ফটিকছড়িতে গ্রামের পর গ্রাম পুরুষশূন্য
ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরের কাজীরহাটে গত
১১ এপ্রিল আওয়ামী ক্যাডারদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের পর পুলিশি ধরপাকড়ে
মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে এলাকাগুলোতে। ফটিকছড়ির পাঁচ ইউনিয়ন এবং
ভূজপুর থানা এলাকায় পুরুষ পেলেই পুলিশি হয়রানি চলছে।
গ্রেফতারের
ভয় দেখিয়ে চলছে বাণিজ্য। ফলে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে এলাকাগুলো।
স্কুল-কলেজে কাস হচ্ছে না। দোকানপাট বন্ধ। থমকে গেছে জীবনযাত্রা। সুনসান
নীরবতা গ্রামের পর গ্রামে। নারী ও শিশুরা আগন্তুক দেখলে ভয়ে আতকে উঠছে।
এসব এলাকায় অঘোষিত কারফিউ চলছে সাত দিন ধরে। এ দিকে সহিংসতার ঘটনায় ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরীসহ অন্য জামায়াত নেতারা জড়িত না থাকলেও ষড়যন্ত্রমূলক তাদের জড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
১১ এপ্রিলের ঘটনার পর থেকে এখনো স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি ওই এলাকায়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে চারটি মামলা। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৩৪৬ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। এলাকায় দেড় শতাধিক অতিরিক্ত রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কারণে-অকারণে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত ৭৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নিরীহ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক বৃদ্ধ মহিলা জানান, ‘ঘটনার দিন কয়েক শ’ লোক মোটরসাইকেল করে কাজীরহাটে এসে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিয়ে মসজিদ এবং মুসল্লিদের ওপর হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, হকি স্টিক, রামদা ও লাঠি ছিল। এ সময় তাদের হামলার শিকার এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রতি রোধ করেন। অথচ সন্ত্রাসীরাই ভালো লোক হয়ে গেল আর হামলার শিকার এলাকাবাসীকে পুলিশের ভয়ে ফেরারী হতে হচ্ছে।’
জামায়াত নেতাদের জড়িয়ে ৪ মামলা : ভূজপুরে ঘটনার সময় জামায়াতে ইসলামীর বেশির ভাগ স্থানীয় নেতা চট্টগ্রাম মহানগরী এবং এলাকার বাইরে অবস্থান করলেও মামলাগুলোতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিদিন তল্লাশি চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িতে। অথচ ঘটনা ঘটেছে এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। ঘটনায় মসজিদ, মাদরাসায় হামলার কারণে ভূজপুর এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকেরাও মিছিলকারীদের ধাওয়া করেছিল। এ যাবৎ চারটি মামলা হয়েছে হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায়। এর মধ্যে নিহত ফোরকানের বাবা এজাহার মিয়া এবং নিহত রুবেলের মামা ও ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামাল পাশা শওকত বাদি হয়ে দু’টি মামলা করেন। দু’টি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরীকে। এতে ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী, হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা হাবীব আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আলম আজাদসহ দু’টি মামলায় ২০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার পরপর ভূজপুর থানার এসআই মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে ১৩৯ জনকে এজাহারনামার আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। এতে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ দিকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুলকে হত্যার দায়ে তার ভাগিনা জিয়াউল হক জিয়া বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। এতেও স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
নিরীহ লোককে হয়রানির অভিযোগ : গত সোমবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী এলাকার নিজ বাসা থেকে সোহেল এবং সাঈদ নামে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে ভূজপুর থানা পুলিশ। ঘটনার দিন তারা দুই ভাই নিজ কর্মস্থল চট্টগ্রাম শহরেই ছিলেন। সোহেল এ কে খান জুট মিলে এবং সাইদ টিনের দোকানে চাকরি করেন। তাদের মা পারভীন আকতার জানান, আমার দুই ছেলে ঘটনার দিন এলাকার বাইরে থাকলেও পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। দুই-দ্ইুবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ঘটনার দিন তিনি নিজ বাসভবনে ছিলেন। সংঘর্ষ যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে তিনি কাজীরহাট বড় মাদরাসা থেকে এলাকাবাসীকে শান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে। সংঘর্ষ থামাতে তিনি এ সময় প্রাণপণ চেষ্টা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অথচ তাকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। কোম্পানী টিলা গ্রামের দিনমজুর এমদাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ভূজপুরের ঘটনায়। এমদাদের মা জাহানারা বেগম দাবি করেন, ‘তার ছেলে রাজমিস্ত্রি। ঘটনার আগের দিন তার ছেলের চোখে সিমেন্ট পড়ায় ঘটনার দিন সে নগরের পাহাড়তলী চু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল। কিন্তু তাকেও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে।’
ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী ঘটনার সময় উপজেলা প্রশাসনের সাথে একটি সভায় ছিলেন। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মানবিক বিপর্যয় : এলাকায় গণগ্রেফতার ও হয়রানির কারণে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। পুরুষশূন্য পরিবারগুলোর মহিলারা বাজারসদাই করছেন। তবে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কাজীরহাট বাজারের অদূরেই রয়েছে ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ স্কুলের পাশেই রয়েছে পূর্ব ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে কোনো ছাত্রছাত্রীর দেখা মিলছে না কয়েক দিন ধরে। বিদ্যালয় দু‘টির সব ক’টি শ্রেণিকে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে ঘটনার পর থেকে ওই দুই স্কুলে বন্ধ রয়েছে শিাকার্যক্রম। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষায় অনেক ছাত্র গ্রেফতারের ভয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
