিক একটি আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রীদেবী বলেন, অসুস্থ অবস্থায় খেতে পারতেন না সুনন্দা। তিনি গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁর (শ্রীদেবী) সঙ্গে গোয়ায় একই কক্ষে ছিলেন। তখন তিনি বিছানা থেকেও উঠতে পারছিলেন না। আর তাঁদের দাম্পত্য জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির খবরে তিনি অনেক বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। প্রশ্নের মুখোমুখি শশী:
স্ত্রী সুনন্দার রহস্যজনক মৃত্যুর ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলেও শশী থারুরকে বেশ কিছু বিব্রতকর ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে। উপবিভাগীয় হাকিমের (ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতে তাঁকে গতকাল সোমবার এসব প্রশ্ন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী শশীর জবানবন্দি গ্রহণকালে ম্যাজিস্ট্রেট অলক শর্মা দাম্পত্য কলহ এবং মেহরের সঙ্গে কথিত সম্পর্কের ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তিনি মেহরকে চিনতেন এবং তাঁদের ‘সুসম্পর্ক’ ছিল বলে স্বীকার করেন। তবে সম্পর্কের ধরন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি শশী। এ ছাড়া টেলিভিশন সাংবাদিক নলিনী সিংয়ের মৌখিক জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। তিনি সুনন্দার সঙ্গে তাঁর মৃত্যুর আগের রাতে কথা বলেছিলেন। আরও জবানবন্দি দেন সুনন্দার ভাই কর্নেল রাজেশ, ছেলে শিব এবং শশীর ব্যক্তিগত সহকারী আর কে শর্মা প্রমুখ। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments