সময় হয়েছে সাংবাদিকতার জন্য প্রতিষ্ঠান গড়ার by সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা
সহকর্মী তুষার আবদুল্লাহর গণমাধ্যম কর্মীর দায় মুক্তির প্রার্থনা লেখা পড়ে মনটা খুবই ব্যথিত। যদি সত্যি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্বজিৎ দাস হত্যার দায় আমাদের উপরও বর্তায়। তুষার খুব আক্ষেপের সাথে বলেছে, কেমন করে আজ কিছু সাংবাদিক অনৈতিক পথে হাটছে।
নতজানু হয়ে আমরা সাংবাদিকতার নষ্ট হয়ে যাওয়া দেখছি। কেউ কিছু করতে পারছিনা, বা করছিনা।
একজন ডাক্তার যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল চিকিৎসা করেন, তবে তার সনদ বাতিল হয়। একজন উকিল ঠিক পথে না হাটতে পারলে, র্তাও একই পরিণতি হয়। একজন চার্টার্ড আক্যাউনট্যান্ট তার কাজের নিয়মের বাইরে কিছু করলে, শাস্তি পেতে পারেন। কিন্তু সাংবাদিক যদি অযাচিতভাবে র্কাও ক্ষতি করেন, তার কিছুই হয়না। এমন একটি অবস্থা আমাদের এখানেই বেশি।
প্রতিটি পেশারই একটি কোড অব এথিক্স বা নৈতিক মানদ- আছে। সাংবাদিকদের বেলায়্ও এমনটা আমরা বলি। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যমে সেভাবে কিছু আমরা করিনি। আসলে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা অনেক বেশি স্বনিয়ন্ত্রিত। তার নিজের নীতি নৈতিকতার মান আসলে শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতারই নিশ্চিত করে।
অনেকদিন আগে একটা লেখা পড়েছিলাম। এ মুহুর্তে লেককের নামটাও স্মরণ করতে পারছিনা। কিন্তু কিছু কথা আমার একটি ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। তা ছিলো এমন -
“Seek truth and report it fully. Inform yourself continually. Be honest, fair and courageous in gathering and reporting the news. Give voice to the voiceless, and hold the powerful accountable. “
যদি একজন রিপোর্টারের জন্য এই হয় পাথেয়, তাহলে সেই টিভি রিপোর্টার সেদিন যা করেছেন তাকে কি বলবো আমরা? তাকে আমি কি ঘৃণা করবো? না কি করুনা করবো?
ব্যক্তি মানুষের নীতি নৈতিকতার ধারণা তৈরী হয় প্রথমে পরিবার থেকে। তারপর তার প্রতিষ্ঠান থেকে। যে প্রতিষ্ঠানে সে কাজ করে, সে কেমন কর্মী তৈরী করছে , তার একটা বড় প্রভাব থাকে তার কাজে-কর্মে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার ধরন, তার বড় কর্তাদের আচার-আচরণ প্রভাব ফেলে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা বাইরে থেকে যুক্ত তাদের উর্পও এই সংস্কৃতির একটা পতিফলন দেখা যায়।
সেই টিভি রিপোর্টার আসলে তার প্রতিষ্ঠান থেকে, তার সহকর্মীদের কাছ থেকে নৈতিকতার বিন্দুমাত্র শিক্ষা পায়নি। বরং আমরা উপলব্ধি করতে পারি কতটা নির্মমতা তার মজ্জাগত।
তুষার যে নষ্ট সাংবাদিকতার কথা বলছে, তাকে উৎসাহিত করছে, সাংবাদিকদের ভেতরকার দলবাজি, প্রতিষ্ঠানের চরিত্র। এইতো ক’দিন আগে আমরা দেখলাম, এক টিভি চ্যানলের রিপোর্টার এমএলএম নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে, নিজেই সে ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। শুধু তাইনা, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, জেলও খেটেছেন তিনি। কিন্তু কিছু কি হয়েছে তার? বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। এমন একটা কাজের পরও প্রতিষ্ঠান লালন করছে তাকে।
আলোচনা করতে থাকলে শেষ হবেনা। তুষারের আক্ষেপের সাথে একমত। আমরা সংখ্যায় অনেক বেড়েছি। অনেক বড় বিনিয়োগ হয়েছে, হচ্ছে এই খাতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান গড়তে পেরেছি কয়টি?
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পরিচালক (বার্তা), একাত্তর টেলিভিশন
প্রতিটি পেশারই একটি কোড অব এথিক্স বা নৈতিক মানদ- আছে। সাংবাদিকদের বেলায়্ও এমনটা আমরা বলি। কিন্তু আমাদের গণমাধ্যমে সেভাবে কিছু আমরা করিনি। আসলে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা অনেক বেশি স্বনিয়ন্ত্রিত। তার নিজের নীতি নৈতিকতার মান আসলে শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকতারই নিশ্চিত করে।
অনেকদিন আগে একটা লেখা পড়েছিলাম। এ মুহুর্তে লেককের নামটাও স্মরণ করতে পারছিনা। কিন্তু কিছু কথা আমার একটি ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। তা ছিলো এমন -
“Seek truth and report it fully. Inform yourself continually. Be honest, fair and courageous in gathering and reporting the news. Give voice to the voiceless, and hold the powerful accountable. “
যদি একজন রিপোর্টারের জন্য এই হয় পাথেয়, তাহলে সেই টিভি রিপোর্টার সেদিন যা করেছেন তাকে কি বলবো আমরা? তাকে আমি কি ঘৃণা করবো? না কি করুনা করবো?
ব্যক্তি মানুষের নীতি নৈতিকতার ধারণা তৈরী হয় প্রথমে পরিবার থেকে। তারপর তার প্রতিষ্ঠান থেকে। যে প্রতিষ্ঠানে সে কাজ করে, সে কেমন কর্মী তৈরী করছে , তার একটা বড় প্রভাব থাকে তার কাজে-কর্মে। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার ধরন, তার বড় কর্তাদের আচার-আচরণ প্রভাব ফেলে সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে। এমনকি এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা বাইরে থেকে যুক্ত তাদের উর্পও এই সংস্কৃতির একটা পতিফলন দেখা যায়।
সেই টিভি রিপোর্টার আসলে তার প্রতিষ্ঠান থেকে, তার সহকর্মীদের কাছ থেকে নৈতিকতার বিন্দুমাত্র শিক্ষা পায়নি। বরং আমরা উপলব্ধি করতে পারি কতটা নির্মমতা তার মজ্জাগত।
তুষার যে নষ্ট সাংবাদিকতার কথা বলছে, তাকে উৎসাহিত করছে, সাংবাদিকদের ভেতরকার দলবাজি, প্রতিষ্ঠানের চরিত্র। এইতো ক’দিন আগে আমরা দেখলাম, এক টিভি চ্যানলের রিপোর্টার এমএলএম নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে, নিজেই সে ব্যবসায় জড়িয়ে গেছে। শুধু তাইনা, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, জেলও খেটেছেন তিনি। কিন্তু কিছু কি হয়েছে তার? বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। এমন একটা কাজের পরও প্রতিষ্ঠান লালন করছে তাকে।
আলোচনা করতে থাকলে শেষ হবেনা। তুষারের আক্ষেপের সাথে একমত। আমরা সংখ্যায় অনেক বেড়েছি। অনেক বড় বিনিয়োগ হয়েছে, হচ্ছে এই খাতে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান গড়তে পেরেছি কয়টি?
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পরিচালক (বার্তা), একাত্তর টেলিভিশন
No comments