পুলিশের বক্তব্য : ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, হয়রানির বিষয়টি ঠিক নয়। যারা ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সৌজন্যঃ দিগন্ত
এসব এলাকায় অঘোষিত কারফিউ চলছে সাত দিন ধরে। এ দিকে সহিংসতার ঘটনায় ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরীসহ অন্য জামায়াত নেতারা জড়িত না থাকলেও ষড়যন্ত্রমূলক তাদের জড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
১১ এপ্রিলের ঘটনার পর থেকে এখনো স্বাভাবিকতা ফিরে আসেনি ওই এলাকায়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় দায়ের করা হয়েছে চারটি মামলা। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৩৪৬ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। এলাকায় দেড় শতাধিক অতিরিক্ত রিজার্ভ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কারণে-অকারণে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে হয়রানি করছে। এ পর্যন্ত ৭৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে এলাকাবাসীর দাবি, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই নিরীহ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক বৃদ্ধ মহিলা জানান, ‘ঘটনার দিন কয়েক শ’ লোক মোটরসাইকেল করে কাজীরহাটে এসে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগান দিয়ে মসজিদ এবং মুসল্লিদের ওপর হামলা করে। এ সময় তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, হকি স্টিক, রামদা ও লাঠি ছিল। এ সময় তাদের হামলার শিকার এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রতি রোধ করেন। অথচ সন্ত্রাসীরাই ভালো লোক হয়ে গেল আর হামলার শিকার এলাকাবাসীকে পুলিশের ভয়ে ফেরারী হতে হচ্ছে।’
জামায়াত নেতাদের জড়িয়ে ৪ মামলা : ভূজপুরে ঘটনার সময় জামায়াতে ইসলামীর বেশির ভাগ স্থানীয় নেতা চট্টগ্রাম মহানগরী এবং এলাকার বাইরে অবস্থান করলেও মামলাগুলোতে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। পুলিশ প্রতিদিন তল্লাশি চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িতে। অথচ ঘটনা ঘটেছে এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। ঘটনায় মসজিদ, মাদরাসায় হামলার কারণে ভূজপুর এলাকার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকেরাও মিছিলকারীদের ধাওয়া করেছিল। এ যাবৎ চারটি মামলা হয়েছে হত্যা ও সংঘর্ষের ঘটনায়। এর মধ্যে নিহত ফোরকানের বাবা এজাহার মিয়া এবং নিহত রুবেলের মামা ও ফটিকছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জামাল পাশা শওকত বাদি হয়ে দু’টি মামলা করেন। দু’টি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ভূজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা শফিউল আলম নুরীকে। এতে ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী, হারুয়ালছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা হাবীব আহমদ, জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আলম আজাদসহ দু’টি মামলায় ২০৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার পরপর ভূজপুর থানার এসআই মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে ১৩৯ জনকে এজাহারনামার আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। এতে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এ দিকে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক ইকবাল বিপুলকে হত্যার দায়ে তার ভাগিনা জিয়াউল হক জিয়া বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। এতেও স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
নিরীহ লোককে হয়রানির অভিযোগ : গত সোমবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী এলাকার নিজ বাসা থেকে সোহেল এবং সাঈদ নামে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে ভূজপুর থানা পুলিশ। ঘটনার দিন তারা দুই ভাই নিজ কর্মস্থল চট্টগ্রাম শহরেই ছিলেন। সোহেল এ কে খান জুট মিলে এবং সাইদ টিনের দোকানে চাকরি করেন। তাদের মা পারভীন আকতার জানান, আমার দুই ছেলে ঘটনার দিন এলাকার বাইরে থাকলেও পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। ভূজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। দুই-দ্ইুবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ঘটনার দিন তিনি নিজ বাসভবনে ছিলেন। সংঘর্ষ যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে তিনি কাজীরহাট বড় মাদরাসা থেকে এলাকাবাসীকে শান্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। এ সময় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে। সংঘর্ষ থামাতে তিনি এ সময় প্রাণপণ চেষ্টা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। অথচ তাকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। কোম্পানী টিলা গ্রামের দিনমজুর এমদাদ হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ভূজপুরের ঘটনায়। এমদাদের মা জাহানারা বেগম দাবি করেন, ‘তার ছেলে রাজমিস্ত্রি। ঘটনার আগের দিন তার ছেলের চোখে সিমেন্ট পড়ায় ঘটনার দিন সে নগরের পাহাড়তলী চু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল। কিন্তু তাকেও অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে।’
ফটিকছড়ি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী ঘটনার সময় উপজেলা প্রশাসনের সাথে একটি সভায় ছিলেন। তাকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
মানবিক বিপর্যয় : এলাকায় গণগ্রেফতার ও হয়রানির কারণে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। পুরুষশূন্য পরিবারগুলোর মহিলারা বাজারসদাই করছেন। তবে বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কাজীরহাট বাজারের অদূরেই রয়েছে ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ স্কুলের পাশেই রয়েছে পূর্ব ভূজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে কোনো ছাত্রছাত্রীর দেখা মিলছে না কয়েক দিন ধরে। বিদ্যালয় দু‘টির সব ক’টি শ্রেণিকে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে ঘটনার পর থেকে ওই দুই স্কুলে বন্ধ রয়েছে শিাকার্যক্রম। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার এইচএসসি পরীক্ষায় অনেক ছাত্র গ্রেফতারের ভয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
পুলিশের বক্তব্য : ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, হয়রানির বিষয়টি ঠিক নয়। যারা ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সৌজন্যঃ দিগন্ত
No comments