রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অর্ধেক ভূমি অবৈধ দখলে
বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মোট ভূমির অর্ধেকই রয়েছে অবৈধ দখলে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, জনবল সংকট ও যথাযথ ব্যবস্থাপনার কারণে এসব জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তাফাজ্জল হোসেন জানান, পূর্বাঞ্চলের অধীনে ২৪ হাজার একর ভূমি থাকলেও ১২ হাজার একর জমি রাজনীতিকসহ বিভিন্ন সংস্থা অবৈধ দখলে রেখেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এসময় রেলপথমন্ত্রী মো. মজিবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রেলের অবৈধ দখলে থাকা জমির তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে রেলের অর্ধেক জমিই অবৈধ দখলে রয়েছে।`
মজিবুল হক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বুধবার রাতে চট্টগ্রামে আসেন। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রকল্পর কাজ পরিদর্শন, কালুরঘাটে দ্বিতীয় রেল সেতুর স্থান, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপসহ চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বিদ্যমান অবস্থা পরিদর্শন শেষে শুক্রবার রাতে এসব বিষয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক তাফাজ্জল হোসেন, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এহসানে এলাহিসহ পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়র প্রকল্প পরিদর্শনের জন্যই তার চট্টগ্রাম আসা।
মামলায় অসহায় মন্ত্রী:
রেলওয়েতে তীব্র জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন নিয়োগ প্রার্থীর মামলার কারণে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার জনবল নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার পরও নিয়োগ দিতে পারছি না। হঠাৎ কোনো একজন আবেদনকারীর কোনো একটি মামলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। রেলওয়েতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব পদে তীব্র জনবল সংকট রয়েছে। কিন্তু এরপরও শূন্য পদেও নিয়োগ দিতে পারছি না। মামলার কারণে নিয়োগে অসহায় পড়েছি।`
মামলা-প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি কারো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। আমি মন্ত্রী হিসেবে কথা দিলাম সমস্যার সমাধান করব।`
জনবল সংকটের কারণে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ৪৪৩টি স্টেশনের মধ্যে ১৫৩ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। আরো স্টেশন বন্ধের পথে।
রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলে অবদান রাখার চেষ্টা করব। রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী ৬ মাস পরে সুফল পাওয়া যাবে।’
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার, জাইকা ও ভারতের অর্থায়নের ঢাকা থেকে টঙ্গী ২৩ কিলোমিটার (ডুয়েল গেজ), টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ১২ কিলোমিটার প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০১৩ সালের মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তবে শতভাগ কাজ শেষ হবে ২০১৪ সালে।
সেবার মান বাড়াতে ইঞ্জিন, কোচ, কমিউটার ট্রেন কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রেলের অবৈধ দখলে থাকা জমির তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়। সে হিসাবে বর্তমানে রেলের অর্ধেক জমিই অবৈধ দখলে রয়েছে।`
মজিবুল হক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো বুধবার রাতে চট্টগ্রামে আসেন। এরপর বৃহস্পতি ও শুক্রবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের আধুনিকায়ন প্রকল্পর কাজ পরিদর্শন, কালুরঘাটে দ্বিতীয় রেল সেতুর স্থান, পাহাড়তলী ওয়ার্কশপসহ চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের বিদ্যমান অবস্থা পরিদর্শন শেষে শুক্রবার রাতে এসব বিষয়ে অবহিত করতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এসময় রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক তাফাজ্জল হোসেন, প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা এহসানে এলাহিসহ পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়র প্রকল্প পরিদর্শনের জন্যই তার চট্টগ্রাম আসা।
মামলায় অসহায় মন্ত্রী:
রেলওয়েতে তীব্র জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন নিয়োগ প্রার্থীর মামলার কারণে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মজিবুল হক।
তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১১ হাজার জনবল নিয়োগের অনুমতি দেওয়ার পরও নিয়োগ দিতে পারছি না। হঠাৎ কোনো একজন আবেদনকারীর কোনো একটি মামলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। রেলওয়েতে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব পদে তীব্র জনবল সংকট রয়েছে। কিন্তু এরপরও শূন্য পদেও নিয়োগ দিতে পারছি না। মামলার কারণে নিয়োগে অসহায় পড়েছি।`
মামলা-প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে আসার জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি কারো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ধরনের অভিযোগ থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। আমি মন্ত্রী হিসেবে কথা দিলাম সমস্যার সমাধান করব।`
জনবল সংকটের কারণে বন্ধ স্টেশনগুলো চালু করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ৪৪৩টি স্টেশনের মধ্যে ১৫৩ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। আরো স্টেশন বন্ধের পথে।
রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলে অবদান রাখার চেষ্টা করব। রেলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। আগামী ৬ মাস পরে সুফল পাওয়া যাবে।’
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকার, জাইকা ও ভারতের অর্থায়নের ঢাকা থেকে টঙ্গী ২৩ কিলোমিটার (ডুয়েল গেজ), টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর ১২ কিলোমিটার প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০১৩ সালের মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। তবে শতভাগ কাজ শেষ হবে ২০১৪ সালে।
সেবার মান বাড়াতে ইঞ্জিন, কোচ, কমিউটার ট্রেন কেনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
No comments