সম্পাদকের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান আমার দেশের
ছাপাখানা খুলে দেয়াসহ ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
মাহমুদুর রহমানের তিন দাবি মেনে নিয়ে তাকে বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছে দৈনিক
আমার দেশ পরিবার। শুক্রবার বিকেলে আমার দেশ কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ
সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়।
মাহমুদুর
রহমানের জীবন নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, তাকে
অমানুষিক নির্যাতনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়েছে।
রিমান্ডে নিয়ে বিভিন্নভাবে তার ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
মাহমুদুর রহমানের অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে তাকে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। নির্যাতন ও অনশনের ফলে তার জীবন বিপন্ন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মাহমুদুর রহমানের মা মাহমুদা বেগম, স্ত্রী ফিরোজা মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের পারিবারিক বন্ধু ও অভিভাবক ফরহাদ মজহার তাকে দেখতে যান। তাদের সঙ্গে তিনি যেসব কথা বলেছেন তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, সাত দিনের রিমান্ডে বর্বর নির্যাতন ও পঞ্চম দিনের অনশনে মাহমুদুর রহমানের ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে মারাত্মকভাবে কমে গেছে। সরকারের নির্যাতনে তিনি ইসকেমিক হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাহমুদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা দেখেছেন তার দুই হাতের কব্জিতে অনেকগুলো কালো ক্ষত চিহ্ন। একই ধরনের ক্ষত চিহ্ন তাঁর দুই হাঁটুতেও দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই চিহ্নগুলো মূলত ইলেক্ট্রিক শকের।
‘একটি পত্রিকার সম্পাদককে নির্যাতনের এই নজির বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সম্পূর্ণ নতুন। এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি করে এই সরকার মূলত ভিন্নমতের সম্পাদকদের নির্মম নির্যাতনের যে উদাহরণ সৃষ্টি করল তার পরিণতি ভেবে দেখতে হবে’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
আজ সাক্ষাতের সময় মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলার প্রধান কারণ তাকে নৈতিকভাবে দুর্বল করা ও তার ওপর মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যম দমন ও সাংবাদিকদের নির্যাতন করবার বেআইনি পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার করলেই মাহমুদুর রহমানের দেয়া তিন দাবি বাস্তবায়ন হয়ে যায়। মাহমুদুর রহমান তার নিজের মুক্তির জন্য অনশন করছেন না, তিনি আদালতের মুখোমুখি হবেন।
তার মা ও আমার দেশ পাবলিকেশন্সের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম ও সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ছাপাখানা খুলে দেয়া ও সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করে আমার দেশ প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া এবং প্রেসের গ্রেপ্তারকৃত ১৯ কর্মচারীকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গত পাঁচ দিন ধরে অনশন করছেন মাহমুদুর রহমান।
অনশনের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হলে বিকেলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউ-তে রাখা হয়।
প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যানের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস করার অভিযোগে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গত ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন রাতেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পত্রিকাটির ছাপাখানা সিলগালা করে দেয় পুলিশ।
স্কাইপ যোগে আদালত বহির্ভূত এক ব্যক্তির সঙ্গে মামলার সম্ভাব্য রায় নিয়ে কথোপকথন ফাঁস হয়ে গেলে ওই বিচারককে তার পূর্ববর্তী পদ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ফেরত নেয়া হয়।
মাহমুদুর রহমানের অবস্থার মারাত্মক অবনতি হলে তাকে রিমান্ড শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। নির্যাতন ও অনশনের ফলে তার জীবন বিপন্ন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মাহমুদুর রহমানের মা মাহমুদা বেগম, স্ত্রী ফিরোজা মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমানের পারিবারিক বন্ধু ও অভিভাবক ফরহাদ মজহার তাকে দেখতে যান। তাদের সঙ্গে তিনি যেসব কথা বলেছেন তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হচ্ছে।
এতে বলা হয়, সাত দিনের রিমান্ডে বর্বর নির্যাতন ও পঞ্চম দিনের অনশনে মাহমুদুর রহমানের ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে মারাত্মকভাবে কমে গেছে। সরকারের নির্যাতনে তিনি ইসকেমিক হার্ট ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাহমুদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা দেখেছেন তার দুই হাতের কব্জিতে অনেকগুলো কালো ক্ষত চিহ্ন। একই ধরনের ক্ষত চিহ্ন তাঁর দুই হাঁটুতেও দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই চিহ্নগুলো মূলত ইলেক্ট্রিক শকের।
‘একটি পত্রিকার সম্পাদককে নির্যাতনের এই নজির বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সম্পূর্ণ নতুন। এই ধরনের উদাহরণ সৃষ্টি করে এই সরকার মূলত ভিন্নমতের সম্পাদকদের নির্মম নির্যাতনের যে উদাহরণ সৃষ্টি করল তার পরিণতি ভেবে দেখতে হবে’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
আজ সাক্ষাতের সময় মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন, তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলার প্রধান কারণ তাকে নৈতিকভাবে দুর্বল করা ও তার ওপর মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যম দমন ও সাংবাদিকদের নির্যাতন করবার বেআইনি পদক্ষেপগুলো প্রত্যাহার করলেই মাহমুদুর রহমানের দেয়া তিন দাবি বাস্তবায়ন হয়ে যায়। মাহমুদুর রহমান তার নিজের মুক্তির জন্য অনশন করছেন না, তিনি আদালতের মুখোমুখি হবেন।
তার মা ও আমার দেশ পাবলিকেশন্সের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম ও সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ছাপাখানা খুলে দেয়া ও সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করে আমার দেশ প্রকাশের সুযোগ করে দেয়া এবং প্রেসের গ্রেপ্তারকৃত ১৯ কর্মচারীকে মুক্তি দেয়ার দাবিতে গত পাঁচ দিন ধরে অনশন করছেন মাহমুদুর রহমান।
অনশনের চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হলে বিকেলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউ-তে রাখা হয়।
প্রথম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক চেয়ারম্যানের স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস করার অভিযোগে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গত ১১ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন রাতেই রাজধানীর তেজগাঁওয়ে পত্রিকাটির ছাপাখানা সিলগালা করে দেয় পুলিশ।
স্কাইপ যোগে আদালত বহির্ভূত এক ব্যক্তির সঙ্গে মামলার সম্ভাব্য রায় নিয়ে কথোপকথন ফাঁস হয়ে গেলে ওই বিচারককে তার পূর্ববর্তী পদ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ফেরত নেয়া হয়।
No comments